ধ্বনি , বর্ণ ও দল - আলোচনা করছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি
. ধ্বনি
ধ্বনি শব্দটির সাধারণ অর্থ হলো শব্দ বা আওয়াজ । কিন্তু ব্যাকরণগত আলোচনায় শুধুমাত্র শব্দ বা আওয়াজকে আমরা ধ্বনি বলতে পারবো না । সেক্ষেত্রে ধ্বনি বিষয়ক আলোচনায় আমাদের বলতে হবে , মানুষের বাগযন্ত্র অর্থাৎ কণ্ঠ , তালু , ওষ্ঠ , মূর্ধা , দন্তের সাহায্যে উচ্চারিত আওয়াজ হলো ধ্বনি । ।
. বর্ণ ও অক্ষর
সাধারণগত দিক থেকে দেখলে বর্ণ ও ধ্বনির মধ্যে বিশেষ ফারাক নেই , বরং সমর্থকই মনে হয় । কিন্তু ব্যাকরণগত দিক থেকে দেখলে বর্ণ ও ধ্বনি পৃথক সত্ত্বাবিশিষ্ট । ব্যাকরণে বর্ণ বলতে , ধ্বনির লিখিত রুপকে বোঝায় ।আবার অক্ষর হলো শব্দের যতটুকু অংশ আমরা একবারে উচ্চারণ করতে পারি সেইটুকু অংশ হলো অক্ষর । বর্ণের উদাহরণ হলো , অ , আ , ই , ঈ ইত্যাদি । আর অক্ষর হলো , তুমি - তু , মি লক্ষ্য করো এখানে কিন্তু দুটি অক্ষর আছে ।
. স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি
আলোচ্য ধ্বনি অর্থাৎ মানুষের দ্বারা উচ্চারিত শব্দবন্ধের লিখিত রুপ বর্ণ সমূহ আবার দুইভাবে বিভক্ত । স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ । স্বরবর্ণের ক্ষেত্রে বলতে হয় , যে বর্ণসমূহ উচ্চারণের সময় মুখের মধ্যে কোন জায়গায় বাধা না পেয়ে উচ্চারিত হতে পারে , তাদেরকে আমরা স্বরবর্ণ রুপে আখ্যায়িত করবো । উদাহরণ , অ , আ , ই ইত্যাদি ।
আবার কতকগুলি এমন ধ্বনি আছে যেগুলি উচ্চারণের সময় শ্বাসবায়ু মুখের ভিতর কণ্ঠ , তালু , দাঁত ইত্যাদি নানা জায়গাতে বাধাপ্রাপ্ত হয় , সেই সমস্ত ধ্বনি সমূহকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে । মনে রাখো , স্বরধ্বনি সমূহের উচ্চারণে কারও সাহায্য নেয় না , অর্থাৎ তারা নিজেরাই উচ্চারিত হতে পারে । অন্যদিকে ব্যঞ্জনধ্বনি সমূহ স্বরধ্বনির সাহায্য ব্যতীত উচ্চারিত হতে পারে না । । প্রচলিত বাংলাই ১১ টি স্বরবর্ণ এবং ৩৯ টি ব্যঞ্জনবর্ণ দেখতে পাওয়া যায় । ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন