দেশের মানুষ যাঁকেই নেতা বাছুন , তিনি যেন শিক্ষিত , সুদক্ষ রুপকার এবং অবশ্যই পরধর্ম সহিষ্ণু হন । ।
নির্বাচনের মহাযজ্ঞ চলছে , আগামী পাঁচবছর কে থাকবে ক্ষমতার অলিন্দে , তা বেছে নেওয়ার সময় এখন । কেটে যাওয়া পাঁচটি বছর কেমন গেছে , এ বিষয়ে বিলক্ষণ জ্ঞাত আছেন দেশের মানুষ । সে বিষয়ে আর কালি নষ্ট না করলেও চলে , ইতিপূর্বে সহস্র পৃষ্টা লেখা লিখে ফেলেছেন দেশের সুচিন্তকগণ । আগামী পাঁচটা বছর কেমন চললে দেশের ঐতিহ্য সন্মান অক্ষুন্ন থাকবে সেটায় মুখ্য বিষয় । তবে পিছনের দিনগুলো না ফিরলেও , পিছনের দিনগুলোকে মনে রেখেই নির্বাচন করতে হবে আগামী পক্ষকে , কেননা পাঁচটা বছর অনেক সময় । কোন অযোগ্য মানুষ দেশের শাসক হন সেটা কখনই কাম্য নয় । ভারতীয় জনতার কাছে এ নিবার্চন নিছক সমান্য বিষয় নয় , দেশ ও জাতির বিপন্নতার প্রশ্ন। দেশের মানুষকেই বেছে নিতে হবে যোগ্য নেতাকে । রাজনীতিক পরিমণ্ডলে এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অশিক্ষিত মানুষের বাড়ন্তপূর্ণ উপস্থিতি লক্ষ্য করবার মত । শুধু অশিক্ষিত তবে ভদ্রস্বভাবের মানুষ হলেও মনটা একটু প্রশান্ত হত । লজ্জার এবং দুঃখের বিষয় , অশিক্ষিত তো বটে , অসামাজিক বখাটে মানুষগুলোই এখন সমাজের স্বঘোষিত মাথা । যে বা যাঁরা খুবই কষ্ট করে বাপ গেছি গো মা , গেছি গো করে শুধুমাত্র নিজের নামটাই লিখতে পারে , যাদের অনেকেরই মুখের অসভ্যকথন কলকাতার রসগোল্লার মত মিষ্টি , তার দ্বারা কোন মঙ্গল সাধিত হবে সমাজের , দেশের ? এমন প্রশ্ন একটু সচেতন মানুষের মনে ওঠা স্বাভাবিক । অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন , তথাকথিত শিক্ষিত মানুষরা কেন রাজনীতিক অঙ্গনে সফল হতে পারছেন না ? অল্পশিক্ষিত মানুষরা তবে রাজনীতিতে আসবেন না , একথা কিন্তু বলছি না , তবে গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে তাঁরা বসলে সমাজ ও রাষ্ট্র ক্ষতির মুখে পড়বে । যোগ্য মানুষকেই যোগ্য আসনে বসালে তবেই সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে । যোগ্য ও মেধাবী নেতৃত্বের অভাবেই যতটা অগ্রগতি হওয়ার কথা ছিল , তা কখনই আমাদের দেশ অর্জন করতে পারেনি ।
শিক্ষিত সুসভ্য জনমানব রাজনীতির ধারপাশ দিয়ে যেতে চান না কেন ? আসলেও বেশিরভাগ বিফল কেন হন ? বিষয়টি বেশ উপভোগ্যময় । প্রথমত রাজনীতিক অঙ্গন এখন যথেষ্ট আগাছাপূর্ণ , সেখানে উচ্চবীজের ফসলের উদগমও ভাল হবে না , এটা এখন শিশুরাও জেনে গেছে । বিষয়টি উপস্থাপন করতে একটি মজার ঘটনা মনে পড়ে গেল । একটুখানি বলি শুনুন , একটি বিদ্যালয়ে কিছুদিন পড়ানোর সুযোগ হয়েছিল । একটি ছেলে পড়ত নবম শ্রেণীতে মাফিয়া টাইপের । তার নামে অভিযোগের পাহাড় জমে আছে প্রধানশিক্ষক মহাশয়ের টেবিলে । প্রধানশিক্ষক মহাশয়ের সঙ্গে একদিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপচারিতাই মগ্ন আছি , হঠাৎ নবমশ্রেণীর কিছু ছাত্র একটি মেধাবী ছাত্রকে ধরে নিয়ে আসছে । ছেলেটির নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে অল্প অল্প । সেই একই অভিযোগ । আর পারছি না তো বলে দীর্ঘশ্বাস ফেললেন বয়স্ক মাস্টারমশায় । গম্ভীর ভাবে আমাকে বললেন , তুমি তো লেখক মানুষ , বল তো ওই জানোয়ারটা বড় হয়ে কী হবে ? আমি বললে বলতে পারতাম , তবে উনি আমার থেকে অনেক বেশি পৃথিবী দেখেছেন বলে , মাস্টারমশায়ের অভিমতটা শুনবার লোভ হলো , বললাম আপনিই বলুন । তিনি প্রবীণ , আমি নবীন , তবে এক্ষেত্রে দুজনের অভিজ্ঞান হুবহু মিলে গেল । স্যার বললেন , দেখো ও বড় পলিটিশিয়ান হবে । বললাম , তাহলে কী একটু সমীহ করে চলব , পড়ে অনেক কাজ উদ্ধার করা যাবে । উনি মৃদু হাসলেন । আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের ভারত আগমনের মত সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে যেন , রাজনীতিকভাবে সফল হতে গেলে আপনাকে বাহুবলী হতে হবে ।সেখানে দাঁড়িয়ে নিরীহ ভদ্রলোকগণ কিভাবে সফল হবেন ?
ভারতবর্ষের মত এত বৈচিত্রময় দেশ পৃথিবীতে আর একটিও নেই । রয়েছে নানা ভাষা ও ধর্মীয়বিহার । পারস্পরিক বন্ধন , সৌভ্রাতৃত্ববোধই আমাদের চিরন্তন ঐতিহ্য ও ইতিবৃত্ত ।তবে গত কয়েক বছরে একাধিক বিচ্ছিন্ন এবং অপ্রীতিকর ঘটনা ভারতবর্ষের চিরন্তন ঐতিহ্য , সৌভ্রাতৃত্বের মহৎ আদর্শের উপর আঘাত হেনেছে । ইতিহাস , ঐতিহ্য , সংস্কৃতির উপর এই উদ্ভট , অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ সুনাগরিক সমস্ত ভারতীয়কে বিষন্ন করে তুলেছে । প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক , সুসভ্য ভারতবর্ষের আসল বুনিয়াদ কী হওয়া উচিৎ ? বর্তমান সমাজ ,রাষ্ট্র বিজ্ঞানের উৎকর্ষিত জায়গায় অবস্থান করছে ।সভ্য, উন্নত সভ্যতার নাগরিক আমরা ,কিন্তু উন্নত সভ্যতার বিজ্ঞাপণ কি মিথ্যাচার ! সত্যের কণ্ঠরোধ !অসাম্যের পক্ষে মিছিল ? সত্য ,কল্যাণ ,কৃষ্ট কালচারের কল্যাণকর অনুভূতির আন্তরিক প্রয়াসের মাঝেই লুকিয়ে আছে উন্নত মানবিক সভ্যতার সোপান ।এই অমোঘ সত্যটি আমরা অস্বীকার করবার স্পর্ধা পেলাম কোথায় ! নাকি ,জীবন -বিলাসের উৎকর্ষতা এবং চরম সন্তুষ্টি আসলেও মনবিকারে ভুগছি আমরা ! ক্রমশ..সত্য ,কল্যাণ ,সাম্য ও সমাজ হিতকর মনোবৃত্তির বিলুপ্তি ঘটছে চোখের সামনে ।শূন্যতাকে পূর্ণ করতে হৃদয়ের চোরাকুঠিরে জমছে হিংস্র নেকড়ের উন্মাদনা ।ক্ষমতার কেন্দ্রে অবস্থান রত কিছু মানুষ ভয়ঙ্কর রকম অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছে । অপেক্ষাকৃত দুর্বল সংখ্যালঘু এবং দলিত জনসমাজকে ঘৃণা , অত্যাচার , পীড়ন করে সহনশীল মানবিক ঐতিহ্যের বুকে নিরন্তর পেরেক পুঁতে চলেছে ।গত পাঁচ বছরে মুখে ' সব কা সাথ সবকা ' বিকাশ বললেও একটি বিশেষ ধর্ম এবং ভাষাকে আঁকড়ে ধরে অন্যান্য সংস্কৃতিকে ধ্বংশের মুখে ঠেলে দিতে তারা অকুণ্ঠিত । ঘৃণা , পীড়ন কোন সভ্যতাকে অগ্রগতির সোপানে তুলতে পারেনা । ধর্মের আফিম , বর্ণগত বিদ্বেষের মায়াজাল কাটিয়ে মানুষ একদিন হিসাব চাইবেই ।অসহিষ্ণুতা , মানুষকে কষ্ট দেওয়ার মধ্যে এত আনন্দ কিসের ? সহিষ্ণুতাই মানুষের আসল পরিচয় । রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলতেন "জীবই শিব"। মানুষের মধ্যেই ঈশ্বর থাকেন। তাই মানুষের সেবা করাই ঈশ্বরের সেবা।তিনি "শিবজ্ঞানে জীবসেবা"র কথা বার বার বলেছেন ।
সহিষ্ণুতার পরিধি ব্যাপক । শুধু সহিষ্ণুই হলেই চলবে না , অন্যের মতকে গ্রহণও করতে হবে। কারণ সব ধর্মের সার কথাটিই হল সত্য। যত মত , তত পথ । সভ্যতার আদি পর্ব থেকেই নানা ধর্ম , বর্ণের মানুষ মিলেমিশে থেকেছেন এখানে , তৈরি করেছেন সৌভ্রাতৃত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত । পৃথিবীর কোন দেশকে যদি পুর্ন্যভূমি বলতে হয় , সেটা হলো ভারতবর্ষ । পরাক্রমশালী ইংরেজ শক্তিও ভারতবর্ষের চিরন্তন ঐতিহ্যকে ভাঙতে পারেননি । তবে তাঁরা যে ঘৃণার ঘৃণ্য আবেশ ছড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় উপমহাদেশে তার বীজ এখনও কিছু সংখ্যাক মানুষের হৃদয়ের অন্ধকুটিরে বর্তমান রয়েছে । যার কুফল আজও ভোগ করছে ভারতবর্ষের সিংহভাগ শান্তিপ্রিয় মানুষ । ধর্ম , ভাষা ও বর্ণগত বিভেদের আবেশ তৈরি করা হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে , ভারতবাসীর মৌলিক চাহিদা গুলোকে উহ্য রাখতে । দেশের বৃহত্তর মানুষ স্বল্পশিক্ষিত হওয়ায় ধর্মসংকটের জিগির তুলে খুব সহজেই মগজ ধোলাই করা সম্ভব হচ্ছে । ঘৃণা ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিটা পাড়া , মহল্লা , রান্না ঘরের হেঁসেলে । হিংসা থেকেই জন্ম নিচ্ছে গনপিটুনির ইচ্ছে । পহেলু , রাকবার , আফরাজুলদের রক্তমুখ দেখে আঁতকে উঠছে পুরো ভারত । বর্তমান সময়ে একটা কথার ব্যাপক প্রচলন লক্ষ্য করছি ' এ কেমন সকাল , রাতের চেয়েও আঁধার ' । চারিদিক থেকে খুবই সংঘবদ্ধ ভাবে যে ভাবে একের পর এক অসাম্য , অন্যায় কাজ সংঘটিত হয়েছে । প্রতিবাদি মানুষ প্রতিবাদ করতে করতে হাঁফিয়ে উঠেছেন । তারপরও রাস্তায় নেমেছেন । দুর্ভাগ্য , সমস্যার কোন প্রতিকার তো নজরে পড়ছে না । বরং একটা হত্যা , একটা অন্যায় চাপা দিতে দুদিন পরেই হচ্ছে আবার হত্যা , নয় অন্যকোন স্পর্শকাতর বিষয়ের উপস্থাপন করা হয়েছে স্বইচ্ছাতেই । অর্থাৎ কোন প্রতিরোধকেই এঁরা কিন্তু সুচতুরভাবে সংঘটিত হতে দেওয়া হয়নি । সচেতনভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে ডিভাইড এন্ড রুলস । ফলে বিভক্ত হয়ে পড়ছে প্রতিবাদের স্বতঃসিদ্ধ প্রবাহ ।
আমাদের দেশ আয়তনে বিরাট ।রয়েছে একাধিক জাতি -গোষ্টী ,ধর্ম ,রুচি -বিচার ।পূর্বপুরুষদের রেখে যাওয়া মহান আদর্শ -বৈচিত্রের মাঝে ঐক্যসাধন থেকে কিছুটা হলেও আমরা সরে এসেছি ।প্রায় সংঘটিত হচ্ছে জাতিগত ,ধর্মগত সংঘাত ।বর্ণবিভেদ প্রকট রূপ নিচ্ছে কোন কোন জায়গায় ।বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেক নিরীহ মানুষ ।ধর্মকে দেওয়া হচ্ছে রাজনীতির উদ্ধে অবস্থান ।তুলে ধরা হচ্ছে একজাতী,এক ধর্ম ,এক রাষ্ট্রের মত বিভেদমূলক নীতি ।যা ভারতবর্ষের চিরন্তন ঐতিহ্য বিরোধী । বিভেদের মাঝে মিলন মহান রূপের ',বিকাশ সাধনের মধ্যেই রয়েছে মাহাত্ম্য ।ফলে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশে একটি ধর্ম এবং একটি ভাষার প্রাধান্য থাকতে পারে না , থাকাও উচিৎ নয় ।মনে রাখতে হবে শাসকদল কোন একটি ধর্ম কিম্বা ভাষার মানুষ দ্বারা নির্বাচিত নয় । জনপ্রতিনিধি সকল ধর্মের , বর্ণের এবং ভাষাসম্প্রদায় দ্বারা নির্বাচিত । প্রচলিত একটি কথা আছে , রাজার কোন ধর্ম থাকতে নেই । প্রজার ধর্মই তাঁর ধর্ম হওয়া উচিৎ । ব্যক্তিগত ভাবে তিনি হিন্দু , মুসলিম , খৃস্টান বা অন্য কোন ধর্মের উপাসক হতেই পারেন । তবে যতক্ষন তিনি রাজার বেশে সিংহাসনে আসীন ততক্ষন তিনি সকলের , তিনি যতটুকু হিন্দুর , ঠিক ততখানিই মুসলিম - খ্রিস্টান - বৌদ্ধ - জৈনের ।একজন শাসক সবসময়ই দেশের সংস্কৃতিক বৈচিত্রের মাঝে ঐক্য স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করবেন । সংস্কৃতি শব্দটি বহুমাত্রিক ।বৈচিত্রে ভরপুর একটা জটিল ধারণা ।মানুষের রুচি ,বিচার ,পছন্দ -অপছন্দ সংস্কৃতির অঙ্গ ।অর্থাৎ ,মানুষের কর্ম ,চেতনা - সাধনাই সংস্কৃতি ।একটু বিস্তৃতভাবে বললে ,রীতি -নীতি ,ভাষা -সাহিত্য ,মানসিক প্রজ্ঞা ,লোকায়ত প্রথা ,পোশাক ,খাবার সব একটি বিশেষ জাতি গোষ্টির সংস্কৃতির অংশ ।এককথায় ,মানুষ জীবন ধারণের জন্য যে সমস্ত পথ ও পন্থা অবলম্বন করে ,তাই সংস্কৃতি ।জাতিসংঘের অভিমত অনুযায়ী সংস্কৃতিই পারে সমস্ত রকম ভীতিকর অবস্থা কাটিয়ে শান্তি ও সৌভাতৃত্ত্ববোধের উন্মেষ ঘটাতে ।এখানে বলা প্রয়োজন ,এক জাতি কিম্বা গোষ্টির চিরায়ত সংস্কৃতির সঙ্গে বিস্তর বৈসাদৃশ্য লক্ষিত হয় অন্য একটি জাতি বা গোষ্টির ।এক দেশ ও গন্ডির মধ্যে থাকলেও এ বিভেদ পরিলক্ষণ থাকবে ।ঠিক ,এই জায়গাতেই সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য সাধনের কথা বলা হয়েছে ।সাংস্কৃতিক বিভেদ একটি দেশকে পরস্পর নিদিষ্ট ভাষা , ধর্ম , বর্ণগত ভাবে আলাদা করে তোলে । যা একপ্রকার ইউনিটি অফ ক্রাইসিসের জন্ম দেয় । সুতরাং সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের খুবই প্রয়োজন । সংস্কৃতিক ঐক্যসাধন , সৌভ্রাতৃত্ববোধই পারে একটি জাতি কিম্বা রাষ্ট্রকে সুসভ্য করে তুলতে । দুঃখের বিষয় মুখে বার বার ' সব কা সাথ , সব বিকাশ ' স্লোগান তুললেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি ।ঐক্য , সৌভ্রাতৃত্বের বুনিয়াদী শিকড় গত কয়েক বছরে অনেকটাই আলগা হয়ে গেছে । হিংসা , ঘৃণা দিয়ে অল্প সংখ্যক মানুষের বিকাশ হলেও দেশের সিংহভাগ মানুষই জান মান হারিয়ে নিঃস্ব কাঙালে পরিনত হন । যা কখনই রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের সূচক নয় । এবারের নির্বাচনী সমরে তাই দেশের মানুষের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ , দেশের সঠিক দিশা দেখানোর কঠিন কাজটিই করতে হবে তাঁদের - যাঁর হাতে সুরক্ষিত থাকবে দেশের ভবিষ্যৎ , যিনি শিক্ষিত হবেন , সহনশীল হবেন এবং অবশ্যই পরধর্ম সহিষ্ণু হবেন । সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে দেশের মঙ্গলময় দিকটিই তিনি বিবেচনা করবেন , কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবেন না । প্রান্তিক মানুষের আর্থিক বুনিয়াদকে শক্ত ভিত্তিতে দাঁড় করাতে তিনি সচেষ্ট হবেন , দেশীয় সম্পদ তিনি দেশের নগণ্য সংখ্যক শিল্পপতির হাতে তুলে দিতে কুণ্ঠাবোধ করবেন ,ব্যাঙ্কিং সিস্টেমকে সুরক্ষা দেবেন , স্বশাসিত সংস্থা গুলোর উপর হস্তক্ষেপ করবেন না , এমন কাউকে বেছে নিক দেশের মানুষ ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন