পোস্টগুলি

কবি নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবসে বারাসাত নজরুল চর্চা কেন্দ্রের শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন ।

ছবি
  ১৯৭৬ সালের এই দিনে মহাপ্রয়াণ ঘটে প্রাণের কবি নজরুলের । তিনি আমাদের জাতি সত্ত্বার অহঙ্কার । পরাধীন ভারতবর্ষে যখন কবি নামের অকবিগণ বিকিয়ে দিলেন মেরুদণ্ডের পাঁজর , সেই অবক্ষয়ের সময়ে বিপ্লবী কবি নজরুল রুখে দাঁড়ালেন পরাক্রমশালী প্রতিপক্ষের সম্মুখে । সকলে তখন রায়বাহাদূর , নাইট বগলদাবা করতে ব্যস্ত । অথচ কোঁকড়ানো চুলের এই মহান মানুষটি  নিপীড়িত জাতির ঘুম ভাঙানোর ব্রত নিলেন । নজরুল তাঁর কবিতার মাঝে শোনালেন সম্প্রীতির মহাসঙ্গীত । ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভারতবাসি দিলেন কান্ডারী হুঁশিয়ার বার্তা ।  বাঙালি জাতিকে ইতিহাস ভুলো জাতি বলেন অনেকেই । শুনতে মুচমুচে হলেও সত্য নয় একেবারেই । মৃত্যুর এতগুলো বছর বাদেও নজরুল চর্চার যেন শেষ নেই । বারাসাত নজরুল চর্চা তেমনই একটি স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান । তাঁদের ধ্যান জ্ঞান কর্ম সাধনা সবই নজরুলময় । যদিও তাঁদের কর্মকান্ডের বহুমুখী সত্ত্বার বার্তা বহন করে । তবুও , নজরুলের প্রতি তাঁদের একটু হলেও পক্ষপাত রয়েছে । নজরুলকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দেওয়ার নিমিত্তেই সংঘটিত তাঁদের কর্মকান্ডের সব আকর ।  নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে এদিন বারাসাত নজরুল চর্চা কেন্দ্রের উদ্দোগে...

আমডাঙার আবালসিদ্ধিতে রক্তদান ও কৃতি ছাত্র-ছাত্রী দের সংবর্ধনা

ছবি
আমডাঙার আবালসিদ্ধির হিসাবী গ্রামের ইয়াং এন্ড ইয়ুথ সংস্থার উদ্যোগে এবং আমডাঙ্গা আদর্শ টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহযোগিতায় গত বাইশে আগস্ট অনুষ্ঠিত হলো স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির । সমস্ত সরকারি বিধি মেনে এই রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন আমডাঙ্গার বিধায়ক রফিকুর রহমান । শিবিরে মোট পঞ্চাশ জন রক্ত দান করেন ।একই সঙ্গে এস. এ. এস সংস্থা আমডাঙার সতেরোটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, হাই মাদ্রাসা, আলিম,ফাজিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষার সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপক চল্লিশ জনকে পেন,পুস্তক, সার্টিফিকেট, পুষ্পস্তবক ও মিষ্টান্ন দিয়ে সংবর্ধিত করে। উচ্চ মাধ‍্যমিকে সপ্তম স্থান প্রাপক সায়মা সুলতানাকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয় ।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়েস্টবেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ টিচার্স ট্রেনিং এডুকেশন প্ল্যানিং এন্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধ্যাপক পার্থ চ্যাটার্জি, সীরাতের রাজ্য সম্পাদক আবু সিদ্দিক খান, নজরুল চর্চা কেন্দ্রের সম্পাদক শাহজাহান মন্ডল, এস. এ. এস. এর সম্পাদিকা জাহানারা খাতুন, আমডাঙ্গা আদর্শ টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শেখ জহির উদ্দীন আবুসালেহ মোঃ কাশেম, নূপুর মন্ডল,আব্দুর রাজ্জাক তুহিনা খ...

প্রসঙ্গ অনুরুপা দেবীর দেবদাসী গল্প : শিরোনাম : ১ . ' দেবদাসি ' প্রথার অন্ধদিক প্রসঙ্গ । আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
  ' দেবদাসী'  প্রথা এক প্রাচীন অসামাজিক এবং অবশ্যই অমানবিক  নিষ্টুর প্রথা । দেখনদারি উদ্দেশ্য দেবতার সন্তোষ্টির জন্য নৃত্যগীত পরিবেশন করবার নিমিত্তে এই কুপ্রথার উদ্ভব । মনোনীত নারীদেরকে এক প্রকার মন্দির বাসে বাধ্য করা হত । দেবতার নামে উৎসর্গিত নারীদের জীবন , আর পাঁচজন  রমণীর থেকে স্বতন্ত্র । তাঁদেরকে বালিকা বয়সেই , অত্যন্ত সুচতুর ভাবে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করা রাখবার মধ্য দিয়ে বাকহীন অসহায় সম্প্রদায়ে পরিণত করে রাখত , এই কুপ্রথার নেপথ্যের কুশীলবগণ । অসহায় নারীগণকে সমাজ সংসার থেকে বিচ্ছন্ন করে রাখবার নেপথ্যে একাধিক হেতু বিদ্যমান । আসলে , এই সকল প্রথার উদ্ভব ও রক্ষাকর্তাগণ , প্রথা ভঙ্গের আশঙ্কায় সর্বদায় আতঙ্কিত থাকেন  । কেননা , দুর্বল নিপীড়িত মানুষের উপর পীড়ন করবার আলাদা এক পৈচাশিক  আনন্দ আছে বোধহয়  । সভ্য অসভ্য যেকোন সমাজে , এই ধরনের প্রথা কলঙ্ক স্বরুপ ।  সমাজ থেকে এইসকল নারীগণকে বিচ্ছিন্ন করবার হেতু , মূলত তাঁদেরকে একক সত্ত্বায় পরিণত করা । সকল কুপ্রথার নেপথ্যের মাথা কুশীলবরা ভালো মত জানে ,  একক মানুষের চিৎকার , গণভাবনায় তেমন পরিণত হয় না । দ্বিতী...

বাংলা পড়াচ্ছেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক আমন্ত্রিত কলেজ শিক্ষক আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি

গল্পকার জীবনানন্দ দাশ ও জামরুলতলা গল্প বিশ্লেষন । আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
জীবনানন্দ দাশ মূলত রবীন্দ্রউত্তর কাব্যধারার শ্রেষ্ঠতম সরস্বত প্রতিভূ । তবে , এটিই তাঁর একমাত্র পরিচয় নয় । প্রধানত তিনি কবি , তাঁর খ্যাতির মূলদণ্ড কবিতাই  , বিষয়টি  অস্বীকার করা যায় না  । জীবদ্দশায় ১৪ টি উপন্যাস এবং ১০৮ টি ছোটগল্প তিনি রচনা করেন । দুঃখের বিষয় , এই বিপুল সৃষ্টিসম্ভার জীবিত থাকাকালীন সময় প্রিয় শ্রদ্ধেয় জীবনানন্দ দাশ সমীপেষু লোকচক্ষুর সম্মুখগোচর করেননি ।  তাঁর সাহিত্যসৃষ্টির পথকে রুদ্ধ করতে বিরুদ্ধ এক একাধিক সাহিত্য গোষ্টির নিরন্তর সমালোচনা তাঁকে ব্যথিত করে তুলেছিল । স্বজীবনের সব অধ্যায়েই এক প্রকার ব্যর্থতা তাঁকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছিল , অসফলতা তাঁর জীবনের মূল গল্প হয়ে উঠেছিল ।  এই ব্যর্থতার রেশ আরও একটু শ্লেষে পরিণত হোক এমন হয়তো চাননি প্রচারবিমুখ এই মহান সাহিত্য সাধক ।  গল্পকার জীবনানন্দ দাশের সাথে সাহিত্য ঘরানার সিরিয়াস পাঠক ব্যতিত তেমন অনেকেরই বিশেষ পরিচয় নেই , বললে অন্যায় বলা হবে না । যেমনটি কবিবর শ্রদ্ধেয়  নজরুল ইসলামের সঙ্গে ঘটেছে । পাঠক তাঁদের কাব্যময় শরীরকে মাথায় তুলে রাখলেও গল্প উপন্যাসকে তেমন অমল দেননি , বিষয়টি আক্ষেপের । একটু ন...

রুদ্রর কবিতা ভীষণ টানে আমায় । আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
সময়ই কবিতার জন্ম দেয় , গেঁথে দেয় কাব্য শরীরে এক একটা ইট । রুদ্র মহম্মদ শহীদুল্লাহ মূলত দ্রোহ এবং বিপ্লবের কবি । কোথায় পেলেন তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়বার এই তেজদীপ্ত  আস্ফালন । সময়ই দিয়েছে সেই অমোঘ সত্যবাণী লিখবার হিম্মত  । ২৯ আশ্বিন , ১৩৬৩ বঙ্গাব্দ , ইংরেজি ১৬ অক্টোবর ১৯৫৬ সালে রুদ্র মহম্মদ শহীদুল্লাহের জন্ম । চার বছর আগে সম্পূর্ণ হয়েছে ভাষার জন্য রক্তক্ষয়ী লড়াই । রাজপথ ভিজেছে বাংলার দামাল ছেলের বুকের রক্তে । সময় তো দ্রুত পরিবর্তন হয় না । রুদ্রের জন্ম সময় কালপর্ব বাংলাদেশের ইতিহাসে খুব একটা গৌরবময় নয় । দেশে চলছে পাকিস্থানী শাসনব্যবস্থা । ফলত রুদ্র মুহম্মদের শৈশব কেটেছে পরদেশীয়দের যাচ্ছেতাই রকম উৎপীড়নের ভিতর । জীবনের চলার প্রথম পর্বেই শাসকের ন্যায়হীনতা ও অসাম্যের পক্ষে সওয়ালের বিরুপে কিশোর রুদ্র মুহম্মদের মানস অজান্তেই মুক্তিকামি মানুষের মত ন্যায়রক্ষক হয়ে উঠছিল । সাল ১৯৬৯ উত্তাল হয়ে উঠল পুরো বাংলাদেশ , ক্ষোভে ফেটে পড়ল আস্ত বাংলাভাষী একটা ভূখন্ড । শৃঙ্খল মুক্তির লালসা শক্তিশালী রাষ্ট্রের বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে দিল প্রায় নিরস্ত্র মুক্তি অক্ষকে । রুদ্র মুহম্মদ মুক্তিসংগ...

বুদ্ধদেব বসুর চোখে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ । আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ সমীপেষু , বাঙালির সর্বকালিক অভিভাবক । তবে শুধু বাংলা ভাষী নন , সমগ্র ভারতবর্ষের গৌরব সূর্য তিনি , অহংকারের পূর্ণচন্দ্র । রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করবার দুঃসাহস বাঙালি আজ অব্দি দেখাতে পারেনি , তবে কি রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করবার আস্ফালন বাংলা সাহিত্যে ঘনীভূত হয়নি ? হয়েছে , তবে সে প্রচেষ্টা নিতান্ত কাঁচা এবং এলেবেলে সদৃশ অপরিপক্কজাত । মোহিতলাল মজুমদার , ডি .এল রায় প্রমুখ সাহিত্য মানস সমালোচকগণ রবীন্দ্র ত্রুটি সমন্বিত ইস্তাহার রচনায় প্রয়াসী হয়েছিলেন , তাঁরা রবীন্দ্রসাহিত্যকে ভাবের সাহিত্য বলেই আখ্যায়িত করেছিলেন , যদিও তাঁদের এ অভিযোগ নিঃসন্দেহভাবে অমূলক কিম্বা ঈর্ষাজনিত হতে পারে । পাঠক , কল্পনা করুন তো , ' চোখের বালির ' বিনোদনী ' নামক চরিত্রটির বিনির্মাণগত আদলের কথা । উল্লেখিত , ওই চরিত্রটির মত বাস্তবের মাটিতে হেঁটে বেড়ানো চরিত্রগত আদল শুধু বাংলা সাহিত্য কেন , বিশ্বসাহিত্যেও বিরলতম । আকাল বৈধব্য বিনোদ , কপাল দোষে পতিপ্রেম জোটেনি তাঁর , তাই মহেন্দ্রের স্ত্রীর পতিপ্রেমকে সে ঈর্ষার চোখে দেখছে । কাহিনীর এমন মনস্তাত্বিক মোচড় সমাজ জীবনের গল্পেও আমরা মুখ...