পোস্টগুলি

সোশাল মিডিয়ায় প্রবল আসক্তি যেন অন্তরায় হয়ে না দাঁড়ায় স্বপ্নপূরণের রাস্তায় ॥

বর্তমান সময় সোশাল মিডিয়ায় আসক্ত নয় এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায় ।দিনের মোট সময়ের সিংহভাগটায় কাটে জনপ্রিয় সোশাল সাইটগুলিতে নিজেদের খুঁটিনাটি আপডেট করতে ।আট থেকে আশি ,কিশোর -যুবক থেকে বৃদ্ধ বৃদ্ধা রাও অ্যাকাউন্ট খুলে বসেছেন ফেসবুক ,হোয়াটসআপের মত জনপ্রিয় সোশাল মিডিয়াগুলিতে ।বহুবিধ উপকারিতা রয়েছে নিঃসন্দেহে । অপকারিতার দিকও সহস্র ।সাধ্যের মধ্যে স্মার্ট ফোন ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা সোশাল মিডিয়ার প্রতি আসক্তি বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ ।এর কুপ্রভাবে ব্যাহত হচ্ছে কিশোর কিশোরীদের পঠন পাঠন ।দিনের বেশির ভাগ সময় কাটছে অনলাইনের পরাবাস্তব জগতে ।সমান্তরাল ভাবে চলা দুটি মাধ্যমের মধ্যে একটি শক্তিশালী হয়ে উঠলে অন্যটি  পিছিয়ে পড়ে ।সেরকমই সোশাল মিডিয়ার প্রবল আসক্তি পড়াশুনা করবার ইচ্ছাটাকেই যেন কুরে কুরে খাচ্ছে ।আপডেট দিতেই ব্যস্ত ,সঙ্গে আছে চ্যাটিং ।অনলাইন হওয়া অপরাধ নয় ।ভাল খারাপ দিক সব মাধ্যমের থাকে ।আমরা কিভাবে ব্যবহার করছি তার উপর নির্ভর করে সবকিছু ।ফেসবুক - হোয়াটসআপে থেকে পড়াশুনা করা যায় ।এমন অনেক গ্রূপ রয়েছে যেখানে থেকে ঝালিয়ে নেওয়া যায় স্ব-অধ্যয়ন স্থর ।যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা বুদ্ধিমত্তার কাজ ।জন...

দাঙ্গার দিনগুলো - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
দাঙ্গার ছবি ॥ রক্ত ।রক্ত ।রক্ত পিপাসু হয়ে উঠেছে হায়েনা গুলো ।টেঙ্কি টেঙ্কি রক্ত চাই ওদের ।লাল তাজা রক্ত ।সৌমেনের চিৎকার আজও শুনতে পায়  আলামিন ।সৌমেন -শরীফ -মুকুল -দিলীপ - আলাপনরা  নৃশংস ভাবে খুন হয়েছে ।ঘৃণার সাথে উচ্চারিত হয় আজ ওদের নাম ।কেউ কোনদিন জানতেই পারবে না কতবড় আত্মবলিদান করে আজ ওরা চির নিদ্রায় ঘুমিয়ে আছে শ্মশান ও কবরে । যেদিন সৌমেন বলেছিল কিছু করতে হবে ভাই ।বড় বিপদ আর বসে থাকলে চলবে না  ।দাঙ্গা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে ।এক্ষুনি কিছু করতে হবে ।সেদিনের কথা এখনও পরিষ্কার মনে পড়ে আলামিনের ।বদউদ্দিন চাচা খুন হন বামুন পাড়ার মানিক চক্রবর্তীর হাতে ।আগুনে ঘৃতাহূতির মত দাঙ্গার আগুন ছড়িয়ে পড়ল ।মুসলমান পাড়া উত্তাল ।আলামিন খুব ভয় পেয়েছিল সেদিন ভিড়ের মাঝে সৌমেনকে দেখে ।অতি উৎসাহি কিছু মুসলিম যুবক কাফের কাফের বলে সৌমেনের দিকে তেড়ে আসে ।সৌমেনের মুখ আজও দেখতে পায় আলামিন ।সে মুখের অভিব্যক্তি ভাবলেশহীন ।তবে কঠিন দৃষ্টি ।আমাকে মেরে ফেলুন ।তবুও ভায়ে ভায়ে এ রক্তের হোলি বন্ধ করুন ।সৌমেনের সেই করুন আর্তি চোখ বন্ধ করলে আজও শুনতে পায় আলামিন । সৌমেনের কথা সেদিন শোনেনি কেউ ।লাশ পড়েছিল অন...

ই_বুকের গ্রহনযোগ্যতায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে প্রকাশনশিল্প ॥

ই_বুক হল ই_মাধ্যমে পাঠ করা পুস্তক ।ই_বুক বিভিন্ন রকমের হয় ।পি.ডি.এফ বা আপস আকারে পড়ে নেওয়া যেতে পারে বিভিন্ন বিষয়ের দরকারি পুস্তক সমূহ ।ই_বুক যেমন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করে পড়া যায় ,তেমনি কিছু বই আবার ব্যয়সাপেক্ষ ।অসম্ভব জনপ্রিয় ই_বুক এই সময় । উত্তর আধুনিক যুগ এখন ।একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ,মোবাইল ফোন ব্যবহারকারি ভারতীয়দের চল্লিশ শতাংশ ব্যবহার করেন 4জি হাইস্পিড নেটওয়ার্ক ।ফলত ,এক নিমিষেই নিজের কৌতূহল মিটিয়ে নেওয়া যায় ইন্টারনেট থেকে । ই_বুকের এই ঈর্ষনীয় জনপ্রিয়তায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে ঐতিহ্যবাহী প্রকাশনশিল্প ।একটা সময় বইপ্রিয় মানুষগুলো নিজেদের প্রয়োজনীয় মূল্যবান পুস্তকগুলো সর্বদা নিজের সংগ্রহে রাখতেন ।নামিদামি পাবলিকেশনের পাশাপাশি বইয়ের বাজারে দেখা যেত ছোট ,মাঝারি একাধিক প্রকাশন সংস্থা । প্রকাশন শিল্প ই_বুক ,ই_ম্যাগাজিনের ব্যাপক জনপ্রিয়তার দরুন মন্দার কবলে পড়ছে ।ফলত ,নামি প্রকাশন সংস্থাগুলো কোনরকমে নিজেদের অস্তিত্ব ধরে রাখতে পারলেও ছোট এবং মাঝারি প্রকাশন সংস্থাগুলো ক্রমশ বিলুপ্তির পথে এগিয়ে  যাচ্ছে  ।আগামি দিনে হয়ত আরও সংকটের মুখে পড়তে পারে এই ঐতিহ্যবাহি প্রকাশন...

Cartoon Kobita 2 : Kobi Nasiruddin

ছবি

Cartoon Kobita ; Kobi Nasiruddin

ছবি

মাকে ছাদ থেকে ফেলে দিল কুলাঙ্গার সন্তান ॥

প্রিয় দৈনিক কলমে প্রকাশিত রাজ্কোটের গুণধর অধ্যাপকের অপকর্মের খবরটি বেশ কয়েকবার পড়লাম ।আধুনিক হচ্ছি আমরা ।ক্রমশ  উত্তর আধুনিকতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছি অনন্তের দিকে ।মানবিকতা ,মমত্ব বোধ ,বিবেক ,অন্তরাত্মার পটপরিবর্তন ও কি সময়ের দাবি ! আমরা ক্রমশ স্বার্থপর হয়ে উঠছি না তো ? এই স্বার্থপরতা এতটায় ধ্বংসাত্মক যে বৃদ্ধা মাকে ছাদ থেকে ফেলে দিল সন্তান ! তিনি তো শুধু এক অসহায় বৃদ্ধা মায়ের সন্তান নন ।তিনি সমাজের এক বিশিষ্ট অংশ ।তিনি একজন অধ্যাপক ।সমাজ গড়ার কারিগর ।স্ত্রী ও যোগ্য সঙ্গ দিলেন ।কে যেন বলেছিলেন - নারীরাই নারীর প্রধানতম অরি ।শুধু ভূমিকা পরিবর্তন হয় মাত্র ।কখনও শাশুড়ী ,কখনওবা পুত্রবধূ । বধূনির্যাতন নিয়ে আমরা অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে থাকি ।তবে ,পুত্রবধূ এবং নিজসন্তান দ্বারা কোন বৃদ্ধ দম্পতি নির্যাতিত হলে মুখে কুলুপ আঁটি ।কেননা এটা ঘরের সমস্যা ।মা বাবা কখনও চাননা তাঁদের সন্তান নিন্দিত হোক সমাজের মানুষের কাছে ।ফলত: অনেকের শেষজীবন কাটে হয় বৃদ্ধশ্রমে ,নয়তো ছেলে - বৌ এর কাছে লাঞ্ছিত হয়ে । মাঝে মাঝে ভাবনাকে বিবেকের শেষ সীমা পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায় ।অন্তরাত্মার কাছে রাখি একগুচ্ছ ...

আত্মহত্যা প্রবণ হয়ে উঠছি ...- আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
Fansi pic/aisahaji.blogspot.com প্রত্যহ ।প্রতি মহুর্ত নিজেকে একবার করে ফাঁসি কাঠে ঝোলায় ।                কখনও নিজে ফাঁসি কাঠে ঝুলি                 কখনও নিজেকে ঝোলায় রশিটা পাকায় ।তেল দিয় ।                  নিজের গলায় পড়ায়                   পাঠাটা সরিয়ে দিয় নিজের লাশ নিজে নামায়                     পার্ল্স পরীক্ষা করি                      মৃত্যু নিশ্চিত না হলে !! আবার ফাঁসি কাঠে ঝোলায় ..........