কবিতা বিষয়ক আলোচনা -আজকের আলোচ্য কবিতা অসুখী একজন :আলোচক আরিফুল ইসলাম সাহাজি
নোবেলজয়ী চিলিয়ান সাহিত্যিক ও দক্ষ রাজনীতিবিদ পাবলো নেরুদা বিরচিত ,(তরজমাকারক নবারুন ভট্রাচার্য )"অসুখী একজন "কবিতায় একদিকে যুদ্ধ এর ভয়ংকর বিভীষিকাময়তা ,অন্যদিকে শাশ্বত চিরজীবী প্রেমের দ্বন্দ অনুপম আলেখ্য হয়ে উঠেছে ।
কবিতার একেবারে শুরুতেই এক করুন সুরের ঝংকার আমাদের মর্মে ধ্বনিত হয় ।কবিতার প্রথম দুটি চরণ লক্ষ্য করা যাক -
"আমি তাকে ছেড়ে দিলাম
অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখে দরজায়.....।"
যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়া বিপ্লবীর মনে কোন বাসনায় থাকে না ফিরবার ,কিন্তু প্রিয়জন থাকে অপেক্ষায় -এ অপেক্ষা অন্তহীন ,চিরন্তন যার গতি ।অপেক্ষার প্রহর ক্রমশ হয় ভারি -তারপর নেমে আসে যুদ্ধ এর নির্মম কষাঘাত ।শুরু হয় অনেক মৃত্যু ,এমনকি যে দেবতারা শান্ত ,নিষ্ক্রিয় ভাবে হাজার বছর ধরে সাধারন জনমানব এর মনোজগত কে শাসন করেছন মুক্তি পাননি তাঁরাও ।শুধু তাই নয় নিষ্পাপ শিশুরাও যুদ্ধ উন্মাদনার হাত থেকে রেহাই পাই না ,ধংসের এ্ই ভয়ংকর স্বরূপ দেখানোর জন্ন একটি দৃষ্টান্ত লক্ষনীয় -
"রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মতো
শিশু আর বাড়িরা খুন হল ।"
কবিতার 22 থেকে 26 তম চরণগুচ্ছে যুদ্ধ এর নগ্নতা প্রকাশ করতে কবি এক অনবদ্য দৃশ্যপট অঙ্কন করেছেন ।যুদ্ধ এ যাওয়া সেই বিপ্লবী ,যিনি আবার এ কবিতার কথক ,তার সপ্নের মিষ্টি বাড়ি ,সেই বারান্দা যেখানে তিনি ঝুলন্ত বিছনায় ঘুমাতেন ,তার আদরে পোঁতা গোলাপ চারা কিছুই রক্ষা পায়নি যুদ্ধ এর বিভীষিকা থেকে ।
কবিতার একদিকে এ্ই ভয়ংকরতা ,অনন্য দিকে কথক এর ফেলে আসা প্রিয় নারীর হৃদয়ের আর্তি প্রধান হয়ে উঠেছে ।ধংসের মধ্যেও প্রিয়তম পুরুষের অপেক্ষায় সে নারী -এ অপেক্ষা অবসানহীন ,চিরন্তন ,কেননা ধংসের মাঝেও এ প্রেম জীবন্ত ,অন্তহীন এর গতি ।
কবিতার একেবারে শুরুতেই এক করুন সুরের ঝংকার আমাদের মর্মে ধ্বনিত হয় ।কবিতার প্রথম দুটি চরণ লক্ষ্য করা যাক -
"আমি তাকে ছেড়ে দিলাম
অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখে দরজায়.....।"
যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়া বিপ্লবীর মনে কোন বাসনায় থাকে না ফিরবার ,কিন্তু প্রিয়জন থাকে অপেক্ষায় -এ অপেক্ষা অন্তহীন ,চিরন্তন যার গতি ।অপেক্ষার প্রহর ক্রমশ হয় ভারি -তারপর নেমে আসে যুদ্ধ এর নির্মম কষাঘাত ।শুরু হয় অনেক মৃত্যু ,এমনকি যে দেবতারা শান্ত ,নিষ্ক্রিয় ভাবে হাজার বছর ধরে সাধারন জনমানব এর মনোজগত কে শাসন করেছন মুক্তি পাননি তাঁরাও ।শুধু তাই নয় নিষ্পাপ শিশুরাও যুদ্ধ উন্মাদনার হাত থেকে রেহাই পাই না ,ধংসের এ্ই ভয়ংকর স্বরূপ দেখানোর জন্ন একটি দৃষ্টান্ত লক্ষনীয় -
"রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মতো
শিশু আর বাড়িরা খুন হল ।"
কবিতার 22 থেকে 26 তম চরণগুচ্ছে যুদ্ধ এর নগ্নতা প্রকাশ করতে কবি এক অনবদ্য দৃশ্যপট অঙ্কন করেছেন ।যুদ্ধ এ যাওয়া সেই বিপ্লবী ,যিনি আবার এ কবিতার কথক ,তার সপ্নের মিষ্টি বাড়ি ,সেই বারান্দা যেখানে তিনি ঝুলন্ত বিছনায় ঘুমাতেন ,তার আদরে পোঁতা গোলাপ চারা কিছুই রক্ষা পায়নি যুদ্ধ এর বিভীষিকা থেকে ।
কবিতার একদিকে এ্ই ভয়ংকরতা ,অনন্য দিকে কথক এর ফেলে আসা প্রিয় নারীর হৃদয়ের আর্তি প্রধান হয়ে উঠেছে ।ধংসের মধ্যেও প্রিয়তম পুরুষের অপেক্ষায় সে নারী -এ অপেক্ষা অবসানহীন ,চিরন্তন ,কেননা ধংসের মাঝেও এ প্রেম জীবন্ত ,অন্তহীন এর গতি ।
Just speechless....durdhorsho
উত্তরমুছুনখুব সুন্দর বর্ণণা হয়েছে।
উত্তরমুছুনGood love
উত্তরমুছুনভালো ভাবে বর্ণিত
উত্তরমুছুনঅসুখী একজন কবিতায় কোন সুর ধ্বনিত হয়েছে?
উত্তরমুছুন