কবি নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবসে বারাসাত নজরুল চর্চা কেন্দ্রের শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন ।
১৯৭৬ সালের এই দিনে মহাপ্রয়াণ ঘটে প্রাণের কবি নজরুলের । তিনি আমাদের জাতি সত্ত্বার অহঙ্কার । পরাধীন ভারতবর্ষে যখন কবি নামের অকবিগণ বিকিয়ে দিলেন মেরুদণ্ডের পাঁজর , সেই অবক্ষয়ের সময়ে বিপ্লবী কবি নজরুল রুখে দাঁড়ালেন পরাক্রমশালী প্রতিপক্ষের সম্মুখে । সকলে তখন রায়বাহাদূর , নাইট বগলদাবা করতে ব্যস্ত । অথচ কোঁকড়ানো চুলের এই মহান মানুষটি নিপীড়িত জাতির ঘুম ভাঙানোর ব্রত নিলেন । নজরুল তাঁর কবিতার মাঝে শোনালেন সম্প্রীতির মহাসঙ্গীত । ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভারতবাসি দিলেন কান্ডারী হুঁশিয়ার বার্তা ।
বাঙালি জাতিকে ইতিহাস ভুলো জাতি বলেন অনেকেই । শুনতে মুচমুচে হলেও সত্য নয় একেবারেই । মৃত্যুর এতগুলো বছর বাদেও নজরুল চর্চার যেন শেষ নেই । বারাসাত নজরুল চর্চা তেমনই একটি স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান । তাঁদের ধ্যান জ্ঞান কর্ম সাধনা সবই নজরুলময় । যদিও তাঁদের কর্মকান্ডের বহুমুখী সত্ত্বার বার্তা বহন করে । তবুও , নজরুলের প্রতি তাঁদের একটু হলেও পক্ষপাত রয়েছে । নজরুলকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দেওয়ার নিমিত্তেই সংঘটিত তাঁদের কর্মকান্ডের সব আকর ।
নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে এদিন বারাসাত নজরুল চর্চা কেন্দ্রের উদ্দোগে এক মহতী অনুষ্টানের আয়োজন করা হয় । করোনার ভয়াবহ কবলে বন্দি জীবন , তাই ইন্দ্রজালে এ আয়োজন । অপূর্ব , অসাধারণ , এই শব্দবন্ধও গুলোও যেন কম পড়ে , তাঁদের এই মহৎ প্রয়াসের জন্য । সমগ্র অনুষ্টানে বিশেষভাবে নজর কেড়েছেন , সংগীতে দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, কওসর আলী ,
ফাল্গুনী মিত্র , মানসী ঘোষ দস্তিদার , বেবী মিত্র , শুভ্রা চক্রবর্তী , শতাব্দী আচার্য্য , জয়শ্রী চক্রবর্তী,মেহেলী ঘোষ চক্রবর্তী প্রমুখ।
আবৃত্তিতে ঋষিজা দত্ত , লিপিকা বিশ্বাস , অন্বেষা দাস , মৃন্ময়ী সরকার প্রমুখ।
ভাষ্যপাঠে অংশগ্রহণ করেন সৈকত মন্ডল , সিদ্ধার্থ দত্ত , দেবব্রত পাঠক , স্বপন ভট্টাচার্য্য , মধুপর্ণা মিত্র গুহ, রাজু দত্ত , অসিত বিশ্বাস , নিরুপম আচার্য্য , সুজাতা দাস , নিবেদিতা নাগ মজুমদার , আরিফুল ইসলাম সাহাজি প্রমুখ।
স্বাগত ভাষণ দেন সোমা ভদ্র রায়।
নজরুলের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন শাহজাহান মন্ডল , নূপুর মন্ডল।
ভাষ্য রচনা করেন দেবযানী চট্টোপাধ্যায়।
সমগ্ৰ অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও সভাপতিত্ব করেন শেখ কামাল উদ্দীন
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন