যুদ্ধ জিগিরের উচ্চ সুরে পাঁচবছরের ব্যর্থতার ইতিবৃত্ত চাপা পড়লে মুশকিল ।
আরিফুল ইসলাম সাহাজি । ।
পুলমায়ার ট্রেজেডি শাপে বর হিসাবেই দেখা দিল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে । ১৩০ কোটির দৃষ্টিকোন ঘুরলো ১৮০ডিগ্রি । জনতা যুদ্ধ চাই , সরকারও যুদ্ধ চাই , সমান্তরালভাবে কাছাকাছি এসে পড়লো দেশের জনতা ও সরকার । পকিস্তানকে জব্দ করার টোটকা দিল কাজে । মানুষ ভূলে যেতে বসল পাঁচ বছরের অপশাসনের কথা । ফেসবুক নিবাসীরা নিজেরাই যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত । শহীদ সেনা জোয়ানের বিধবা স্ত্রী যুদ্ধ চাই না বললে , স্বঘোষিত ফেবু্র দেশপ্রেমীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ধমক দেন , যুদ্ধ চাই না , মানে কী ? সত্যই যুদ্ধ চাই । আমাদের যুদ্ধ করা বড্ডো প্রয়োজন , যাতে আমরা আরও দরিদ্যতর হতে পারি , সমূলে ধ্বংশ হতে পারি । পৃথিবীর অন্যতম সেরা সামরিক শক্তির অধিকারী আমরা । স্থল , নৌ , বিমান সব দিক থেকেই অহংকার করার মত অবস্থায় রয়েছি আমরা । তবে ভীষণই খটকা লাগে উড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মিগ - ২১ এর মত যুদ্ধ বিমান ধ্বংশ হতে দেখে । কতদিন আমাদের বীর সেনারা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধে যাবেন ? এমন একটি প্রশ্ন ফেসবুকে ঘুরতে দেখলাম । যুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি থাকবেই , এ বিষয়ে দ্বিমত নেই । শত্রুর আঘাতে মৃত্যু নিঃসন্দেহে গৌরবের । কিন্তু নিজেদের অপদার্থ বিমান বিস্ফোরণে সেনা মৃত্যু কী কাম্য ! এমন কেন হয় এ বিষয়েও দেখলাম নীতিপুলিশদের এক একজনের এক এক মত , সেদিকে না গিয়ে নিজের অভিমতটা ব্যক্ত করি । কোন দুর্নীতিই কাম্য নয় , হওয়াও উচিৎ নয় । আমরা যদি লক্ষ করি , চীন জাপানের মত দেশ , যাঁদের স্বাধীনতা প্রাপ্তি আমাদের সঙ্গেই , ভাবুন তো আজ তাঁদের অবস্থান আর আমাদের স্থান । চীনের অবস্থা তো আমাদের থেকেও সঙ্গীন ছিল , আসলে আমাদের এই পশ্চাৎপদের কারণ দেশীয় রাজনীতিকদের দুর্নীতি এবং ভন্ডামি ।
উন্নয়ন যা হওয়ার হল মুকেশ , অনিল , মেহুল , নীরব মোদীদের মত শিল্পপতিদের । দেশের খেটে খাওয়া মানুষদের রক্তজল করা অর্থ নিয়ে চম্পট দিলেও নীরব মোদীর মত মানুষরা লন্ডনের রাজপথে প্রকাশ্য ঘুরে বেড়ায় , সংবাদমাধ্যম খোঁজ পেলেও প্রশাসন তার টিকি খুঁজে পায় না , কেন পায় না , কেননা সরকারি নথিতে সে পলাতক । আসলে দুর্নীতিবাজদের ভূস্বর্গ হয়ে উঠেছে আমাদের দেশটা , লুটেপুটে খাচ্ছে একদল । অনেকেই বলছেন কেন একের পর এক যুদ্ধবিমান ধ্বংশ হচ্ছে ।মিগ -২১ যুদ্ধবিমান ধ্বংশের প্রসঙ্গটি সরিয়ে রেখেই বলি , দুইটাকার যুদ্ধবিমান , ষোল টাকায় কেনার রীতি চালু হয়েছে এখন , ধ্বংশ তো হবেই । দুর্নীতি কখনই কাম্য নয় , তবে সামরিক দুর্নীতি ক্ষমার অযোগ্য একটি বিষয় । সামরিক বাহিনীর কাঁধেই ভর করে থাকে একটি দেশের সার্বভৌমত্ব , স্বাধিকার । একবার ভাবুন তো , আজ না হয় পাকিস্তানের মত দুর্বল অর্থনীতির রাষ্ট্রের সঙ্গে সমরে ভিড়ছি আমরা , অনাদি ভবিষ্যে চীনের মত শক্তিধর রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সংঘাত বাধবে না , এমন কথা কেউ বলতে পারেন । আমাদের বীর সেনারা তখন কী ইঞ্জিন গরম , জল পড়া যুদ্ধবিমানে করে যুদ্ধে যাবে । অনেকেরই অভিমত রাফেল দুর্নীতি ভারতবর্ষের ঐতিহাসিক দুর্নীতি ।
অভিনেতা পবন কল্যাণ পুলমায়ার ট্রেজেডি সম্পর্কে নিজ অভিমত প্রসঙ্গে বলেছেন , তিনি দুই বছর আগেই জানতেন , নির্বাচনের প্রাকমুহূর্তে যুদ্ধ বাধবে পাকিস্তানের সঙ্গে । তাহলে কী , পাঁচবছরের অপদার্থতা ও অপশাসনের ইতিহাস ঢাকতেই যুদ্ধের জিগির তোলার প্রয়োজন হয়ে পড়লো । নোটবন্দি , কালো টাকা , জি.এসটির মত একেরপর এক সংস্কার মুখ থুবড়ে পড়েলেও , হাতে ছিল একমাত্র রামমন্দির । সেদিকেও আসেনি কাঙ্ক্ষিত সফলতা । দেবালয় স্থাপনের ব্যর্থতা শরিক সহ বিভিন্ন সংঘটনের পাশ থেকে সরে যাওয়া এবং মানুষের দৃষ্টি সরাতেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর প্রয়োজন ছিল বলেই অনেক বিশেষজ্ঞের অভিমত ।
ভারতবর্ষের মত এত বৈচিত্রময় দেশ পৃথিবীতে আর একটিও নেই । রয়েছে নানা ভাষা ও ধর্মীয়বিহার । পারস্পরিক বন্ধন , সৌভ্রাতৃত্ববোধই আমাদের চিরন্তন ঐতিহ্য ও ইতিবৃত্ত ।তবে গত কয়েক বছরে একাধিক বিচ্ছিন্ন এবং অপ্রীতিকর ঘটনা ভারতবর্ষের চিরন্তন ঐতিহ্য , সৌভ্রাতৃত্বের মহৎ আদর্শের উপর আঘাত হেনেছে । ইতিহাস , ঐতিহ্য , সংস্কৃতির উপর এই উদ্ভট , অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ সুনাগরিক সমস্ত ভারতীয়কে বিষন্ন করে তুলেছে । প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক , সুসভ্য ভারতবর্ষের আসল বুনিয়াদ কী হওয়া উচিৎ ? বর্তমান সমাজ ,রাষ্ট্র বিজ্ঞানের উৎকর্ষিত জায়গায় অবস্থান করছে ।সভ্য, উন্নত সভ্যতার নাগরিক আমরা ,কিন্তু উন্নত সভ্যতার বিজ্ঞাপণ কি মিথ্যাচার ! সত্যের কণ্ঠরোধ !অসাম্যের পক্ষে মিছিল ? সত্য ,কল্যাণ ,কৃষ্ট কালচারের কল্যাণকর অনুভূতির আন্তরিক প্রয়াসের মাঝেই লুকিয়ে আছে উন্নত মানবিক সভ্যতার সোপান ।এই অমোঘ সত্যটি আমরা অস্বীকার করবার স্পর্ধা পেলাম কোথায় ! নাকি ,জীবন -বিলাসের উৎকর্ষতা এবং চরম সন্তুষ্টি আসলেও মনবিকারে ভুগছি আমরা ! ক্রমশ..সত্য ,কল্যাণ ,সাম্য ও সমাজ হিতকর মনোবৃত্তির বিলুপ্তি ঘটছে চোখের সামনে ।শূন্যতাকে পূর্ণ করতে হৃদয়ের চোরাকুঠিরে জমছে হিংস্র নেকড়ের উন্মাদনা ।ক্ষমতার কেন্দ্রে অবস্থান রত কিছু মানুষ ভয়ঙ্কর রকম অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছে । অপেক্ষাকৃত দুর্বল সংখ্যালঘু এবং দলিত জনসমাজকে ঘৃণা , অত্যাচার , পীড়ন করে সহনশীল মানবিক ঐতিহ্যের বুকে নিরন্তর পেরেক পুঁতে চলেছে । মুখে ' সব কা সাথ সবকা ' বিকাশ বললেও একটি বিশেষ ধর্ম এবং ভাষাকে আঁকড়ে ধরে অন্যান্য সংস্কৃতিকে ধ্বংশের মুখে ঠেলে দিতে তারা অকুণ্ঠিত । ঘৃণা , পীড়ন কোন সভ্যতাকে অগ্রগতির সোপানে তুলতে পারেনা । ধর্মের আফিম , বর্ণগত বিদ্বেষের মায়াজাল কাটিয়ে মানুষ একদিন হিসাব চাইবেই ।অসহিষ্ণুতা , মানুষকে কষ্ট দেওয়ার মধ্যে এত আনন্দ কিসের ? সহিষ্ণুতাই মানুষের আসল পরিচয় । রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলতেন "জীবই শিব"। মানুষের মধ্যেই ঈশ্বর থাকেন। তাই মানুষের সেবা করাই ঈশ্বরের সেবা।তিনি "শিবজ্ঞানে জীবসেবা"র কথা বার বার বলেছেন ।
সহিষ্ণুতার পরিধি ব্যাপক । শুধু সহিষ্ণুই হলেই চলবে না , অন্যের মতকে গ্রহণও করতে হবে। কারণ সব ধর্মের সার কথাটিই হল সত্য। যত মত , তত পথ । সভ্যতার আদি পর্ব থেকেই নানা ধর্ম , বর্ণের মানুষ মিলেমিশে থেকেছেন এখানে , তৈরি করেছেন সৌভ্রাতৃত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত । পৃথিবীর কোন দেশকে যদি পুর্ন্যভূমি বলতে হয় , সেটা হলো ভারতবর্ষ । পরাক্রমশালী ইংরেজ শক্তিও ভারতবর্ষের চিরন্তন ঐতিহ্যকে ভাঙতে পারেননি । তবে তাঁরা যে ঘৃণার ঘৃণ্য আবেশ ছড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় উপমহাদেশে তার বীজ এখনও কিছু সংখ্যাক মানুষের হৃদয়ের অন্ধকুটিরে বর্তমান রয়েছে । যার কুফল আজও ভোগ করছে ভারতবর্ষের সিংহভাগ শান্তিপ্রিয় মানুষ । ধর্ম , ভাষা ও বর্ণগত বিভেদের আবেশ তৈরি করা হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে , ভারতবাসীর মৌলিক চাহিদা গুলোকে উহ্য রাখতে । দেশের বৃহত্তর মানুষ স্বল্পশিক্ষিত হওয়ায় ধর্মসংকটের জিগির তুলে খুব সহজেই মগজ ধোলাই করা সম্ভব হচ্ছে । ঘৃণা ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিটা পাড়া , মহল্লা , রান্না ঘরের হেঁসেলে । হিংসা থেকেই জন্ম নিচ্ছে গনপিটুনির ইচ্ছে । পহেলু , রাকবার , আফরাজুলদের রক্তমুখ দেখে আঁতকে উঠছে পুরো ভারত । বর্তমান সময়ে একটা কথার ব্যাপক প্রচলন লক্ষ্য করছি ' এ কেমন সকাল , রাতের চেয়েও আঁধার ' । চারিদিক থেকে খুবই সংঘবদ্ধ ভাবে যে ভাবে একের পর এক অসাম্য , অন্যায় কাজ সংঘটিত হচ্ছে । প্রতিবাদি মানুষ প্রতিবাদ করতে করতে হাঁফিয়ে উঠছেন । তারপরও রাস্তায় নামছেন । দুর্ভাগ্য , সমস্যার কোন প্রতিকার তো নজরে পড়ছে না । বরং একটা হত্যা , একটা অন্যায় চাপা দিতে দুদিন পরেই হচ্ছে আবার হত্যা , নয় অন্যকোন স্পর্শকাতর বিষয়ের উপস্থাপন । অর্থাৎ কোন প্রতিরোধকেই এঁরা কিন্তু সুচতুরভাবে সংঘটিত হতে দিচ্ছে না । সচেতনভাবে প্রয়োগ করছে ডিভাইড এন্ড রুলস । ফলে বিভক্ত হয়ে পড়ছে প্রতিবাদের স্বতঃসিদ্ধ প্রবাহ ।
আমাদের দেশ আয়তনে বিরাট ।রয়েছে একাধিক জাতি -গোষ্টী ,ধর্ম ,রুচি -বিচার ।পূর্বপুরুষদের রেখে যাওয়া মহান আদর্শ -বৈচিত্রের মাঝে ঐক্যসাধন থেকে কিছুটা হলেও আমরা সরে এসেছি ।প্রায় সংঘটিত হচ্ছে জাতিগত ,ধর্মগত সংঘাত ।বর্ণবিভেদ প্রকট রূপ নিচ্ছে কোন কোন জায়গায় ।বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেক নিরীহ মানুষ ।ধর্মকে দেওয়া হচ্ছে রাজনীতির উদ্ধে অবস্থান ।তুলে ধরা হচ্ছে একজাতী,এক ধর্ম ,এক রাষ্ট্রের মত বিভেদমূলক নীতি ।যা ভারতবর্ষের চিরন্তন ঐতিহ্য বিরোধী । বিভেদের মাঝে মিলন মহান রূপের ',বিকাশ সাধনের মধ্যেই রয়েছে মাহাত্ম্য ।ফলে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশে একটি ধর্ম এবং একটি ভাষার প্রাধান্য থাকতে পারে না , থাকাও উচিৎ নয় ।মনে রাখতে হবে শাসকদল কোন একটি ধর্ম কিম্বা ভাষার মানুষ দ্বারা নির্বাচিত নয় । জনপ্রতিনিধি সকল ধর্মের , বর্ণের এবং ভাষাসম্প্রদায় দ্বারা নির্বাচিত । প্রচলিত একটি কথা আছে , রাজার কোন ধর্ম থাকতে নেই । প্রজার ধর্মই তাঁর ধর্ম হওয়া উচিৎ । ব্যক্তিগত ভাবে তিনি হিন্দু , মুসলিম , খৃস্টান বা অন্য কোন ধর্মের উপাসক হতেই পারেন । তবে যতক্ষন তিনি রাজার বেশে সিংহাসনে আসীন ততক্ষন তিনি সকলের , তিনি যতটুকু হিন্দুর , ঠিক ততখানিই মুসলিম - খ্রিস্টান - বৌদ্ধ - জৈনের ।একজন শাসক সবসময়ই দেশের সংস্কৃতিক বৈচিত্রের মাঝে ঐক্য স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করবেন । সংস্কৃতি শব্দটি বহুমাত্রিক ।বৈচিত্রে ভরপুর একটা জটিল ধারণা ।মানুষের রুচি ,বিচার ,পছন্দ -অপছন্দ সংস্কৃতির অঙ্গ ।অর্থাৎ ,মানুষের কর্ম ,চেতনা - সাধনাই সংস্কৃতি ।একটু বিস্তৃতভাবে বললে ,রীতি -নীতি ,ভাষা -সাহিত্য ,মানসিক প্রজ্ঞা ,লোকায়ত প্রথা ,পোশাক ,খাবার সব একটি বিশেষ জাতি গোষ্টির সংস্কৃতির অংশ ।এককথায় ,মানুষ জীবন ধারণের জন্য যে সমস্ত পথ ও পন্থা অবলম্বন করে ,তাই সংস্কৃতি ।জাতিসংঘের অভিমত অনুযায়ী সংস্কৃতিই পারে সমস্ত রকম ভীতিকর অবস্থা কাটিয়ে শান্তি ও সৌভাতৃত্ত্ববোধের উন্মেষ ঘটাতে ।এখানে বলা প্রয়োজন ,এক জাতি কিম্বা গোষ্টির চিরায়ত সংস্কৃতির সঙ্গে বিস্তর বৈসাদৃশ্য লক্ষিত হয় অন্য একটি জাতি বা গোষ্টির ।এক দেশ ও গন্ডির মধ্যে থাকলেও এ বিভেদ পরিলক্ষণ থাকবে ।ঠিক ,এই জায়গাতেই সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য সাধনের কথা বলা হয়েছে ।সাংস্কৃতিক বিভেদ একটি দেশকে পরস্পর নিদিষ্ট ভাষা , ধর্ম , বর্ণগত ভাবে আলাদা করে তোলে । যা একপ্রকার ইউনিটি অফ ক্রাইসিসের জন্ম দেয় । সুতরাং সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের খুবই প্রয়োজন । সংস্কৃতিক ঐক্যসাধন , সৌভ্রাতৃত্ববোধই পারে একটি জাতি কিম্বা রাষ্ট্রকে সুসভ্য করে তুলতে । দুঃখের বিষয় মুখে বার বার ' সব কা সাথ , সব বিকাশ ' স্লোগান তুললেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি ।ঐক্য , সৌভ্রাতৃত্বের বুনিয়াদী শিকড় গত কয়েক বছরে অনেকটাই আলগা হয়ে গেছে । হিংসা , ঘৃণা দিয়ে অল্প সংখ্যক মানুষের বিকাশ হলেও দেশের সিংহভাগ মানুষই জান মান হারিয়ে নিঃস্ব কাঙালে পরিনত হন । যা কখনই রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের সূচক নয় । ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন