জীবনানন্দের কবিতায় চিত্ররুপময়তা এবং অন্যান্য কাব্যিক অনুসঙ্গ । আলোচনা করেছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি ॥


বাংলা কাব্যকলার শুদ্ধতম কবি
জীবনানন্দ
মনী ষী রবীন্দ্রনাথ জীবনানন্দের কবিতা পড়ে বলেছিলেন , তাঁর কবিতা চিত্ররূপময় ।  তবে কেবল মাত্র '  চিত্ররুপময় ' এই অভিধা ব্যঞ্জন পদে থেমে গেলে রবীন্দ্র উত্তরকালের  সর্বশ্রেষ্ঠ সরস্বত কবি প্রতিভা জীবনানন্দ দাশের  প্রতি একটু অবিচার করা হবে । জীবনানন্দের  কবিতা শুধুমাত্র চিত্ররূপময় নয় , আঙ্গিক এবং প্রকাশ ও বাকরীতি এবং শরীরী গঠনগত দিক দিয়ে তা আধুনিক কাব্য কলার অনবদ্য দৃষ্টান্ত হিসাবে আদরনীয় হয়ে থাকবে । জীবনানন্দকে গভীর অভিনিবেশে পাঠ করলে বলতে হয় , তিনি যদি কবি না হতেন , তাহলে নিসন্দেহতীত ভাবে বলা যায় , তিনি একজন দক্ষ শিল্পী হতেন , এ বিষয়ে সন্দিহান না হওয়ায় ভালো । অনেকগুলো ছবি নিয়ে তিনি একটি কবিতার শরীর গঠন করতেন দক্ষ শিল্পীর মতন । একটি কবিতা যেন অনেকগুলো ছবির সমাহার হয়ে উঠেছে । ইতিহাসবোধ , জীবন চেতনা এবং সমকালীন সময়ের প্রসববেদনা হয়ে উঠেছে সেই সব ছবি ।  জীবনানন্দ দাশের কবি মনন , সমকালীন সময় ,  সমাজভাবনা  থেকে বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে ছিল । আসলে যাঁরা  মহাকালিক ভাবনা ও মননের প্রতিভূ হন , তাঁরা সমকাল থেকে অনেকটাই এগিয়ে থাকেন । ফলত হয় কী ! সমকাল তাঁদেরকে স্বশরীরে   ধারণ করতে পারে না । তাই সজনীকান্ত দাস এর মত স্বল্প মেধার সমালোচক দ্বারা বিদ্ধ হন জীবনানন্দ দাশ , নজরুল ইসলাম সমীপেষুগণ ।
জীবনানন্দ দাশের কবিতা সমকালীন সময়ে খুব বেশী নন্দিত হয়নি বরং নিন্দিতই হয়েছে বেশি । সমালোচকদের কষাঘাতে বিদ্ধ হয়েছে  কবিমন ,  কষ্ট পেয়েছেন । তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন , ' কবিতার সমালোচনা কেবলই ভুল  ও খারাপ হলে দেশে সেই সমালোচনা পাঠকের আলোচনাবেদ সৃষ্টি করতে থাকে , তাতে বড় কবিদের কবিতাও নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিংবা এমন দিকে মুখ ফেরাতে পারে , যাতে কবিতার সুধী ও বিবেকী পাঠককেও ফাঁপড়ে পড়তে হয় । জীবদ্দশায় মাত্র ১৬৭ টি কবিতা তিনি প্রকাশ করবার জন্য দিয়েছিলেন ।এই সংখ্যাটি প্রমাণ করে তিনি সমালোচক দ্বারা কতটা বিদ্ধ  হয়েছিলেন ।  যায়হোক আলোচনার আমাদের যে প্রেক্ষিত , সেই প্রেক্ষিতে ফেরা যাক । তৃপ্তির ত্রিপাঠী ,  তাঁর ' আধুনিক বাংলা কাব্য পরিচয় ' গ্রন্থে জীবনানন্দ অধ্যাযয়ে তিনি  লিখেছেন , ' জীবনানন্দকে বাংলা কাব্যে সুরিয়ালিস্ট কবিতার প্রবর্তক বলা যেতে পারে ।  প্রতীকি  কবিতা রচনা করবার যে প্যাটার্ন , তা অনেক ক্ষেত্রেই  জীবনানন্দের হাতে জীবন্ত হয়ে উঠেছিল । জীবনানন্দের কবিতা পূর্বেই বলেছি অনেকগুলো ছবি সমাহারে একেকটি মুক্তার মত। বনলতা সেন  কাব্যগ্রন্থের ' শ্যামলী ' নামক কবিতাই জীবানন্দ লিখছেন , ' তোমার মুখের দিকে তাকালে এখনও
আমি সেই সমুদ্রের নীল 
দুপুরের শূন্য সব বন্দরের ব্যথা 
বিকেলের উপকন্ঠে সাগরের চিল 
নক্ষত্র রাত্রির দল ,  যুবাদের ক্রন্দন সব 
শ্যামলী করেছে অনুভব । ' 
 এখানে পাঠক যদি লক্ষ্য করেন ,  তাহলে দেখতে পাবে ,  জীবনানন্দ শ্যামলী নামক নাম কবিতায় , শ্যামলীকে  উদ্দেশ্য করে বলছেন , তাঁর মুখের দিকে তাকালে , ' সমুদ্রের নীল দুপুরের শূন্য সব বন্দরের ব্যথা ' , ' বিকেলের উপকন্ঠে সাগরের চিল নক্ষত্র রাত্রির দল '  আর ' যুবাদের ক্রন্দন অনুভব হয় ' অর্থাৎ এখানে দেখেন অন্তত চারটি পাঁচটি পৃথক পৃথক ছবি দিয়ে শ্যামলীর মনোবেদনাকে জীবানন্দ অনবদ্য আঙ্গিকে অসম্ভব রসময় করে তুলতে সক্ষম হয়েছেন । এখানেই জীবনান্দের সক্রিয়তা । আবার ' বনলতা সেন ' নাম কবিতায় প্রতিটি চরণ যেন খন্ড খন্ড চিত্রে অনুপম আলেখ্য হয়ে উঠেছে । কবি লিখেছেন , ' 
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা 
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য ; অতিদূর সমুদ্রের'পর 
হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা 
সবুজ ঘাসের দেশে যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর 
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে ,  বলেছে সে এতদিন কোথায় ছিলেন ? ' 
 কবি  বনলতা সেনকে প্রথম দেখবার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন , এই চরণ খন্ডটির মধ্যে এক অনুপম ইমেজ , অসাধারণ কাব্যিক সুষমায়া মন্ডিত । এইরুপ  অনন্য বর্ণনা  বাংলা সাহিত্য শুধু নয় ,  বিশ্বসাহিত্যেও এক মাইলস্টোন স্বরূপ আদরণীয় হয়ে আছে । প্রেমিকার সৌন্দর্য বর্ণনার এমন  অনুপম চিত্রময় সংযোগ কবি জীবনানন্দ দাশের পক্ষেই প্রয়োগ করা সম্ভব । প্রেমিকার চুলের কালোত্ত্ব বর্ণনা দিতে গিয়ে   তিনি প্রাচীন যুগের নগরী বিদিশার অন্ধকার , বন্ধ্যত্ব  সময়কে উপমা হিসাবে  শিল্পীর মতো উপস্থাপনা দেন । আবার  প্রেমিকার মুখের বর্ণনা দিতে গিয়ে , তিনি বলেন , তা নাকি ' শ্রাবস্তির কারুকার্য ' ,  আবার বনলতাকে দেখে কবির হৃদয়ের ওঠানামার  বর্ণনা দিতে গিয়ে , তিনি অসাধারণ এক উপমার উপস্থাপন করলেন , দিশাহীন নাবিক  যখন একেবারে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছে , বাঁচবার আর কোন আশা জাগ্রত নেই তাঁর ভিতর ও বাহিরে ,  তখন সবুজ কোন ঘাসের দেশ দেখলে , তাঁর যেরূপ আনন্দ  হয় , কবির ব্যর্থ জীবনে বনলতা তেমনি আনন্দের দীপ্তি নিয়ে হাজির হয়েছে ।  

জীবনানন্দের কাব্যে চিত্ররূপময়তার কথা বলতে গেলে , এমন আরও সহস্র  কাব্যিক সুষমামন্ডিত চরণের উল্লেখ আমরা করতে পারি । ' হাওয়ার রাত ' কবিতায়  কবি লিখছেন , '  গভীর হাওয়ার রাত ছিল - অসংখ্য নক্ষত্রের তার / সারারাত বিস্তীর্ণ হাওয়া আমার মশারিতে খেলেছে /মশারিটা ফুলে উঠেছে মৌসুমী সমুদ্রের পেটের মত কখনো বিছানা ছিঁড়ে নক্ষত্রের দিকে উড়ে যেতে চেয়েছে ।' 
কবির অনুপম লেখনীর আস্বাদনগুণেই , মশারি হয়ে উঠেছে জীবন্ত । আবার , ' আমি যদি হতাম'  কবিতায় তিনি লিখলেন , 
' তোমার পাখনায় আমার পালক 
আমার পাখনায় তোমার রক্তের স্পন্দন
 নীল আকাশের খই  ক্ষেতের সোনালি ফুলের মতো /অজস্র তারা শিরীষ বনের সবুজ রোমশ নীড়ে /সোনার ডিমের মতো ফাল্গুনের চাঁদ । ' 
জীবনানন্দের কবিতার চিত্ররুপময়তার বর্ণনা দিতে  আমরা আর দুই একটি উদাহরণ নেব , তারপর জীবনানন্দের কবিতার আঙ্গিক নিয়ে আলোচনা করব ।  ' ঘাস ' কবিতায় কবি লিখছেন , ' 
কচি লেবুপাতার মতো সবুজ আলোর 
পৃথিবী ভরে গিয়েছে এই ভোরের বেলা । ' 
কী  অসাধারণ ভাববর্ণনা ? ' কচি লেবুর মতো সবুজ আলোর পৃথিবী ' , আবার '  হায়চিল '  কবিতার দুটি চরণ লক্ষ্য করা যাক , সেখানে কবি বলছেন ,
 ' তোমার কান্নার সুরে বেতের ফলের মতো 
তার ম্লান  চোখ মনে আসে । ' 
আবার বনলতা সেন নাম কবিতায় , অসাধারণ দুটি চরণ পড়ে নেওয়া যাক ,  
'  তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল সব পাখি ঘরে আসে সব নদী ফুরায় এ জীবনের সব লেনদেন /থাকে শুধু অন্ধকার ,মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন । ' 
কবিতার চিত্ররূপময়তা বা ছবির পর ছবি বসিয়ে কবিতায় যুগযন্ত্রণা এবং সময়ের আর্তনাদকে জীবন্ত করবার অনন্য দক্ষতা ছিল কবি জীবনানন্দের ।  যা তাঁকে  রবীন্দ্র সমকালীন সময়ে থেকেও বিশিষ্টতা দান করেছে ।  একটি স্বতন্ত্র ধারা তিনি তৈরি করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন এবং সক্ষমও  হয়েছিলেন । 

রবীন্দ্র যুগের জন্ম নিয়ে , তখন কাজী নজরুল ইসলাম ও চন্দ্রের দীপ্তি নিয়ে বিরাজমান  আছেন ,  সেই রবীন্দ্র-নজরুল কে পাশ কাটিয়ে , নতুন এক কাব্যঘরানা  তৈরি করা যথেষ্ট তপস্যার এবং প্রতিভার  দরকার ।  জীবনানন্দ দাশের মধ্যে এই দুই মহৎ গুণই বর্তমান ছিল । দুঃখের সমকাল তাকে ধারণ করতে পারেনি , মধুসূদনের সমকালীন সময়ে , তিনি যেমন প্রাপ্য মর্যদা পাননি , তাঁর  থেকে হেমচন্দ্র , নবীনচন্দ্র দেরকে অনেক উপরে স্থান দেওয়া হয়েছিল , ঠিক তেমনি জীবনানন্দ দাশ তাঁর সময়ে বেশ নিন্দিত হয়েছেন ।  তাঁর  কবিতা আদৌও কবিতা পদবাচ্য  কিনা , এমন  বহু অভিযোগও অনেকেই করেছেন ।  বন্ধু বুদ্ধদেব বসু , অবিচলভাবে জীবনানন্দ দাশের  পাশে ছিলেন ।

   কর্মজীবনে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন ,  দাম্পত্য সুখও খুব একটা জোটেনি ভাগ্যে , অসম্ভব প্রতিভা থাকা সত্বেও , তাঁর  প্রাপ্য মর্যাদা তিনি জীবদ্দশায় পাননি । আসলে যাঁরা  মহাজীবনের পথে ধাবিত হন , সমকাল থেকে যোগ্য সম্মান খুব একটা পেয়েছেন , এমন ইতিহাস  কাব্য সাহিত্যের ইতিহাসে অনেকক্ষেত্রেই  বিরল । কালের  সিন্দুকে তোলা থাকে তা ভাবীকালের জন্য । ভবিষ্যর পাঠক নেড়েচেড়ে দেখেন সেইসব মণিমুক্তা । আধুনিককালের প্রায় সকল সাহিত্য সমালোচক , একবার বাক্যে  স্বীকার করে নিয়েছেন , জীবনানন্দ দাশ রবীন্দ্র উত্তর বাংলা সাহিত্যের  শ্রেষ্ঠতম কবি ।  তিনি জীবনের কবি , তিনি প্রেমের কবি । সময়ের যুগযন্ত্রণাকে ,  তিনি ছবি সহযোগে , উপমার সংযোগে ,  শব্দ সুষমামন্ডিত করে গড়ে নিয়েছেন । যা এক নব কাব্যধারার প্রবর্তন করেছিল । জীবানন্দ দাশ  ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন । বিশ্ব সাহিত্যের সঙ্গে তার গভীর আত্মযোগ  ছিল । পাশ্চাত্য কবিদের  মতই রোমান্টিকতা এবং স্বপ্নময় ভাষার ব্যবহার করেছেন তিনি । তাঁর  ব্যবহৃত ইমেজ ধর্মী ভাষা বাঙালি পাঠককে পুলকিত করেছে । যেমন , '  রামধনু রঙের কাচের জানলা ' বা ' রক্তিম গেলাসে তরমুজ মদ ' ।  প্রসঙ্গক্রমে , হাওয়ার রাত কবিতাটির কথা মনে পড়ছে ,  সেখানে কবি লিখেছেন , ' অন্ধকার রাতে অসত্যের চূড়ায় প্রেমিক চিল ' পুরুষের শিশির ভেজা চোখের মতো । ' অসাধারণ অনবদ্য কাব্য চরণ ,  আবার সেই মন ভুলানো বনলতা সেনের , সেই অমর পংক্তিটি আরও একবার পড়ে নেওয়া যাক । কবি লিখছেন , 
' পাখির নীড়ের মত চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন । '  এমন উপস্থাপনা জীবনন্দদাশের পক্ষেই প্রয়োগ করা সম্ভব । আবার বোধ কবিতা  চলিত ক্রিয়া পদের উপস্থাপনা দিলেন , লিখলেন , ' আমি তাকে পারি না এড়াতে ' । 

আসলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা , পরাধীন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা হীনতা ,  অসহযোগ আইন অমান্যের অগ্নিগর্ভ সময় বসে জীবানন্দ কবিতা লিখছেন , সময়ের যন্ত্রণাকে কবিতায় স্থান দিতে গিয়ে পাল্টে যাচ্ছে তাঁর কবি মনন , জীবনবোধের গল্প । ভাষারীতিতেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন । অস্থির সময়কে কাব্যের শরীরে স্থাপন করতে গিয়ে ভাষা ও ছন্দ নিয়ে নতুন পরীক্ষায় নেমেছেন তিনি ।  এখানে তাঁর বিশিষ্টতা ।  রবীন্দ্র গোত্রের বাইরে তিনি । ' ঝরা পালক '  সময়ে সত্যেন্দ্রনাথ ও নজরুল  দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন  । কবি ইলিয়ট পড়ে রোমাঞ্চিত হয়েছেন । তিনি  জীবনকে দেখেছেন  কিটস এর দৃষ্টিতে । তাই তাঁর  কবিতাই উপমা , দাঁড়ি , কমা , কোলনের ব্যবহারে আধুনিকরনের  সমন্বয় ঘটেছে । ভাষার  ক্ষেত্রে নাটকীয়তায এসেছে সংলাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে । ' তবুও ' ' অথবা ' ইত্যাদি অব্যয় পদের সুন্দর ব্যবহার লক্ষ্য করার মতো । ইত্যাদি ,  বুঝি শব্দগুলো আনন্দময় করে তোলে , আবার যতিচিহ্নের ব্যবহারেও তিনি বিশিষ্টতা দেখিয়েছেন । তাঁর বাক্য  ব্যবহার আলোক দ্যুতি ছড়িয়েছে পাঠকের হৃদয়ে । জীবনানন্দের কাব্য পাঠক মাত্রই স্বীকার করবেন ,  জীবনানন্দের কবিতা জীবনবোধের ক্ষেত্রে যেমন নতুনত্বের সঞ্চার করেছে , তেমনি ভাষারীতি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও অনন্য দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছে । 

 ছন্দ গত দিক দিয়ে জীবানন্দকে বিচার করলে বলতে হয় , তিনি প্রধানত তানপ্রধান ছন্দের কবি । তাঁর প্রধান কাব্যগ্রন্থের প্রায় সবগুলি তানপ্রধান ছন্দে লেখা । হয় পায়ার , নতুবা  বলাকা ছন্দে রচিত । যদিও কলাবৃত্ত , দলবৃত্ত ছন্দেও কাব্য রচনা করেছেন তিনি ।  বাকরীতি এবং কাব্য রীতির মহামিলন ঘটিয়েছেন তিনি তাঁর কাব্যে । এছাড়াও আছে চলিত ভাষার কথকতা , গাম্ভীর্য ও  যুগের ক্লান্তি এবং সময়ের প্রসব  যন্ত্রণা । যা তাঁকে বিশিষ্টতা দান করেছে । মৌলিক কবি হিসাবে নন্দিত হয়েছেন । দেশ ছাড়িয়ে তাঁর প্রতিভার আলোকদ্যুতি বিশ্বময় আভা ছড়িয়েছে ॥ 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ধীবর বৃত্তান্ত নাটকের প্রধান কুশীলব ধীবরের চরিত্র বিশ্লষণ করছেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

পথের দাবি গল্পে গিরিশ মহাপাত্রের পোশাক পরিচ্ছেদ ও অদ্ভুত দর্শন বিষয়ক আলোচনা ।

দাম গল্পটি ছাত্র শিক্ষক পবিত্র সম্পর্কের উপর গভীর ছায়াপাত করেছে । মাস্টারমশায় শাসন করতেন , ভালবাসতেন না । এটা ঠিক নয় ' , আলোচনা করছেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।