আরবদের আফ্রিকা বিজয়ের একটি অনিন্দ সুন্দর কাহিনী - প্রতিবেদক :আরিফুল ইসলাম সাহাজি
তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান (রাঃ) তখন সমগ্র মুসলিম জাহানের রাষ্টীয় প্রধান ।ইসলাম প্রচার এবং প্রসারের গুরু দায়িত্ব তাঁর পবিত্র কাঁধে ।আফ্রিকার পুরো ভূখণ্ড তখনও ইসলাম সাম্রাজ্য ভুক্ত হয়নি ।ভূ মধ্য
সাগর তীরবর্তী একটি পরাক্রমশালী নগর হিসাবে খ্যাত ছিল তারাবেলাস নামক নগরটি ।রাজা জার্জিস এর রাজধানী নগর এটি ।
বলাবাহুল্য ইসলাম তখন অপ্রতিরোধ্য একটি শক্তি ।একে একে বিশ্বের পুরোভাগের একটা বৃহৎ অংশ তখন ইসলাম সাম্রাজ্য ভুক্ত ।কিন্তু পরাক্রমশীল রাজা জার্জিস মুসলিমদের সমুখে এক বিরাট প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ।তিনি প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার সেপাই নিয়ে মুসলিম সেনাপতি আবদুল্লাহ ইবন সাদ (রাঃ) মুখোমুখি হন ।রাজা জার্জিস নিজে সামনে থেকে সেনাবাহিনী পরিচালিত করতে থাকেন ।পাশে জার্জিস এর অপরূপ সুন্দরী কন্যা ।তিনি ভাবলেন তাঁর বিশাল এবং দুর্ধর্ষ বাহিনী দ্বারা মুসলিমরা এবার দাঁতভাঙ্গা শিক্ষা পাবে ।কিন্তু হল ঠিক বিপরীত ।সুশৃঙ্খল মুসলিম বাহিনীর পাল্টা আঘাতে জার্জিস এর বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ল ।হতাশ কিন্তু রণচতুর জার্জিস তৎক্ষণত ঘোষণা দিলেন ,যে বীর মুসলিম সেনাপতি শাদের মুণ্ডু কেটে আনতে পারবে আমার অপরূপ সুন্দরী কন্যা লাভ করবে ।
এ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আফ্রিকা সেনানীদের মধ্যে যেন নবজীবন ফিরে এল ।তারা মুসলিম বাহিনীর উপর পাল্টা আঘাত হানল ।তাদের উন্মাদ আক্রমণে এবার মুসলিম বাহিনীর ছত্রভঙ্গ হবার পালা ।এ যুদ্ধ এ মহম্মদ সঃ এর প্রিয় সাহাবী হযরত যুবাইর রাঃ ও অংশ নিয়ে ছিলেন ।তিনি হযরত সাদকে পরামর্শ দিলেন ,ওদের কৌশলেই মাত দিতে ।তখন সেনানায়ক সাদ ঘোষণা দিলেন ,যে মুসলিম বীর জার্জিস এর মস্তক শির থেকে ছিন্ন করতে পারবে তাঁকে আফ্রিকার সুন্দরী রাজকন্যা সমর্পণ করা হবে ।
তারাবেলাস এর রণভূমে ঘোরতর যুদ্ধ সংঘটিত হল ।উভয় পক্ষ বিক্রমের সঙ্গে লড়াই করল ।শেষ পর্যন্ত মুসলিম বাহিনী আফ্রিকা ভূখণ্ড ও বিজয় পতাকা উড্ডীন করল ।পরাজিত জার্জিস কাটা মুণ্ডু সহ রাজকুমারী কে মুসলিম শিবিরে নিয়ে আসা হল ।কে সেই বীর যে এই অসীম সাহসিকতার কাজ করল ?,সেনানায়ক সাদ উচ্চ স্বরে আহ্বান করলেন কে সেই মুসলিম বীর যিনি জার্জিস এর মত বীর যোদ্ধাকে পরাজিত করেছেন ,বেরিয়ে আসুন ;আমি আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করব ।কিন্তু সমগ্র মুসলিম শিবির নিশ্চুপ ।সাদ আরও দুবার আহ্বান করেও অসফল হলেন ।এই হতবাক করা ঘটনা চাক্ষুস করে রাজকুমারী অবাক হলেন ।তাঁর মত লাস্যময়ী রমণীকে পাবার এমন সুযোগ পেয়েও সবাই এতটা উদাসীন ।তিনি তাঁর পিতার হত্যাকারীকে দেখতে পাচ্ছেন ।কিন্তু তিনি দাবি করছেন না কেন ?টাকা ,সম্পদ ,নারীর মোহ কেউ উপেক্ষা করতে পারে ।
ইতিহাসে এমন বড় যোদ্ধা ,এমন নিস্প্রভ জাতি তিনি ইতিপূর্বে আর দেখেন নি ? পিতৃহত্যার ক্রোধ এতক্ষণ তাঁকে প্রতিশোধ পরায়ণ করে তুলছিল ,কিন্তু মুসলিম সেনানীদের এহেন নির্লোভ তাঁকে অভিভূত করে তুলল ।শেষে সেনাপতি শাদের নির্দেশে রাজকুমারী তাঁর পিতৃহন্তা হযরত যুবাইরকে দেখিয়ে দিয়ে বললেন - ইনি আমার পিতার হত্যাকারী ,ইনিই সেই মুসলিম বীর ।
সেনাপতি সাদ তখন হযরত যুবাইরকে অনুরোধ করলেন ,তাঁর পুরস্কার তিনি যেন গ্রহণ করেন ।কিন্তু হযরত যুবাইর অত্যন্ত বিনয় এর সঙ্গে তা প্রত্যাখ্যন করলেন ।তিনি বললেন ,তিনি পার্থিব কোন পুরস্কার এর জন্য যুদ্ধ করেননি ,আর পৃথিবীর কোন পুরস্কার ও তিনি গ্রহণে অক্ষম !আমার জন্য আমার আল্লাই যথেষ্ট ।
সাগর তীরবর্তী একটি পরাক্রমশালী নগর হিসাবে খ্যাত ছিল তারাবেলাস নামক নগরটি ।রাজা জার্জিস এর রাজধানী নগর এটি ।
বলাবাহুল্য ইসলাম তখন অপ্রতিরোধ্য একটি শক্তি ।একে একে বিশ্বের পুরোভাগের একটা বৃহৎ অংশ তখন ইসলাম সাম্রাজ্য ভুক্ত ।কিন্তু পরাক্রমশীল রাজা জার্জিস মুসলিমদের সমুখে এক বিরাট প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ।তিনি প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার সেপাই নিয়ে মুসলিম সেনাপতি আবদুল্লাহ ইবন সাদ (রাঃ) মুখোমুখি হন ।রাজা জার্জিস নিজে সামনে থেকে সেনাবাহিনী পরিচালিত করতে থাকেন ।পাশে জার্জিস এর অপরূপ সুন্দরী কন্যা ।তিনি ভাবলেন তাঁর বিশাল এবং দুর্ধর্ষ বাহিনী দ্বারা মুসলিমরা এবার দাঁতভাঙ্গা শিক্ষা পাবে ।কিন্তু হল ঠিক বিপরীত ।সুশৃঙ্খল মুসলিম বাহিনীর পাল্টা আঘাতে জার্জিস এর বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ল ।হতাশ কিন্তু রণচতুর জার্জিস তৎক্ষণত ঘোষণা দিলেন ,যে বীর মুসলিম সেনাপতি শাদের মুণ্ডু কেটে আনতে পারবে আমার অপরূপ সুন্দরী কন্যা লাভ করবে ।
এ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আফ্রিকা সেনানীদের মধ্যে যেন নবজীবন ফিরে এল ।তারা মুসলিম বাহিনীর উপর পাল্টা আঘাত হানল ।তাদের উন্মাদ আক্রমণে এবার মুসলিম বাহিনীর ছত্রভঙ্গ হবার পালা ।এ যুদ্ধ এ মহম্মদ সঃ এর প্রিয় সাহাবী হযরত যুবাইর রাঃ ও অংশ নিয়ে ছিলেন ।তিনি হযরত সাদকে পরামর্শ দিলেন ,ওদের কৌশলেই মাত দিতে ।তখন সেনানায়ক সাদ ঘোষণা দিলেন ,যে মুসলিম বীর জার্জিস এর মস্তক শির থেকে ছিন্ন করতে পারবে তাঁকে আফ্রিকার সুন্দরী রাজকন্যা সমর্পণ করা হবে ।
তারাবেলাস এর রণভূমে ঘোরতর যুদ্ধ সংঘটিত হল ।উভয় পক্ষ বিক্রমের সঙ্গে লড়াই করল ।শেষ পর্যন্ত মুসলিম বাহিনী আফ্রিকা ভূখণ্ড ও বিজয় পতাকা উড্ডীন করল ।পরাজিত জার্জিস কাটা মুণ্ডু সহ রাজকুমারী কে মুসলিম শিবিরে নিয়ে আসা হল ।কে সেই বীর যে এই অসীম সাহসিকতার কাজ করল ?,সেনানায়ক সাদ উচ্চ স্বরে আহ্বান করলেন কে সেই মুসলিম বীর যিনি জার্জিস এর মত বীর যোদ্ধাকে পরাজিত করেছেন ,বেরিয়ে আসুন ;আমি আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করব ।কিন্তু সমগ্র মুসলিম শিবির নিশ্চুপ ।সাদ আরও দুবার আহ্বান করেও অসফল হলেন ।এই হতবাক করা ঘটনা চাক্ষুস করে রাজকুমারী অবাক হলেন ।তাঁর মত লাস্যময়ী রমণীকে পাবার এমন সুযোগ পেয়েও সবাই এতটা উদাসীন ।তিনি তাঁর পিতার হত্যাকারীকে দেখতে পাচ্ছেন ।কিন্তু তিনি দাবি করছেন না কেন ?টাকা ,সম্পদ ,নারীর মোহ কেউ উপেক্ষা করতে পারে ।
ইতিহাসে এমন বড় যোদ্ধা ,এমন নিস্প্রভ জাতি তিনি ইতিপূর্বে আর দেখেন নি ? পিতৃহত্যার ক্রোধ এতক্ষণ তাঁকে প্রতিশোধ পরায়ণ করে তুলছিল ,কিন্তু মুসলিম সেনানীদের এহেন নির্লোভ তাঁকে অভিভূত করে তুলল ।শেষে সেনাপতি শাদের নির্দেশে রাজকুমারী তাঁর পিতৃহন্তা হযরত যুবাইরকে দেখিয়ে দিয়ে বললেন - ইনি আমার পিতার হত্যাকারী ,ইনিই সেই মুসলিম বীর ।
সেনাপতি সাদ তখন হযরত যুবাইরকে অনুরোধ করলেন ,তাঁর পুরস্কার তিনি যেন গ্রহণ করেন ।কিন্তু হযরত যুবাইর অত্যন্ত বিনয় এর সঙ্গে তা প্রত্যাখ্যন করলেন ।তিনি বললেন ,তিনি পার্থিব কোন পুরস্কার এর জন্য যুদ্ধ করেননি ,আর পৃথিবীর কোন পুরস্কার ও তিনি গ্রহণে অক্ষম !আমার জন্য আমার আল্লাই যথেষ্ট ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন