রাজ্য প্রশাসনের সবরকম চাকরির ক্ষেত্রে বাঙালির অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করা দরকার। এ বিষয়ে গভীরতর আলোকপাত করেছেন প্রাবন্ধিক আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।
ব্যাংকের যে বিশেষ শাখাই আমার অ্যাকাউন্ট রয়েছে , সেখানে একজন অবাঙালি ভদ্রলোক চাকরি করেন। সম্ভবত বিহারী । মানুষটিকে অস্থির প্রকৃতির দেখি প্রায় । যে সমস্ত গ্রাহকরা আসেন , তাঁদের সঙ্গে অনেক সময় তাঁকে খারাপ ব্যবহার করতে দেখেছি , উচ্চস্বরে চিৎকার করতেও দেখি প্রায়শঃ । ওই শাখাটি যে পরিআবহিক পরিমণ্ডলগত অঞ্চলে অবস্থিত, উক্ত অঞ্চলের মানুষজনের মধ্যে প্রান্তিক সম্প্রদায়ের মানুষজনের সংখ্যায় বেশি। শিক্ষার হার ও তেমন সন্তোষজনক নয় । বিহারী ভদ্রলোক মূলত তার মাতৃভাষা হিন্দিতে কথা বলেন। সমস্যার বীজ এইখানেই রোপিত । ব্যাংকে আসা অর্থ - শিক্ষায় হীনবল গণ মানুষ সাধারণত হিন্দিতে তেমন সাবলীল নয় । হিন্দি বুঝতে না পারার কারণে ওই ভদ্রলোককে বারবার জিজ্ঞাসা করায় তিনি বিরক্ত হন এবং খারাপ ব্যবহার করে বসেন । বিষয়টি অসন্তোষের সৃষ্টি করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে । একবার এমন হয়েছে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারণ গণ মানুষ সেই ভদ্রলোককে গণধোলাই দিতে উদ্দোগী হন । এমন সমস্যার মুখোমুখি হয়তো আমরা প্রায় রোজ হচ...