পোস্টগুলি

bangla funny kobita লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তুমি ছিলে তাই - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
তুমি ছিলে তাই মেঘান্তরালে হারিয়ে  যায়নি মিলনরসের  বর্ণমালা ;তুমি ছিলে  তাই মৃত্যুকালেও  জাগে বাঁচতে হৃদয়ের  এলবাম । তুমি ছিলে তাই  কবি পারেন সপ্নতরী  বেয়ে দুঃখের সাগরনীরে  ভাললাগার মুক্তবন্দরে  জাহাজ ভিড়াতে ;তুমি  ছিলে তাই জীবনপথে  ক্লান্ত পথিক আশ্রয়ের  খোঁজ করে । তুমি ছিলে তাই কৃষক  ফসল ফলায় মাঠে ; তুমি ছিলে তাই জীবনের  গোধূলিতেও অশক্ত হাতে  রবিঠাকুর লিখতে পারেন , তুমি ছিলে তাই বীর বিপ্লবী  সূর্যসেন হাসিমুখে পড়তে পারেন ফাঁসির  দড়ি গলাতে । তুমি ছিলে তাই  রাতের মৌনতা কাটিয়ে  নিশিপদ্ম ফোটে ; তুমি  ছিলে তাই গুরু পারেন শিষ্যের  পীড়িত হৃদয়ে জালতে  জাগরণমন্ত্র । তুমি ছিলে তাই...

তোমাকে দিলাম - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
অন্তর মন্দির প্রাঙ্গণে জমে ওঠা কঙ্কালসার নিস্তব্দ সময়কে সযত্নে পাশ কাটিয়ে তোমাকে দিলাম আগামীর সহস্র বেড়া ভাঙ্গা মুক্তির সোনালী বুদ বুদ । ছলনার অন্তরালে লুকিয়ে থাকা ,কালগর্ভে নির্বাসিত গণকবরে চাপা পড়া মানবতা কে রঙ্গিন কাগজে মুড়ে তোমাকে দিলাম । শরীরের স্বাদ নয় ,চুম্বনের উন্মুক্ততা নয় ,শারীরিক মিলনের উষ্ণতা নয় , তোমাকে দিলাম হৃদয়ের অন্তহীন ভালবাসা আর  হাজারো শতাব্দীর সমস্ত গোলাপ এক জায়গায় জোগাড় করে তার সুবাস তোমাকে দিলাম ।

আশার গান গাও - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
হিয়ার গহীন বনে লাগলে মোচড় দিয়ে ওঠে সমস্ত দেহ , চেতনাও স্তব্দ ,কখনো হয় নিষ্ক্রিয় ,তার ছবি প্রতিফলিত হয় মুখমন্ডলে ; আমরা যা ভাবি কখনো কখনো তার অন্যটা হয় , না পাওয়ার বেদনা ,কখনো প্রিয়জন হারানোর কষ্ট প্রবল জোরে টোকা মারে মন মসজিদের দ্বারে - আর তখনই ভাবনার জগতে আলোড়ন ওঠে ,ক্রন্দনের নদী উতলে উঠতে চাই ,যেন সব কিছু ভাসিয়ে দেবে ! কে বোঝাবে এই ক্রন্দনের নদীকে ! কে আটকাবে চোখ হতে মুখমন্ডলে তার গতিপথকে ? যে পারে সে সাধারন কেউ নয় , কেননা জীবনমানে হিয়ার গভীরে বিজন অরণ্য নয় ,জীবন হল দুঃখ কষ্ট বুকের মাঝে দাফন করে সুখের খোঁজে ছোটা ।

তুমি কি শুনতে পাও মাটির কান্না! - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
যুদ্ধের শেষ সেনাপতি তুমি কি শুনতে পাও মাটির কান্না ! মাসের প্রথম রবিবার এসো করি শপথ চার দেয়ালের বাইরে কখনো কাছে কখনো দুরে নিশ্বাস যখন হবে পীড়িত কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিঃশব্দে হিপ্ক্রিট শয়তানদের বাতেল্লা ,চিরতরে করে দেব রুদ্ধ । তারপর , ভয়াবহ সেই দিনগুলো ভুলে নতুন পৃথিবী গড়ব নিজেদের মতো করে নিঃশব্দে....... ইয়াহু কি আনন্দ ।

তুমি আসবে তাই...........-আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
ইস্পাত কঠিন অন্ধকার সরিয়ে ঘর্মাক্ত শরীরে তোমার অপেক্ষায়............ তিমির রাত্রির একাকি অভিসার  দুর দুর বহুদুর হেঁটেছি শুধু  তোমার ভালবাসার আশায়........ অন্ধসময়সংহিতায় চারদিক  হাহাকার ,তোমাকে পাশে   আজ বড় দরকার ............... তুমি বনলতা ,সুচরিতা নও  তুমি আমার মানসপ্রতিমা ............ অন্তরপারাপারে রঙ্গিন কার্পেট  তুমি আসবে তাই ,তোমার আগমনে  অবসান ঘটুক হাজার অনাচার........... তুমি আসবে তাই আজও অপেক্ষায়.............

যাতনার স্বরলিপি -আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
অবক্ত ক্রোধ জীবন্ত ছবি হয়ে ফুটে ওঠে ;যখন দেখি কিছু লম্পট শয়তান হাতে তোমার শ্লীলতাহানি ! জগতে অচিন্ত্য বিস্ময় তুমি সৃষ্টি ঊষা থেকে জীবনকে বেঁধেছ পরম মমতায় ,কিন্তু যখন তোমাকে দেখি নিঃসঙ্গ গিরিচূড়ায়........................ যখন দেখি তোমার বুকে তোমার সন্তানদের শবপ্রদশর্নী বুক জ্বলে যায় দেখে ওদের ঘৃণ্ণ অভিসন্ধি ! সপ্নসেতু গড়ে দিয়েছ তুমি জগতকে করছ শর্ষশেমলা তোমারই প্রাসাদকণা পেয়ে পুষ্ট হয়ে তোমারি ধংসে নেমেছে ওরা.......................................! Bba

প্রিয় কবি : আরিফুল ইসলাম সাহাজী

সকলেই কবি নন ,কেউ কেউ কবি জীবনান্দ এর এ বাণী আমি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করি ;শুনেছি কত ছড়া মায়ের মুখে ,মুখস্ত করেছি কত..................... হটাত যেদিন পড়ল হাতে সুকান্তের ছাড়পত্র মলাটের ছবিটির দিকে ছিলাম এক দৃষ্টে তাকিয়ে , মৃদু হাসি মুখে ,গালে হাত ;ভাবে কি কবি ? কবিতা শেষে চমকে উঠি.................................. 'এ বিশ্ব কে শিশুর বাসউপযোগী করে যাব ' আশ্চর্য একি উচচরণ - আমার চেতনায় জাগল শিহরণ ! মনে হল যেন কান পেতেছিলাম শুনতে কবির এ বাণী ,এরপর একে একে রানার ,রবীন্দ্রনাথের প্রতি ,আঠারো বছর বয়স................................ উঠল হয়ে সুকান্ত আমার ঋদায়ের আত্বীয় , চেতনার ধ্রবতারা ;ছাড়পত্র যেন দিল তুলে অজানা কবিতা রাজ্যের ছাড়পত্র মোর হাতে ।
ছবি
পুতুলনাচ  - আরিফুল ইসলাম সাহাজি  বিচিত্র এ্ই  জিবননাট মঞ্চে  প্রতিনিয়ত  আমরা    মিথ্যা অভিনয় করে চলেছি ; অননের চোখে নিজেকে  মহত্তম করবার মন্দ অভিপ্রায়ে , কখনো বা নিজের পাপ লুকাতে - প্রতিনিয়ত আমরা অভিনয়কে   করে তুলছি ধারালো । একবারও ভাবিনা কি জবাব  রাখবো নিজ অমিত্তের কাছে , সমাজের চোখে হইতো মহাপুরুষ  বলে পূজিত হলে কিন্তু নিজ    হিয়ার কাছে  তুমি কি  পরলে  পূজিত হতে !