মৃদুল দাশগুপ্তর ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতাটি রক্তাত্ব সময়ের জ্বলন্ত দলিল - আলোচক আরিফুল ইসলাম সাহাজি
বাংলা সাহিত্যের বর্তমান সময়ের কবিবর্গের মধ্যে মৃদুল দাশগুপ্ত একটি বিশেষ নাম । সাংবাদিক কবির ক্রন্দনতা জননীর পাশে নামক আলোচ্য কবিতাটির আধার হয়ে উঠেছে 2011 সালের জ্বলন্ত বাস্তব ,আমাদের রাজ্যের অগ্নিগর্ভ রূপ ।
পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে 2006-2011 সাল একটি উল্লেখ্য অধ্যায় - এ সময় খবরের শিরোনামে উঠে আসে হুগলি জেলার সিঙ্গুর ।শিল্পসংস্থা টাটা গ্রুপ
সেখানে গড়তে চাই মোটর গাড়ি কারখানা ;এগিয়ে আসে সেই সময়ের ক্ষমতাসীন বামফ্রন্ট সরকার । সিঙ্গুরের জমি একফসলি তকমা দিয়ে শুরু হয় জোরপূর্বক অধিগ্রহণ ।শুরু হয় চাপান উতোর ,ক্ষোভে ফেটে পড়েন কৃষকরা ,বিপক্ষ রাজনীতিক দল কৃষকদের পাশে দাঁড়ানই কৃষকদের মনোবল বৃদ্ধি পায় ।নন্দীগ্রাম ,সিঙ্গুর গণহত্যার প্রতিবাদে পথে নামেন বুদ্ধিজীবী গণ ।
ক্রন্দনতা জননীর পাশে নামক কবিতায় কবি মৃদুল এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখে চিত্রিত করেছেন অগ্নিগর্ভ একটি সময়কে ।কবি একজন সমাজসচেতন ,সাংবাদিক মানুষ ;সমাজের অনাচার তুলে ধরাই তাঁর কাজ ;একি সঙ্গে তিনি মানব দরদী কবি :তাঁর বিবেকবোধ সবসময় জাগ্রত ,তাই বাংলার এই অগ্নিগর্ভ রূপ দেখে তিনি চুপ থাকতে পারেননি - ছুটে গেছেন সিঙ্গুর ,নন্দীগ্রাম ,প্রশ্ন করেছেন নিজের বিবেককে -
"ক্রন্দনতা জননীর পাশে /এখন যদি না থাকি /কেন তবে লেখা........"
আসলে কবিতা হল কবির বিবেকীসত্তা ,তাই তিনি অনাচার - অবিচারের কাছে কখনো মাথা নত করেননি ;তাই কবির নির্ভীক উচ্চারণ -
" নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে /নাই যদি হয় ক্রোধ /কেন ভালবাসা ,কেন বা সমাজ......"
তাই দলমত বিচার না করেই বাস্তব সাম্যের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন :নিখোঁজ মেয়ের ছিন্ন ভিন্ন দেহ জঙ্গলে পড়ে থাকতে দেখে তিনি বিধির কাছে বিচার চাইতে পারেন না ; তিনি পারেন কবিতায় বাস্তবকে মূর্ত করতে - কোন রক্তচক্ষুর ভয়ে কিম্বা নির্মমতায় তিনি চুপ থাকতে পারেন না ।
পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে 2006-2011 সাল একটি উল্লেখ্য অধ্যায় - এ সময় খবরের শিরোনামে উঠে আসে হুগলি জেলার সিঙ্গুর ।শিল্পসংস্থা টাটা গ্রুপ
সেখানে গড়তে চাই মোটর গাড়ি কারখানা ;এগিয়ে আসে সেই সময়ের ক্ষমতাসীন বামফ্রন্ট সরকার । সিঙ্গুরের জমি একফসলি তকমা দিয়ে শুরু হয় জোরপূর্বক অধিগ্রহণ ।শুরু হয় চাপান উতোর ,ক্ষোভে ফেটে পড়েন কৃষকরা ,বিপক্ষ রাজনীতিক দল কৃষকদের পাশে দাঁড়ানই কৃষকদের মনোবল বৃদ্ধি পায় ।নন্দীগ্রাম ,সিঙ্গুর গণহত্যার প্রতিবাদে পথে নামেন বুদ্ধিজীবী গণ ।
ক্রন্দনতা জননীর পাশে নামক কবিতায় কবি মৃদুল এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখে চিত্রিত করেছেন অগ্নিগর্ভ একটি সময়কে ।কবি একজন সমাজসচেতন ,সাংবাদিক মানুষ ;সমাজের অনাচার তুলে ধরাই তাঁর কাজ ;একি সঙ্গে তিনি মানব দরদী কবি :তাঁর বিবেকবোধ সবসময় জাগ্রত ,তাই বাংলার এই অগ্নিগর্ভ রূপ দেখে তিনি চুপ থাকতে পারেননি - ছুটে গেছেন সিঙ্গুর ,নন্দীগ্রাম ,প্রশ্ন করেছেন নিজের বিবেককে -
"ক্রন্দনতা জননীর পাশে /এখন যদি না থাকি /কেন তবে লেখা........"
আসলে কবিতা হল কবির বিবেকীসত্তা ,তাই তিনি অনাচার - অবিচারের কাছে কখনো মাথা নত করেননি ;তাই কবির নির্ভীক উচ্চারণ -
" নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে /নাই যদি হয় ক্রোধ /কেন ভালবাসা ,কেন বা সমাজ......"
তাই দলমত বিচার না করেই বাস্তব সাম্যের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন :নিখোঁজ মেয়ের ছিন্ন ভিন্ন দেহ জঙ্গলে পড়ে থাকতে দেখে তিনি বিধির কাছে বিচার চাইতে পারেন না ; তিনি পারেন কবিতায় বাস্তবকে মূর্ত করতে - কোন রক্তচক্ষুর ভয়ে কিম্বা নির্মমতায় তিনি চুপ থাকতে পারেন না ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন