পোস্টগুলি

পিছিয়ে পড়তে না চাইলে ইসলামি সমাজকে শিক্ষার আলোকে প্রজ্বলিত হতে হবে । আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
একটি জাতির উন্নয়নের পরিআবহিক মন্ডল কেমন হবে , সেই বিষয়টি নির্ভর করে সেই জাতির গণমানুষরা নিজেদেরকে সত্যকার অর্থেই কতখানি মানবসম্পদে পরিণত করতে পারছে । মানবসম্পদ শব্দবন্ধটির উপস্থাপন করলাম যেহেতু , এর একটা ব্যাখ্যাপূর্ণ পরিআবহ সৃষ্টি করলে পাঠক বুঝবেন । মানবসম্পদ বললে সকল মানবকেই সম্পদ হিসাবে ধারণা করা হচ্ছে , এমন ভাবলে ভুল করা হবে । মানবসম্পদ সেই মানবগোষ্টিকে বলা হবে যাঁরা মানব সভ্যতার কল্যাণের নেপথ্যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন । যে জাতি ধর্ম রাষ্ট্রের মানসম্পূর্ণ মানবের সংখ্যা অধিক হবে , তাঁরা নিঃসন্দেহে অগ্রগতির সোপান ধরে পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে সবার আগে অবতরন করবে , সে বিষয়ে দ্বিমত নেই । এখন প্রশ্ন উঠতেই মুসলিম গণসমাজ ক্রমে অধঃপতিত সভ্যতার প্রতিভূর প্রতিনিধিত্ব কেন করছে ? উপরের ব্যাখ্যানুযায়ি বলতে হয় , মুসলিম গণসমাজ নিজেদেরকে মানবসম্পদে পরিগণিত করতে অক্ষম হচ্ছেন । বিষয়টি একেবারেই সেইরকম । মুসলিম সমাজ ক্রমশঃ শিক্ষাদীক্ষায় নিজেদেরকে দৈন্য করে তুলছেন । নারীদের শিক্ষার প্রচলন কিছুটা হলেও এখনও টিকে আছে , কিন্তু দুঃখের বিষয় মুসলিম গণসমাজে পুরুষ শিক্ষার হার...

রাত্রী গভীর এখন - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
কবিতায় বেঁধেছি সব  জীবন গল্প  আর পাঁচজনের মত  দিনের শেষে  হাই তুলে ঘুমাতে  পারিনে  বিপদ শরীর ঘেঁষা  হলেও অন্যরা  এড়িয়ে যায়  মনে করে ভুগবে ওঁরা  আমাদের দিন কেটে  যাবে বেশ  অক্লেশে  সাধারণ মানুষগুলোর   এক একাধিক  ভাগ , কেউ হিন্দু শিখ  খ্রিষ্টান মুসলমান  কেউ কেবল মানুষ নন  সবার দুখে মন  কান্দে না সবার  মন খারাপেরও একটা  গন্ডি আছে  সেই গন্ডি পেরোলেই  মন কেমন করে  ব্যস্ত জীবনে কে হাসলো  কাঁদল তাতে কার কী  যায় আসে  কে হারালো ঘর  কে হারালো দেশ  তাতে ক্ষতি কার ?  হায় রে , বাঙালি বুঝিস না  কে তোর আপন , আর কে তোর পর ?  চোখ খুলে দেখ , তোর ঘর  আঙিনায় নেমেছে আঁধার .....

জীবন জেগে আর্তনাদ করে যে স্টেশনে , আমি তার নাম দিয়েছি পৃথিবী ।মরা পৃথিবীর স্বরুপ বিশ্লেষন করেছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
এমনটি ছিল না পৃথিবী ।  পিতামহ মাতামহদের কাছে শোনা পৃথিবী যেন অন্যকোন পৃথিবী । মমত্ববোধ , মানবিকতার এক অনন্য ফাল্গুধারায় সিক্ত ছিল সত্তর আশি নব্বইয়ের দশকগুলো । বাবাদের কাটানো শৈশব যৌবনের দিনগুলোও তেমন মন্দ ছিল না । শোনামতে এত্তব্যাপক নোংরা রাজনীতিক পরিআবহ থেকে বেশ কিছুটা মুক্ত ছিল সেই সব দিনগুলো । রাজনীতিক কদর্যতা যে ছিল না , সেটা বললে কিছুটা ভুল বলা হবে বইকি ! তবে কিছু পঙ্কিলতা থাকলেও জনজীবন এত্তটা কলুষিত ছিল না । আমাদের শৈশবের দিনগুলোতেও মানুষের  এতটা কদর্য নগ্নরুপ দেখেনি । গণমানুষের প্রতি ভালোবাসা , মমতা তখনও কিছুটা অক্ষুন্ন ছিল । হঠাৎ করেই , অন্ততঃ গত সাত আট বছরে মানবিকতার দৃষ্টিকোন থেকে পৃথিবীতে এক ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্যগোচর হতে দেখছি । বেশ কয়েকটা সম্প্রদায়গত গণহত্যা এই কয় বছরের ভিতর আমরা সংঘটিত হতে দেখলাম । হিটলারের ইহুদি নিধনের পর সবচেয়ে বড়ো সম্প্রদায়গত গণহত্যা রোহিঙ্গা জনগোষ্টির উপর নির্যাতন , এই বিষয়টি কেউই অস্বীকার করতে পারবেন না । একেবারেই নির্বিঘ্নে কোন প্রতিরোধ ছাড়াই  শান্তিতে নোবেল পাওয়া সুচির সরকার এই হিংস্র কর্মকান্ডকে রুপ দিতে পারল । চীনের ...

দ্রব্যমূল্য আগুন ছোঁয়া , অথচ কৃষকের ঘরে ফসল উঠলে মিইয়ে পড়ে দাম । এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
দ্রব্যমূল্যের উৎপটাং দামে জেরবার নিম্ন মধ্য উচ্চ সব বিত্তই । শান্তি এক প্রকার অধরাই । বাজারে গেলে খাদ্য দ্রব্যের দাম শুনে দাঁতকপাটি এঁটে যাওয়ার মত অবস্থা । দশ বারো হাজার টাকা উপার্জন করা মধ্যবিত্ত বাঙালির সংসার ফুটোফাটা কলসি সদৃশ । ওই টাকাতে কিভাবে চলবে সংসারের গাড়ি ? ভরবে কী বাজারের ব্যাগ ? প্রসঙ্গক্রমেই আমার এক  বন্ধুর কথা মনে পড়ছে । বিষয়টি বললে বিষয়খানির গাম্ভীর্যতার জায়গাটা কিছুটা ঋজু হবে । বেশ কয়েক বছর ধরেই ওঁর পিছনে লেগে ছিলাম , বিষয়টি এমন ,  বিয়ে করতে হবে আমরা দাওয়াত খাবো । বন্ধুবর অনেক ভেবে আমাদেরকে বলেছিল , দুই হাজার ঊনিশের শেষের দিকে বিবাহ করবো  । সেই অনুযায়ি আমরাও মানসিকভাবে তৈরি হচ্ছিলাম , বন্ধু বিয়ে করবে আমরা পেট ভরে খাবো । কিছুদিন পূর্বে সেই বন্ধুটিকে ধরেছি , বললাম কিরে , কবে খাবো পেটপুরে ? বন্ধুবর পুরোপুরি নিশ্চুপ , এমন ভাব যেন একটু আগে জলঙ্গীর জলে ওর ঘরবাড়ি সব ভেসে গেছে । বললাম , কী রে , কিছু বল ? ও যা বললো , সেটি শুনে আমাদের চোখ ছানাবানা হওয়ার অবস্থা । বেচারাই বলবো , বলে কী ভাই পিঁয়াজের যে দাম , সংসার চালাবো কিভাবে ? উপার্জন তো করি ওই কয়টা ট...

স্থায়ী চাকরি নেই , বেসরকারি ক্ষেত্রে লাঞ্ছিত হচ্ছেন শিক্ষিত যুবক যুবতীগণ । এ বিষয়ে কলম ধরেছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
সরকারি চাকরির হাঁড়িতে মা ভবানী বাস করতে শুরু করেছে বেশ কিছু বছর  । চাকরি নেই , কালেভাদ্রে দু চারটে পরীক্ষা হলেও নিয়োগ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটে না । ফলত , জীবনের জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ অন্যত্র মাথা গুঁজছেন  শিক্ষিত যুবক যুবতীগণ । লাঞ্ছনা , অপমান ও অনিয়মিত বেতন কাঠামোর আবর্তে অনেকেরই জীবন বাঁধা পড়ছে । বিষয়টি দৃষ্টান্তযোগে বললে পাঠক বুঝবেন ।  একটা কলেজের পাশাপাশি এক মিশন স্কুলেও পড়িয়েছি বেশ কিছু সময় । এ গল্প সেই সময়কার । গল্প বলতে সাধারণভাবে যেমন বোধ হয় আমাদের , তার থেকে এ গল্প কিছুটা স্বতন্ত্র । গল্পটি এক ঝাঁক তরুণ এবং তরুণীর ।একটা কথা প্রচলিত আছে , বেসরকারি প্রতিষ্টানে কাজ করতে গেলে চামড়াটা নাকি একটু পুরু হতে হয় । কর্তাব্যক্তিদের মেজাজ বুঝে চলতে হয় । তাঁরা শুধু বলে যাবেন , আপনি কিছু বলতে পারবেন না । ঠিকঠাক মাইনে দিতে চাইত না উক্ত প্রতিষ্টানটি  । এটা নাকি মিশন স্কুলের ঐতিহ্য , যদিও ব্যতিক্রম নিঃসন্দেহ আছে । তবে , আমাদের এই স্কুলটা শিক্ষিত যুবকদের খুব একটা কদর করতো বলে মনে হতো না । দেখতাম , পিছনে সকল শিক্ষক কানাঘুষি করতো , কলুর বলদের মত খাট...

অর্থ না বুঝেই আরবী নাম রাখেন অধিকাংশই বাঙালি মুসলমান । এ বিষয়ে লিখেছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
নাম দিয়ে মানুষ চেনা না গেলেও , নাম দিয়ে ধর্ম চেনা যায় । অর্থাৎ নাম মানুষটি কোন ধর্মের , সেটা সহজেই অনুমেয় হয় । নেপথ্যের কারণ হল , পৃথিবীর প্রায় সকল ধর্মের মানুষদের নামকরণের ক্ষেত্রে এক সরলরৈখিক একমুখী ধারার উপস্থিতি রয়েছে । উদাহরণ যোগে বিষয়টি ব্যাখ্যাযোগ্য করা দরকার , ধরুন হিন্দুধর্মের গণমানুষদের যেসব নাম সমূহ আমাদের চক্ষুগোচর হয় , সেই সকল নামের পূর্বে '  শ্রী ' ও ' শ্রীমতি ' শব্দদ্বয়ের উপস্থিতি লক্ষ্য করার মত । এছাড়াও হিন্দুধর্মাবলম্বী মানুষজনের নাম অনেকক্ষেত্রেই দেবদেবীগণের নাম সদৃশ ও সংস্কৃতজাত  হয়ে থাকে , যেমন মহাদেব , গণেশ , বিষ্ণু , কৃষ্ণ , লক্ষী , পার্বতী ইত্যাদি । আবার খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী গণমানুষদের নাম সাধারণত মাইকেল , স্টিফেন , হকিংয় , স্টিভ প্রভৃতি ইংরেজিজাত ও বাইবেল সম্পৃক্ত হয় । অনুরুপভাবে ইসলামনুসারি মুসলিমদের নাম পুরো বিশ্বময় আরবীজাত । বিশ্বময় মুসলিমদের নামকরণের প্রবণতা মূলত একমুখী । মুসলিম জনসমাজ নামকরণের ক্ষেত্রে কেন আরবি  ভাষ্যমতে নামকরণ করেন ? এর নেপথ্যের কারণটি মূলত মনস্তাত্বিক । মুসলিম উম্মাহ বিশ্বাস করে , পৃথিবীর পবিত্র ভাষা হল...

পৃথিবী পুরুষ বৃদ্ধ হচ্ছে , এগিয়ে যাচ্ছে মৃত্যুর দিকে । লিখেছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
১ . মানুষের কান্না এখন  পৃথিবীর জাতীয়  সঙ্গীত :  যে সূর্য রোজ পৃথিবী পুরুষের বুক চিরে সগৌরবে ওঠে , তা জীবন্ত সূর্য নয় , গ্রহণলাগা সূর্য । একটা বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবী পুরুষের পুরো শরীরময় । মানুষের সাধের এ ভূমি সুস্থ নয় । ক্যান্সারের মত এক মহাক্ষয় রোগ তাঁর হৃদপিন্ডকে নিয়ে এসে দাঁড়িয়েছে ধ্বংশের মহাদ্বারপ্রান্তে ।একটা উন্মাদ ধ্বংশ নৃত্যে মুখরিত হচ্ছে জীবনের গল্পগুলো । ' সাধের মানব জনম ঘেঁটে ঘ ' আকার ধারণ করেছে । মানবিক বিশ্ব কিম্বা মানবিক মুখ সমূহ লুকিয়ে পড়েছে কুয়াশার আড়ালে । ভালো মানুষ কমে আসছে এমনটি কিন্তু নয় । ভালো মানুষ আছেন ।  যথেষ্ট পরিমাণই আছেন , তবে ক্ষীণতর স্বর নিয়ে । ফলে অত্যচারির খড়্গহস্ত শক্তপাথরের মত হয়ে ভালোমানুষের টুঁটি চেপে ধরলেও অন্য ভালোমানুষ সকল স্বকাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন জীবনের গাড়িকে সচল রাখতে । অর্থাৎ বিপদ যতসময় না শরীর ঘেঁষে এসে দাঁড়াচ্ছে কিম্বা দেওয়ালে ঠেকছে পিঠ , তার প্রাকমুহূর্ত পর্যন্ত গণভালো মানুষগণ টু শব্দটি করছেন না । প্রসঙ্গক্রমে না বললে অন্যায় হবে , সব্বাই যে এই একই দলভুক্ত এমন আপ্তবাক্য উপস্থাপন করবার দুঃসাহস...