পোস্টগুলি

প্রসঙ্গ রোহিঙ্গা নির্যাতন - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
দাও খুলে দাও ঐ সীমান্ত ফটক , রক্ষা কর মোদের মৃত্যুপুরী হতে হায়েনার লাল চোখ আজ বড় উজ্জ্বল কোটর হতে ঝরে লাল আগুন , পারছি না আর সইতে এ যাতন রক্ষা কর মোদের এ মৃত্যুপুরী হতে , খোলো সীমান্ত ফটক আমরা বাঁচতে চাই । তোমরা কি সব পাথর হয়ে গেছে , হে সভ্য ভ্রাতা পিতা পিতামহ ভুলে গেছে কি ভাতৃত্ব বন্ধন , দেখতে পাচ্ছ কি আমাদের শিশুদের শব ছড়ানো রয়েছে মাঠ পথ ও নদে , আমাদের নারীরা আজ সম্ভম হারানো নির্জীব প্রতিমা ,আমাদের যুবারা আজ গুলিবিদ্ধ ,ছুরির আঘাতে দ্বিখণ্ডিত হয়ে পড়ে আছে রাজপথে ! তোমরা কি সব পাথর হয়ে গেছে ! এই হিংস্র হায়েনাদের জন্য একটা বুলেট ও কি অবশিষ্ট নেই তোমাদের কাছে ! তোমরা কি সব পাথর হয়ে গেছে !

কবিতার জন্য কবির সুস্থতা দরকার - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
কবির জীবনটা যদি  নেতিয়ে পড়া সূর্যের                       মত দীপ্তিহীন হয় ,                       গোধূলির মত বিবর্ণ হয় , কবির কলমের কালি যদি বার বার কৃত্তিম জল দিয়ে                          ভিজিয়ে নিতে হয় ,                           তাহলে সুখের আবর্ত কি রচিত হয় ? কবির হৃদয় যদি অশান্ত হয় , বিষাদে পরিপূর্ণ হয়                           তাহলে কি সেখানে ঝড় ছাড়া                            আর কিছু আছরায় ! কবিতার জন্য কবির সুস্থতা দরকার ।
ছবি
কামাল পাশা - কাজী নজরুল ইসলাম [তখন শরৎ-সন্ধ্যা। আস্‌মানের আঙিনা তখন কার্‌বালা ময়দানের মতো খুনখারাবির রঙে রঙিন। সেদিনকার মহা-আহবে গ্রীক-সৈন্য সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হইহা গিয়াছে। তাহাদের অধিকাংশ সৈন্যই রণস্থলে হত অবস্থায় পড়িয়া রহিয়াছে। বাকি সব প্রাণপণে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করিতেছে। তুরস্কের জাতীয় সৈন্যদলের কাণ্ডারী বিশ্বত্রাস মহাবাহু কামাল-পাশা মহাহর্ষে রণস্থল হইতে তাম্বুতে ফিরিতেছেন। বিজয়োন্মত্ত সৈন্যদল মহাকল্লোলে অম্বর-ধরণী কাঁপাইয়া তুলিতেছে। তাহাদের প্রত্যেকের বুকে পিঠে দুই জন করিয়া নিহত বা আহত সৈন্য বাঁধা। যাহারা ফিরিতেছে তাহাদেরও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গোলাগুলির আঘাতে, বেয়নটের খোঁচায় ক্ষতবিক্ষত, পোষাক-পরিচ্ছদ ছিন্নভিন্ন, পা হইতে মাথা পর্যন্ত রক্তরঞ্জিত। তাহাদের কিন্তু সে দিকে ভ্রূক্ষেপও নাই। উদ্দাম বিজয়োন্মাদনার নেশায় মৃত্যু-কাতর রণক্লান্তি ভুলিয়া গিয়া তাহারা যেন খেপিয়া উঠিয়াছে। ভাঙা সঙ্গীনের আগায় রক্ত-ফেজ উড়াইয়া ভাঙা-খাটিয়া-আদি-দ্বারা-নির্মিত এক অভিনব চৌদলে কামালকে বসাইয়া বিষম হল্লা করিতে করিতে তাহারা মার্চ করিতেছে। ভূমিকম্পের সময় সাগর কল্লোলের মতো তাহাদের বিপুল বিজয়ধ্বনি আকাশে-বাতাসে যেন ক...

নজরুল ইসলাম - উম্মত আমি গুনাহগার

ছবি
<script async src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script> <!-- Adsence Ads --> <ins class="adsbygoogle"      style="display:inline-block;width:728px;height:90px"      data-ad-client="ca-pub-8859464621580427"      data-ad-slot="9097738044"></ins> <script> (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({}); </script> উম্মত আমি গুনাহগার (সুন্ধু ভৈরবী- কার্ফা) উম্মত আমি গুনাহগার তবু ভয় নাহি রে আমার আহমদ আমার নবী যিনি খোদ হাবিব খোদার।। যাঁহার উম্মত হতে চাহে সকল নবী, তাহারি দামন ধরি' পুলসিরাত হব পার।। কাঁদিবে রোজ হাশরে সবে যবে নাফসি ইয়া নাফসি রবে, ইয়া উম্মতী বলে একা কাঁদিবেন আমার মোখতার।। কাঁদিবেন সাথে মা ফাতিমা ধরিয়া আরশ আল্লার হোসায়েনের খুনের বদলায় মাফী চাই পাপী সবাকার।। দোযখ হয়েছে হারাম যে দিন পড়েছি কালেমা, যেদিন হয়েছি আমি কোরানের নিশান- বর্দার।।
এল শোকের মোহররম - কাজী নজরুল ইসলাম এল শোকের সেই মোহররম কারবালার স্মৃতি লয়ে। আজি বে-তাব বিশ্বমুসলিম সেই শোকে রোয়ে রোয়ে।। মনে পড়ে আসগরে আজ পিয়াসা দুশের বাচ্চায় পানি চাহিয়া পেল শাহাদাত হোসেনের বক্ষে রয়ে।। এক হাতে বিবাহের কাঙ্গন এক হাতে কাসেমের লাশ, বেহুঁশ খিমাতে সকিনা অসহ বেদনা সয়ে।। ঝরিছে আঁখিতে খুন হায় জয়নাল বেহুঁশ কেঁদে মানুষ ব'লে সহে এত পাথরও যেত ক্ষয়ে।। শূন্য পিঠে কাঁদে দুলদুল হযরত হোসেন শহীদ, আসমানে শোকের বারেষ, মরে আজি খুন হয়ে।।

কাজী নজরুল ইসলামের ইসলামিক কবিতা - উমর ফারুক

ছবি
তিমির রাত্রি - 'এশা'র আযান শুনি দূর মসজিদে। প্রিয়-হারা কার কান্নার মতো এ-বুকে আসিয়ে বিঁধে! আমির-উল-মুমেনিন, তোমার স্মৃতি যে আযানের ধ্বনি জানে না মুয়াজ্জিন। তকবির শুনি, শয্যা ছাড়িয়া চকিতে উঠিয়া বসি, বাতায়নে চাই-উঠিয়াছে কি-রে গগনে মরুর শশী? ও-আযান, ও কি পাপিয়ার ডাক, ও কি চকোরীর গান? মুয়াজ্জিনের কন্ঠে ও কি ও তোমারি সে আহ্ববান? আবার লুটায়ে পড়ি। 'সেদিন গিয়াছে' - শিয়রের কাছে কহিছে কালের ঘড়ি। উমর! ফারুক! আখেরি নবীর ওগো দক্ষিণ-বাহু! আহ্বান নয় - রূপ ধরে এস - গ্রাসে অন্ধতা-রাহু! ইসলাম-রবি, জ্যোতি তার আজ দিনে দিনে বিমলিন! সত্যের আলো  নিভিয়া-জ্বলিছে জোনাকির আলো ক্ষীণ। শুধু অঙ্গুলি-হেলনে শাসন করিতে এ জগতের দিয়াছিলে ফেলি মুহম্মদের চরণে যে-শমশের ফিরদৌস ছাড়ি নেমে এস তুমি সেই শমশের ধরি আর একবার লোহিত-সাগরে লালে-লাল হয়ে মরি! ইসলাম - সে তো পরশ-মানিক তাকে কে পেয়েছে খুঁজি? পরশে তাহার সোনা হল যারা তাদেরেই মোরা বুঝি। আজ বুঝি - কেন বলিয়াছিলেন শেষ পয়গম্বর- 'মোরপরে যদি নবী হত কেউ, হত সে এক উমর।' *  *  *  *  *  *  *  * ...

ঈদ মোবারক - কাজী নজরুল ইসলাম

ছবি
শত যোজনের কত মরুভূমি পারায়ে গো, কত বালুচরে কত আঁখি-ধারা ঝরায়ে গো, বরষের পরে আসিলে ঈদ! ভুখারীর দ্বারে সওগাত ব'ইয়ে রিজওয়ানের, কন্টক-বনে আশ্বাস এনে গুল- বাগের, সাকীরে "জা'মের দিলে তাগিদ! খুশীর পাপিয়া পিউ পিউ গাহে দিগ্বিদিক বধূ জাগে আজ নিশীথ-বাসরে নির্নিমিখ! কোথা ফুলদানী, কাঁদিছে ফুল, সুদূর প্রবাসে ঘুম নাহি আসে কার সখার, মনে পড়ে শুধু সোঁদা-সোঁদা বাস এলো খোঁপার, আকুল কবরী উলঝলুল! ওগো কাল সাঁঝে দ্বিতীয়া চাঁদের ইশারা কোন মুজদা এনেছে, সুখে ডগমগ মুকুলী মন! আশাবরী- সুরে ঝুরে সানাই। আতর-সুবাসে কাতর হ'ল গো পাথর-দিল, দিলে দিলে আজ বন্ধকী দেনা-নাই দলিল, কবুলিয়তের নাই বালাই।। আজিকে এজিদে হাসেনে হোসেনে গলাগলি, দোযখে বেহেশতে সুল ও আগুনে ঢলাঢলি, শিরী ফরহাদে জড়াহড়ি! সাপিনীর মত বেঁধেছে লায়লী কায়েসে গো, বাহুর বন্ধে চোখ বুঁজে বঁধু আয়েসে গো, গালে গালে চুমু গরাগড়ি।। দাউ- দাউ জ্বলে আজি স্ফূর্তির জাহান্নাম, শয়তান আজ বেহেশতে বিলায় শরাব-জাম, দুশম্ন দস্ত এক-জামাত! আজি আরফাত-ময়দান পাতা গাঁয়ে- গাঁয়ে, কোলাকুলি করে বাদশা ফকীরে ভায়ে-ভায়ে, কা...