পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রুদ্রর কবিতা ভীষণ টানে আমায় । আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
সময়ই কবিতার জন্ম দেয় , গেঁথে দেয় কাব্য শরীরে এক একটা ইট । রুদ্র মহম্মদ শহীদুল্লাহ মূলত দ্রোহ এবং বিপ্লবের কবি । কোথায় পেলেন তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়বার এই তেজদীপ্ত  আস্ফালন । সময়ই দিয়েছে সেই অমোঘ সত্যবাণী লিখবার হিম্মত  । ২৯ আশ্বিন , ১৩৬৩ বঙ্গাব্দ , ইংরেজি ১৬ অক্টোবর ১৯৫৬ সালে রুদ্র মহম্মদ শহীদুল্লাহের জন্ম । চার বছর আগে সম্পূর্ণ হয়েছে ভাষার জন্য রক্তক্ষয়ী লড়াই । রাজপথ ভিজেছে বাংলার দামাল ছেলের বুকের রক্তে । সময় তো দ্রুত পরিবর্তন হয় না । রুদ্রের জন্ম সময় কালপর্ব বাংলাদেশের ইতিহাসে খুব একটা গৌরবময় নয় । দেশে চলছে পাকিস্থানী শাসনব্যবস্থা । ফলত রুদ্র মুহম্মদের শৈশব কেটেছে পরদেশীয়দের যাচ্ছেতাই রকম উৎপীড়নের ভিতর । জীবনের চলার প্রথম পর্বেই শাসকের ন্যায়হীনতা ও অসাম্যের পক্ষে সওয়ালের বিরুপে কিশোর রুদ্র মুহম্মদের মানস অজান্তেই মুক্তিকামি মানুষের মত ন্যায়রক্ষক হয়ে উঠছিল । সাল ১৯৬৯ উত্তাল হয়ে উঠল পুরো বাংলাদেশ , ক্ষোভে ফেটে পড়ল আস্ত বাংলাভাষী একটা ভূখন্ড । শৃঙ্খল মুক্তির লালসা শক্তিশালী রাষ্ট্রের বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে দিল প্রায় নিরস্ত্র মুক্তি অক্ষকে । রুদ্র মুহম্মদ মুক্তিসংগ...

বুদ্ধদেব বসুর চোখে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ । আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ সমীপেষু , বাঙালির সর্বকালিক অভিভাবক । তবে শুধু বাংলা ভাষী নন , সমগ্র ভারতবর্ষের গৌরব সূর্য তিনি , অহংকারের পূর্ণচন্দ্র । রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করবার দুঃসাহস বাঙালি আজ অব্দি দেখাতে পারেনি , তবে কি রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করবার আস্ফালন বাংলা সাহিত্যে ঘনীভূত হয়নি ? হয়েছে , তবে সে প্রচেষ্টা নিতান্ত কাঁচা এবং এলেবেলে সদৃশ অপরিপক্কজাত । মোহিতলাল মজুমদার , ডি .এল রায় প্রমুখ সাহিত্য মানস সমালোচকগণ রবীন্দ্র ত্রুটি সমন্বিত ইস্তাহার রচনায় প্রয়াসী হয়েছিলেন , তাঁরা রবীন্দ্রসাহিত্যকে ভাবের সাহিত্য বলেই আখ্যায়িত করেছিলেন , যদিও তাঁদের এ অভিযোগ নিঃসন্দেহভাবে অমূলক কিম্বা ঈর্ষাজনিত হতে পারে । পাঠক , কল্পনা করুন তো , ' চোখের বালির ' বিনোদনী ' নামক চরিত্রটির বিনির্মাণগত আদলের কথা । উল্লেখিত , ওই চরিত্রটির মত বাস্তবের মাটিতে হেঁটে বেড়ানো চরিত্রগত আদল শুধু বাংলা সাহিত্য কেন , বিশ্বসাহিত্যেও বিরলতম । আকাল বৈধব্য বিনোদ , কপাল দোষে পতিপ্রেম জোটেনি তাঁর , তাই মহেন্দ্রের স্ত্রীর পতিপ্রেমকে সে ঈর্ষার চোখে দেখছে । কাহিনীর এমন মনস্তাত্বিক মোচড় সমাজ জীবনের গল্পেও আমরা মুখ...

প্রাণের কবি নজরুল আজও প্রাসঙ্গিক । আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
' পরোয়া করি না , বাঁচি বা না বাঁচি যুগের হুজুগ কেটে গেলে / মাথার উপর জ্বলিছেন রবি , রয়েছে সোনার শত ছেলে ! / প্রাথনা করো - যারা কেড়ে খায় তেত্রিশ কোটি মানুষের মুখের গ্রাস / যেন লেখা হয় , আমার রক্ত - লেখায় তাদের সর্বনাশ । '  চরণবদ্ধ কাব্যপদটি কার লেখা ? না বললেও পাঠক সমীপেষুগণের খুব একটা অসুবিধা হবে বলে মনে করি না । চরণসমূহের অন্তদেশ থেকে যে মুখোশ উন্মোচনের বিদ্রোহ প্রকট হয়ে পড়ছে , তা একমাত্র কাজী নজরুল ইসলাম মহোদয়ের কাব্যশরীরী গঠনের কথায় হৃদয়জাত হয় । পাঠক , প্রথম চরণটি নিশ্চয় আপনাদের নজর এড়ায়নি , কবি লিখছেন , ' পরোয়া করি না , বাঁচি বা না বাঁচি যুগের হুজুগ কেটে গেলে' , কবিবর নিজেই উপলব্ধি করতে পারছেন , ভাব -ই প্রজন্মের কাছে হয়তো তিনি তেমন একটা আদরনীয় হবেন না । এর নেপথ্যে হয়তো তিনি ভেবেছেন , তিনি মূলত তাঁর সমকালকেই কাব্য শরীরে লেপ্টে দিয়েছেন , অন্য অনেকেই যখন সন্ধ্যাতারা পেড়ে গুঁজে দিচ্ছেন প্রেমিকার খোঁপায় , সেই কালপর্বে তিনি লিখছেন , ' কারার ওই লৌহকপাট , ভেঙে ফেল কররে লোপাট । ' তাঁর চিন্তা অমূলক না হলেও , কাজী সাহেবের কাব্য কিন্তু যুগউর্ত্তীণ ...

সমাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হল নহাটা কলেজে ।

ছবি
নোঙর নিউজডেক্স :  আজ বনগাঁর নহাটা যোগেন্দ্র নাথ মন্ডল স্মৃতি মহাবিদ‍্যালয়ের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদযাপিত হয় কলেজ প্রাঙ্গণে। মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডক্টর অর্ণব ঘোষ মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ মন্ডলের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ।তিনি তাঁর বক্তৃতায় এই সংকটকালীন সময়ে মহাবিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে আরো বেশি করে অনলাইন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে আহ্বান জানান। যোগেন্দ্রনাথ মন্ডলের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগীয় প্রধান ড. শেখ কামাল উদ্দীন কলেজ প্রতিষ্ঠা লগ্নে যাঁরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান । প্রসঙ্গত নহাটা হাই স্কুলের  শিক্ষক- শিক্ষাকর্মীদের অবদানের কথাও তিনি উল্লেখ করেন‌। এই মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে যে সমস্ত শিক্ষক , শিক্ষাকর্মী পরলোকগমন করেছেন তাঁদের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় । এছাড়াও যোগেন্দ্রনাথ মন্ডলের মূর্তিতে মাল্যদান করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য পেশ করেন শিক্ষক সমিতির সম্পাদক বিশ্বজিৎ মন্ডল,  ড.ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান কর...

নারীগণ এখন সর্বক্ষেত্রেই পুরুষের সমকক্ষ । লিখেছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
মানব কুল সাধারণত নারী ও পুরুষ , এই গোত্র বিভাগে খণ্ডিত । তৃতীয় লিঙ্গের মানবের উপস্থিতিও রয়েছে । তবে , সমাজিক এবং মানসিক অনগ্রসরতার ফলস্বরুপই , তাঁরা মূল সমাজ থেকে বিচ্ছন্ন । লিঙ্গভেদে বিভক্তগত এই দুই শ্রেণীর গণ মানবের মধ্যে যেমন আদল গত বিপরীত গঠন লক্ষ্যগোচর হয় , তেমনই স্বভাবগত ভিন্নতাও কিন্তু ঠিক বিপরীত মেরুর হয়ে থাকে । প্রসঙ্গক্রমে বলে নেওয়া দরকার , আরও এক ধরনের মানবকুল রয়েছে , যাঁরা পুরুষ দেহ ধারণ করলেও নারী মননের অধিকারী হয়েই জন্ম নেন , তেমনি অনেক গণ মানুষ আছেন যাঁরা নারী দেহ ধারণ করা সত্ত্বেও পুরুষের স্বভাবজাত আচরণ করেন । এঁদেরকেই সাধারণত রুপান্তরকামি বলে চিহ্নায়ন করা হয় ।  পৃথিবী পুরুষ তাঁর কেন্দ্রিক শক্তির আধার সূর্য্যের চারিদিকে ঘুরছে বিরামহীন ভাবে । গণ মানবের জীবনও এই ঘূর্ণনের মত চলমান । পথ চলা একার পক্ষে বড্ড বিরক্তিকর । সেজন্যই গণ মানবগণ সমাজ গোষ্টি রাষ্ট্র প্রভৃতি সমাজিক ও রাজনীতিক  প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা রাখতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করেন । এই প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র সমাজিক প্রতিষ্ঠান হল পরিবার । বিষয়টির উপস্থাপন ঋজুতার জন্য পরিবা...