শরৎ সাহিত্যে চরিত্রদের স্টারডম নেই , আছে কাদা মাটির সোঁদা গন্ধ । আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।
দেবের আনন্দ ধাম দেবানন্দপুর গ্রাম/ তাহে অধিকারী রাম রামচন্দ্র মুনসী।/ ভারতে নরেন্দ্র রায় দেশে যার যশ গায়/ হয়ে মোর কৃপাদায় পড়াইল পারসী।' হুগলির দেবানন্দপুর , বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক বিশেষ জায়গা জুড়ে রয়েছে । গ্রামখানির সঙ্গে বাংলা সাহিত্যের যুগপুরুষ ভারতচন্দ্র রায়ের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে , লেখ্য অংশের শুরুতেই কাব্যকারে সেই কথায় বিধৃত হয়েছে । এছাড়াও , উক্ত স্থানটির সঙ্গে গভীরতর নাড়িযোগ আছে অপরাজেয় কথা শিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের । ১৮৭৬ খৃঃ হুগলির দেবানন্দ পুরে জন্মগ্রহণ করেন পাঠকের প্রাণের শিল্পী শরৎচন্দ্র । রবীন্দ্রনাথ তখন মধ্য গগনে প্রবল দীপ্তি নিয়ে বিদ্যমান , বেঁচে আছেন সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রও । এই দুই মহীরুহর একচ্ছত্র শাসন বাংলা গদ্য কবিতা উপন্যসের পাতায় । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অভিজাত সম্প্রদায়ের গল্পকথন , বঙ্কিমের ইতিহাস রোমাঞ্চতায় বিমুগ্ধ বাঙালি পাঠক , সেই স্বর্ণযুগেই শরৎচন্দ্রের আবির্ভাব । তবে , কেবল আবির্ভূত হয়েই অন্যদের মত এই দুই প্রবল ব্যক্তিত্বের ছায়ায় মিইয়ে গেলেন না , সরে এলেন তাঁদের পথ থেকে । সমাজের একেবারে অন্ত্যজ প্রান্তিক সমাজে...