স্বল্প কয়েকদিনের জীবন সুকান্তের , তবুও আজও স্মরণে মননে তিনি । লিখছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
যৌবনের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য মূলত কিশোর কবি নামেই সমধিক পরিচিত । মাত্র একুশটি বসন্তের জীবন তাঁর । স্বল্প আয়ু হলেও সুকান্ত কবিতার জগতে নিজেকে প্রতিষ্টিত করতে সক্ষম হয়েছেন । আজও বাংলা কবিতার আলোচনায় রবীন্দ্র নজরুলের পর পরই কবি সুকান্তকেও স্মরণ ও বরণ করেন বাঙালি পাঠক বর্গ ।
কবির পূর্বপুরুষদের আস্তানা ছিল ওপার বাংলায় । ফরিদপুর জেলার কোটালিপাড়ায় , পরে তাঁরা মাদারিপুর গ্রামে বসবাস শুরু করেন । অকাল প্রয়াত কবি সুকান্ত জন্মগ্রহন করেন ১৫ আগষ্ট ১৯২৬ এ । মামাগৃহ ৪২ মহিম হালদার স্ট্রিট এ । বাবা মায়ের দ্বিতীয় পুত্র ছিলেন কবি সুকান্ত । পিতা নিবারণ ছন্দ , মায়ের নাম সুনীতি দেবী ।
কিশোর সুকান্তের কলম সব সময় ন্যায়ের পক্ষে সোচ্চার ছিল । তিনি বামপন্থী ভাবধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন । ইংরেজ শাসনের ঘোর বিরোধী কিশোর সুকান্ত মাত্র তিনমাসের জন্য ইংরেজ শাসনের অবসান দেখে যেতে পারেননি । সাল ১৯৪৭ , তারিখটি ছিল ১৩ মে , কিশোর সুকান্তের মহাপ্রয়াণ সম্পূর্ণ হয় ।
কবির শৈশবের দিনগুলি কেটেছে বাগবাজার নিবেদিত লেন এ , পরবর্তীতে বেলেঘাটার হরমোহন ঘোষ লেনের বাড়িতে । সুকান্তের পরিবার বামপন্থার সাথে নিজেদেরকে মানিয়ে নিয়েছিল । পরিবার থেকেই কবি সাম্যতার শিক্ষা পেয়েছিলেন । তাঁর প্রায় প্রতিটা কবিতায় যেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করবার এক একটি আকর ।
শরীরীভাবে সুকান্ত সুস্থ ছিলেন না । তিনি প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়তেন । ১৯৪৫ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে পারেননি । মৃত্যুর পূর্বে সাড়ে তিনবছর ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন ।
সুকান্তর শৈশব কেটেছে মূলত মামার বাড়িতে । দাদা মশায়ের কাছ থেকে লেখাপড়ার আগ্রহ এবং কুসংস্কার বিরোধী মনন পেয়েছিলেন । দিদিমার গরীব দুঃখীদের প্রতি মমত্ববোধ তাঁকে গভীরভাবে আকৃষ্ট করেছিল । খুব অল্প বয়সেই তাঁর মধ্যে কবিত্ব বোধের অভিজ্ঞান জন্ম নেয় । কলকারখানা ভরা কলকাতা তাঁকে ভাবুক করে তুলেছিল । শ্রমিক , নিন্মবৃত্ত মানুষের কাছাকাছি থাকবার ফলে ন্যায় ও সত্যের পথে থাকবার অভিজ্ঞান লাভ করেন কবি সুকান্ত ।
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন