রবীন্দ্র কবিতা রূপনারানের কুলে - আলোচক আরিফুল ইসলাম সাহাজি
বাংলা সাহিত্যের সব চেয়ে বড় তারকা হলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।তাঁর অসংখ্য কবিতাবলির মধ্যে একটি স্বরণীয় কবিতা হল 'রূপনারানের কুলে'।কবিতাটির রচনাকাল 13ই মে ,1941 আর মনীষী রবীন্দ্রনাথের মহাপ্রয়ান 7ই আগস্ট 1941 ,বস্তুত
জীবনের শেষ প্রান্তে উপনীত রবী কবি জীবনরূপ
অস্তায়মান সূর্যের লালচে আলোয় এঁকেছেন বাস্তবের
নির্মম জলছবি ।
বিজ্ঞ রবীন্দ্রনাথ জীবনের শেষ সময়ে এসে জীবনকে দেখেছেন নানারূপে ।কবিতাটিতে রূপনারাণ কিম্বা তার কুল ,শব্দ বলতে কোন নদীকে বোঝাননি ,রূপনারাণ বলতে বুঝিয়েছেন রূপময় বাস্তব জগত ,যা প্রাণময় প্রবাহ ।এ প্রবাহ চিরন্তন ,একি সঙ্গে তা কঠিন ও ।মনীষী রবীন্দ্রনাথ নিজের অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে অনুভব করেছেন জীবনের মূল অভিপ্রায় :সর্বপরি জগত সংসারে হিংসা ,দ্বেষ ,হানাহানি ,রক্তচক্ষু আস্ফালন
এ সবের মধ্যেই তিনি বাস্তব জীবনকে ।
কবির মনে হয়েছে ,এ জগত কঠিন হলেও জ্বলন্ত বাস্তব -তা স্বপ্ন নয় ,তা কাউকে প্রতারিত করে না কিম্বা বঞ্চিত করে না ,তাই প্রজ্ঞ কবির মনে হয়েছে এ বাস্তবকে মেনে নিয়েই কঠিনকে ভালবাসলাম ।আসলে এ বাস্তব অনুভূতি লাভ মানুষকে কৃতজ্ঞ করে নেচার এর কাছে ;আর এ কৃতজ্ঞতা বা ঋণশোধ এর শ্রেষ্ঠ উপায় মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে জীবনের পরিসমাপ্তি ।
কবিতার এক্কেবারে প্রথম চার লাইন লক্ষ করবার মত - "রূপনারানের কুলে জেগে উঠলাম ",এই জেগে ওঠা ,বলতে আক্ষরিক অথৈ রবীন্দ্রনাথ ঘুম থেকে জেগে ওঠাকে বুঝিয়েছেন ।শ্রীমতি রানীচন্দ্র ,তাঁর "আলাপচারি রবীন্দ্রনাথ "বইয়ের একত্রে ঘুম ও জাগরণের বিভেদ নিরূপণ করতে গিয়ে রবীন্দ্র দর্শনের কথা বলতে গিয়ে বলেছেন "রাত্রি হচ্ছে ঘুমে স্বপ্নে অন্ধকারে জড়িত ।এই স্বপ্ন মানুষের বুদ্ধিকে দুঃখ দিয়ে বেড়ায় ।এই কুহেলিকা যখন সরে যায় ,তখনই দেখা যায় সত্তের রূপ ।"
আমাদের আলোচ্য কবিতাটিতেও কবি সত্তের বেআব্রু রূপ উন্মোচিত করতে এ কথাগুলিই উচ্চারণ করেছেন ।
জীবনের শেষ প্রান্তে উপনীত রবী কবি জীবনরূপ
অস্তায়মান সূর্যের লালচে আলোয় এঁকেছেন বাস্তবের
নির্মম জলছবি ।
বিজ্ঞ রবীন্দ্রনাথ জীবনের শেষ সময়ে এসে জীবনকে দেখেছেন নানারূপে ।কবিতাটিতে রূপনারাণ কিম্বা তার কুল ,শব্দ বলতে কোন নদীকে বোঝাননি ,রূপনারাণ বলতে বুঝিয়েছেন রূপময় বাস্তব জগত ,যা প্রাণময় প্রবাহ ।এ প্রবাহ চিরন্তন ,একি সঙ্গে তা কঠিন ও ।মনীষী রবীন্দ্রনাথ নিজের অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে অনুভব করেছেন জীবনের মূল অভিপ্রায় :সর্বপরি জগত সংসারে হিংসা ,দ্বেষ ,হানাহানি ,রক্তচক্ষু আস্ফালন
এ সবের মধ্যেই তিনি বাস্তব জীবনকে ।
কবির মনে হয়েছে ,এ জগত কঠিন হলেও জ্বলন্ত বাস্তব -তা স্বপ্ন নয় ,তা কাউকে প্রতারিত করে না কিম্বা বঞ্চিত করে না ,তাই প্রজ্ঞ কবির মনে হয়েছে এ বাস্তবকে মেনে নিয়েই কঠিনকে ভালবাসলাম ।আসলে এ বাস্তব অনুভূতি লাভ মানুষকে কৃতজ্ঞ করে নেচার এর কাছে ;আর এ কৃতজ্ঞতা বা ঋণশোধ এর শ্রেষ্ঠ উপায় মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে জীবনের পরিসমাপ্তি ।
কবিতার এক্কেবারে প্রথম চার লাইন লক্ষ করবার মত - "রূপনারানের কুলে জেগে উঠলাম ",এই জেগে ওঠা ,বলতে আক্ষরিক অথৈ রবীন্দ্রনাথ ঘুম থেকে জেগে ওঠাকে বুঝিয়েছেন ।শ্রীমতি রানীচন্দ্র ,তাঁর "আলাপচারি রবীন্দ্রনাথ "বইয়ের একত্রে ঘুম ও জাগরণের বিভেদ নিরূপণ করতে গিয়ে রবীন্দ্র দর্শনের কথা বলতে গিয়ে বলেছেন "রাত্রি হচ্ছে ঘুমে স্বপ্নে অন্ধকারে জড়িত ।এই স্বপ্ন মানুষের বুদ্ধিকে দুঃখ দিয়ে বেড়ায় ।এই কুহেলিকা যখন সরে যায় ,তখনই দেখা যায় সত্তের রূপ ।"
আমাদের আলোচ্য কবিতাটিতেও কবি সত্তের বেআব্রু রূপ উন্মোচিত করতে এ কথাগুলিই উচ্চারণ করেছেন ।
Good kobita.
উত্তরমুছুন