গ্রাম বাংলার রুপকার পল্লীকবি জসিমউদ্দিন । আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।


গ্রাম বাংলার অনন্য কথাকার কবি জসিমউদ্দিন । কবি জীবনানন্দ দাশের মতই গ্রামজীবন , প্রকৃতির সবুজাভ রুপ প্রাণ পেয়েছে কবির কলমে । মরমী কবির জন্মসাল ১৯০৪ , দিনটি ছিল প্রথম জানুয়ারি । জন্মস্থান বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার অম্বিকাপুর গ্রামে । পিতৃদেব ছিলেন পেশায় শিক্ষক মৌলভী আনসারউদ্দিন । জসিমউদ্দিন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা সাহিত্যবিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন সন্মানের সঙ্গে । কথিত আছে , তাঁর বিখ্যাত '  কবর' কবিতাটি ছাত্রাবস্থায় শ্রেণীভুক্ত হয় এবং তা থেকে যে প্রশ্ন এসেছিল পরীক্ষায় , স্বয়ং কবিকে তার উত্তর লিখতে হয়েছিল খাতায় ।

' কবর ' কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছিল সাল ১৯২৬ এ , কল্লোল পত্রিকার তৃতীয় বর্ষের তৃতীয় সংখ্যায় । পরবর্তীতে কবিতাটি '  রাখালী ' কাব্যভুক্ত হয় । কবি জসিমউদ্দিন মূলত পল্লীজীবনের কথাকার ছিলেন । অজ পাড়া গাঁ'র বিচিত্র রুপ তিনি অসাধারণ রুপে তুলে ধরতে সক্ষম ছিলেন । হয়তো গ্রাম বাংলার গভীরে তাঁর শিকড় গ্রথিত হওয়ায় তিনি অর্জন করেছিলেন এই মহা অভিজ্ঞান । 

কবির সমধিক বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ হল'  নকশী কাঁথার মাঠ ' । বাংলা সাহিত্যের অমর এক প্রেমকথা । সাজু রূপাই এর বিয়োগান্তক প্রেম আলেখ্য বাঙালি পাঠকের বড্ড প্রিয় । এই একটি কাব্যগ্রন্থ মরমী কবিকে অমর করে রাখার জন্য যথেষ্ট । অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের সমূহের ভিতর সমধিক খ্যাত কয়েকটি হল , সোজন বাদিয়ার ঘাট , বালুচর ১৯৩০ , ধানক্ষেত ১৯৩২ , রাখালী ১৯৩৩ , রঙিলা নামের মাঝি , সূচয়না উল্লেখযোগ্য । এছাড়াও ঠাকুরবাড়ির আঙ্গিনায় , বাঙালির হাসির গল্প , প্রভৃতি । কবির অমর কাব্য নকশী কাঁথার মাঠ ইংরেজিতে অনুবাদ হয়েছে । 

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পুরষ্কার একুশে পদক এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে ডি .লিড দিয়ে সন্মানিত করা হয় । 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ধীবর বৃত্তান্ত নাটকের প্রধান কুশীলব ধীবরের চরিত্র বিশ্লষণ করছেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

পথের দাবি গল্পে গিরিশ মহাপাত্রের পোশাক পরিচ্ছেদ ও অদ্ভুত দর্শন বিষয়ক আলোচনা ।

দাম গল্পটি ছাত্র শিক্ষক পবিত্র সম্পর্কের উপর গভীর ছায়াপাত করেছে । মাস্টারমশায় শাসন করতেন , ভালবাসতেন না । এটা ঠিক নয় ' , আলোচনা করছেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।