চন্দ্রনাথ গল্পে চন্দ্রনাথের দৃঢ় মানসিকতাই তাকে স্বতন্ত্রতা দিয়েছে , সাহস জুগিয়েছে অচেনার পথে হারিয়ে যেতে ।
আলোচনা করছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি । । তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় বিরচিত চন্দ্রনাথ গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে চন্দ্রনাথ নামক এক কিশোর । চন্দ্রনাথ আর পাঁচজন কিশোরের থেকে চরিত্রগঠনগত ভাবে পৃথক । তাঁর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে । নিজস্ব দার্শনিক উপলব্দিও আছে । যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন সে । এখানেই সে স্বতন্ত্র । চন্দ্রনাথ মেধাবী ছাত্র । নিজের প্রতিভার প্রতি আস্থাশীল । তাই স্কুলের পরীক্ষায় হীরুর প্রথম হওয়াকে মেনে নিতে পারেনি কিশোর চন্দ্রনাথ । মাস্টারমশায়ের একান্ত অনুরোধেও টলেনা সে । দৃঢ়তার সঙ্গে দ্বিতীয় পুরস্কার প্রত্যাখান করে সে । এমন কী চন্দ্রনাথের বড় দাদা পুরস্কার গ্রহন করতে আদেশ দিলেও আমল দেয়নি সে । চন্দ্রনাথের এই আপত্যশীত আচরণে হতবাক হন দাদা । সম্পর্ক ছিন্ন করেন তার সঙ্গে । ফইনাল পরীক্ষায় চন্দ্রনাথের থেকে বেশি নম্বর পেয়ে পাশ করে হিরু - স্কলারশিপ পায় সে । সেই উপলক্ষে আয়োজন করে আনন্দ উৎসব । আমন্ত্রিত ছিল চন্দ্রনাথও । দার্শনিকের মত অভিমত দিয়েছে চন্দ্রনাথ , এত অপচয় হিরু না করলেও পারতো । হীরুর কাছে এই পরাজয়টা বোধহয় মেনে নিতে পারেনি কিশোর চন্দ্রনাথ । রাতের অন্ধকারে চেনা জগৎ ছেড়ে অচেনা...