পথের দাবি গল্পে গিরিশ মহাপাত্রের পোশাক পরিচ্ছেদ ও অদ্ভুত দর্শন বিষয়ক আলোচনা ।
আলোচনা করছেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আরিফুল ইসলাম সাহাজি । ।
শরৎচন্দ্র চট্রপাধ্যায় বিরচিত পথের দাবি উপন্যসের অংশ বিশেষ আমাদের পাঠ্য । পাঠ্যংশটির একটি আলোচিত চরিত্র হলো ছদ্মবেশী বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিক , যিনি গল্পে দেখা দিয়েছেন তেলখনির শ্রমিক গিরিশ মহাপাত্ররুপে ।
গিরিশ মহাপাত্রের চেহারা , পোশাকের মধ্যে লেখক অপূর্ব কৌতুকময় অবস্থার সংস্থাপন করেছেন । বয়স ত্রিশ বত্রিশের অধিক নয় । রঙ অত্যন্ত ফর্সা , তবে রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে গেছে । শরীর হালকা পাতলা , একটু কাশি হলেই কম্পিত হয় পুরো শরীর । দেখে মনে হয় পৃথিবীর মায়া কেটে যাবে তাড়াতাড়ি । ভিতরে বাসা বেঁধেছে দুরারোগ্য কোন ব্যধি । দেহ ক্ষয় হচ্ছে নদী ভাঙ্গনের মত । তবে আশ্চর্য বিষয় দুটি চোখের দৃষ্টি ,
' ' সে চোখ চোট কী বড় , টানা কী গোল , দীপ্ত কী প্রভাহীন এ সকল বিবরণ , দিতে যাওয়ায় বৃথা । অত্যন্ত গভীর জলাশয়ের কী যে তাহাতে আছে ভয় হয় , এখানে খেলা চলিবে না ' '
অপূর্ব সে চোখের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে ।
পোশাক পরিচ্ছেদের যে বর্ণনা দিয়েছেন লেখক , তাতে ওঠে হাসির ফোয়ারা । মাথার সামনে দিকে বড় বড় চুল , কিন্তু ঘাড় ও কানের দিকে প্রায় নেই । মাথায় চেরা সিঁথি । কঠিন রুক্ষ্ম কেশ থেকে নেবুর তেল জবজবে করে মাখা । উদ্ভট গন্ধে দিশেহারা নিমাইবাবু অপূর্বরা । গায়ে জাপানি সিল্কের চুড়িদার পাঞ্জাবি । বুক পকেটে বাঘ আঁকা রুমাল , যার কিছুটা বাইরে বেরিয়ে আছে । পরনে বিলিতি মিলের মখমলে শাড়ি , পায়ে রয়েছে সবুজ রঙের মোজা , হাঁটুর উপরে লাল ফিতে দিয়ে বাঁধা । পায়ে পাম সু , হাতে হরিণের শিংয়ের হাতল দেয়া বেতের ছড়ি ।
এভাবে পুরো গল্পঅংশটিতে গল্পকার সব্যসাচী মল্লিককে এক ভাঁড়ের বেশে উপস্থাপন করেছেন । যা পাঠ করে পাঠক মাত্রই কৌতুক অনুভব করে । ।
Bhogot Singh |
শরৎচন্দ্র চট্রপাধ্যায় বিরচিত পথের দাবি উপন্যসের অংশ বিশেষ আমাদের পাঠ্য । পাঠ্যংশটির একটি আলোচিত চরিত্র হলো ছদ্মবেশী বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিক , যিনি গল্পে দেখা দিয়েছেন তেলখনির শ্রমিক গিরিশ মহাপাত্ররুপে ।
গিরিশ মহাপাত্রের চেহারা , পোশাকের মধ্যে লেখক অপূর্ব কৌতুকময় অবস্থার সংস্থাপন করেছেন । বয়স ত্রিশ বত্রিশের অধিক নয় । রঙ অত্যন্ত ফর্সা , তবে রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে গেছে । শরীর হালকা পাতলা , একটু কাশি হলেই কম্পিত হয় পুরো শরীর । দেখে মনে হয় পৃথিবীর মায়া কেটে যাবে তাড়াতাড়ি । ভিতরে বাসা বেঁধেছে দুরারোগ্য কোন ব্যধি । দেহ ক্ষয় হচ্ছে নদী ভাঙ্গনের মত । তবে আশ্চর্য বিষয় দুটি চোখের দৃষ্টি ,
' ' সে চোখ চোট কী বড় , টানা কী গোল , দীপ্ত কী প্রভাহীন এ সকল বিবরণ , দিতে যাওয়ায় বৃথা । অত্যন্ত গভীর জলাশয়ের কী যে তাহাতে আছে ভয় হয় , এখানে খেলা চলিবে না ' '
অপূর্ব সে চোখের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে ।
<script async src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script> <ins class="adsbygoogle" style="display:block; text-align:center;" data-ad-layout="in-article" data-ad-format="fluid" data-ad-client="ca-pub-8859464621580427" data-ad-slot="8799548003"></ins> <script> (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({}); </script>
পোশাক পরিচ্ছেদের যে বর্ণনা দিয়েছেন লেখক , তাতে ওঠে হাসির ফোয়ারা । মাথার সামনে দিকে বড় বড় চুল , কিন্তু ঘাড় ও কানের দিকে প্রায় নেই । মাথায় চেরা সিঁথি । কঠিন রুক্ষ্ম কেশ থেকে নেবুর তেল জবজবে করে মাখা । উদ্ভট গন্ধে দিশেহারা নিমাইবাবু অপূর্বরা । গায়ে জাপানি সিল্কের চুড়িদার পাঞ্জাবি । বুক পকেটে বাঘ আঁকা রুমাল , যার কিছুটা বাইরে বেরিয়ে আছে । পরনে বিলিতি মিলের মখমলে শাড়ি , পায়ে রয়েছে সবুজ রঙের মোজা , হাঁটুর উপরে লাল ফিতে দিয়ে বাঁধা । পায়ে পাম সু , হাতে হরিণের শিংয়ের হাতল দেয়া বেতের ছড়ি ।
এভাবে পুরো গল্পঅংশটিতে গল্পকার সব্যসাচী মল্লিককে এক ভাঁড়ের বেশে উপস্থাপন করেছেন । যা পাঠ করে পাঠক মাত্রই কৌতুক অনুভব করে । ।
SEX AND WHATSAPP
উত্তরমুছুন