সোহারাব হোসেনের মৃত্যু বাংলা সাহিত্যের অপূরণীয় ক্ষতি ॥
জন্ম নিলে মরতে হবে ,বিশ্বপিতার অমোঘ বিধানগুলির একটি ।একইভাবে কোন মৃত্যুই অকালে নয় ,সম্পাদিত হয় নির্দিষ্ট সময় ও কালে ।তবে ,কোন কোন ক্ষেত্রে মনে হয় এখনো হয়নি সময় এভাবে চলে যাবার ।তৈরি হয় অপূরণীয় শূন্যতা ।সুসাহিত্যিক - বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সোহারাব হোসেনের প্রয়াণ সাহিত্যপ্রেমী পাঠক হৃদয়কে ভারাক্রান্ত করবে সেটায় স্বাভাবিক ।
<script async src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script>
<!-- babun -->
<ins class="adsbygoogle"
style="display:block"
data-ad-client="ca-pub-8859464621580427"
data-ad-slot="7736028175"
data-ad-format="auto"
data-full-width-responsive="true"></ins>
<script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script>
কৃতি ছাত্র ও শিক্ষাবিদ সোহারাব হোসেন একুশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যের একটি বিশিষ্ট স্বর ।তাঁর কলম কাদামাটি,গ্রাম বাংলার সহজ সরল জীবনের আলেখ্য হিসাবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে শহুরে কথকতার পাশে ।মাটিয়ার মত অজ পাড়াগাঁয় জন্মই হয়ত লেখককে দিয়েছে এই সঞ্জীবনী সুধা ।'হায়েনা মানুষ ','বদলি বসত ','শরম আলীর ভুবন 'প্রভৃতি গ্রন্থে পাঠক খুঁজে পান এক মরমী - দরদী কণ্ঠস্বর ।'রূপকথার পুতুল ','ভূত পিসির ডাক 'প্রভৃতি শিশুতোষমূলক গ্রন্থে আমোদিত করেছেন কচি কাচাদের ।'আয়লা যুদ্ধ ','সুখ সন্ধানে যাও 'তাঁর অন্যতম গল্পগ্রন্থ ।উপন্যাস সৃজনেও সফল তিনি ।'রাজার অসুখ ','মাঠ জাদু জানে ','সহবাস পরবাস' তাঁর পাঠকপ্রিয় উপন্যাস ।
ব্যক্তি জীবনে ভদ্র ও অসম্ভব ভাল মানুষ ছিলেন ।ছিলেন বন্ধুবৎসল ।নিজে একাধিক গ্রন্থ প্রকাশ করে ক্ষান্ত হয়নি ।উৎসাহিত করেছেন ,গ্রন্থ প্রকাশে সাহায্য করেছেন অনেককে ।বিশিষ্ট লেখক ও সাহিত্যিকদের ফেসবুক ওয়ালে ঘুরপাক খাচ্ছে সে কথা ।
মৃত্যু একটি পর্দা মাত্র ।মানুষ বাঁচে চিরন্তন তাঁর কর্মে ও সৃষ্টে ।সোহারাব হোসেন বেঁচে থাকবেন তাঁর সৃষ্টির মধ্যে ।
আরিফুল ইসলাম সাহাজি
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন