পোস্টগুলি

অনুকবিতা :বেজন্মা

ছবি
এক মুখ পোড়া মিনসের এক ফোঁটা বীর্যে আমার গর্ভে বেড়ে উঠছে একটা দলাপাকানো রক্তকণা !

অশান্ত বেদনার গীতি :আরিফুল ইসলাম সাহাজী

আগুন ছড়ানো পৃথিবীর সর্বত্র আজ হাহাকার জীবনের শান্তধারা হতে সব যেন বিছিণ্ণ বিষাদ এর করুন সুর নিঃসীম যন্তনায় কাতর জান্তব উল্লাসে জীবন নাভিশ্বাস বিজন অরণ্ণ এ অন্ধকারছন্ন রজনীতে একাকী রাত্রি যাপনের মত. মনের গভীরে লালিত ভালবাসা অস্তিত্ব এর যন্তনাই কাতর ঋদয়চিত্র শিকলে বাঁধা পাখির মত নিখিলভুবন মানবতাহত তুষের আগুনে জর্জরিত ঋদয় ক্ষত বিক্ষত অশান্ত বেদনার গীতি অস্তিত্ব এর শিকল ছিঁড়ে গেছে তাই বিষাদ এ বসে কাঁদি !

ঝড় বৃষ্টি

ঝড়ের  পরে বৃষ্টি এলে দারুণ লাগে ভালো । বিদ্যুত বাতি বিদায় নিলে , মোমের বাতি জ্বালো । তার পরেতে বইটি খুলে , লাগাও তাতে মন । একটি বারও মনের ভুলে , চালিও নাকো ফোন । মেঘের গর্জনেতে তুমি , ভয় যদি না পাও । সামনে বইয়ের পাতা খুলে , ছোলা মুড়ি খাও । নাইবা পেলে দেখতে তুমি , ঝমঝমা বৃষ্টি । বিদ্যুতেরও ঝলকানিতে , হারবে দৃষ্টি । থাকনা পড়ে ঝড়বৃষ্টি , থাকনা মোমের আলো । দেখবে তুমি দারুণ হবে , যদি আমার বাসো ভালো ।                    (জ্যোতি)

প্রিয় কবি : আরিফুল ইসলাম সাহাজী

সকলেই কবি নন ,কেউ কেউ কবি জীবনান্দ এর এ বাণী আমি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করি ;শুনেছি কত ছড়া মায়ের মুখে ,মুখস্ত করেছি কত..................... হটাত যেদিন পড়ল হাতে সুকান্তের ছাড়পত্র মলাটের ছবিটির দিকে ছিলাম এক দৃষ্টে তাকিয়ে , মৃদু হাসি মুখে ,গালে হাত ;ভাবে কি কবি ? কবিতা শেষে চমকে উঠি.................................. 'এ বিশ্ব কে শিশুর বাসউপযোগী করে যাব ' আশ্চর্য একি উচচরণ - আমার চেতনায় জাগল শিহরণ ! মনে হল যেন কান পেতেছিলাম শুনতে কবির এ বাণী ,এরপর একে একে রানার ,রবীন্দ্রনাথের প্রতি ,আঠারো বছর বয়স................................ উঠল হয়ে সুকান্ত আমার ঋদায়ের আত্বীয় , চেতনার ধ্রবতারা ;ছাড়পত্র যেন দিল তুলে অজানা কবিতা রাজ্যের ছাড়পত্র মোর হাতে ।

খুকু

খুকু চলে হেলেদুলে , আলতা রাঙ্গা পায় । এখন খুকু বায়না ধরে , নূপুর জোড়ার চায় । চোখেমুখে কাজল পরে , সঙ সেজেছে বেশ । খোকা খুকুই সাজানো মোদের , সোনার বাংলাদেশ ।

জীবন প্রভাত

কখন প্রেমের দহনে , হৃদয় পুড়ে যখন কাঠ । ঠিক এমত মুহূর্তে মনে পড়ে , জীবন প্রভাতের কথা । যখন কিনা ভোররাতে নিদ্রা ভঙ্গ করে ছুটতাম , শিউলি গাছের তলে । সাদা ফুলের ছড়াছড়ি , মন মাতিয়ে তুলত । সঙ্গে ফুল রাখবার পাত্র থাকত না । এক গণ্ডূষ ফুল কুড়িয়ে ক্ষ্যান্ত হতাম । অতঃপর একটি বালিকার আগমন ঘটত । তাঁহার হস্তে থাকত, ছোট্ট ফুলের ডালি । দীপ্ত নয়নে আমার দিকে চাইতো ; বেগে অথবা আবেগে , আমি জানিনা । এরপর আমার গণ্ডূষভরা পুষ্প সেই বালিকার ফুলের ডালিতে সমর্পণ করতাম । তাঁর বদনে বিজিলির ন্যায় হাসি ফুটে উঠত । যত সময় না ডালি খানি পূর্ণ হত , ততক্ষণ পর্যন্ত ফুল কুড়াতে থাকতাম । যখন ফুলেফুলে ডালি খানি ছাপিয়ে উঠত , তখন কন্যার কোচড়ে পুষ্পার্পন করতাম । তখন আত্মজা কোমল পদে ...

বিপ্লবের জন্ম -আরিফুল ইসলাম সাহাজী

ছবি
সপ্নময়তা নোংরা হাতের হিংস্রতাই নীরব , ভাগ্যজয়ী সৃষ্টিঊষা নিঃসঙ্গ গিরিচূড়ায় সহস্রসাধ সহস্র বাসনা অগ্নিবর্ন ; নব সূর্যোদয় ছন্দে ছন্দে ম্লান , নিশীথ গগনে বিধাতার অট্টহাসি চিরন্তন ; ভাললাগানুভূতি এক লহমায় লীন , জীবননাট্য এ বীর্যহীনতার আস্ফালন , চেনা সময়ের খরস্রোত মরীচিকা , মসজিদে কিংবা দেবালয়ে আরতির বাজনা আলো আঁধার ! তখনি ঘটে একটি বিপ্লব........................................