পোস্টগুলি

শাশুড়ি - বৌমার দ্বন্দ কি নূতন পুরাতন মতাদর্শের বৈসাদৃশ্যজনিত সংকট ॥ আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
শাশুড়ি বৌমার সম্পর্কটা ঠিক মা মেয়ের মত না ।অনেক ক্ষেত্রে একে অপরের প্রতিপক্ষ রূপে উপস্থিতি জাহির করে ।ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে ।তবে ,ইদানিং সম্পর্কটিতে মরিচা ধরছে প্রায় ঘরে ।পুরাতনের বিদায়ের মধ্য দিয়ে ঘটে নূতনের আগমন ।সংসারে এ নিয়ম কিন্তু অচল ।নূতন পুরাতন ভাবাদর্শই সংসারের মূল শক্তি ।এই দুই আদর্শের সংঘাত ঘটলে বিপদ ।অনেকে বলেন ,নারীরাই নারীদের প্রধান প্রতিবন্ধক ।সামাজিক জীবনে যতগুলো নারী নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসে ,প্রায় প্রতিটা ক্ষেত্রে এই আদর্শগত বৈসাদৃশ্য মুখ্য ভূমিকা পালন করছে । শাশুড়ি মায়ের মত ,বৌমা মেয়ের মত এই ভাবনার বিকাশ খুব প্রয়োজন ।প্রায় প্রতিদিন বৃদ্ধ বাবা মাকে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে ।কটকের মাতৃহন্তারক অধ্যাপকের কুকর্ম এখন টাটকা ।বলতে বাধা নেই এখন গৃহবধূ নির্যাতনের চেয়েও বেশি অত্যাচারিত হচ্ছেন বাবা মা রা ।তবে ,বধূ নির্যাতনের ঘটনাও অপ্রতুল নয় ।দুঃখের ও পরিতাপের বিষয় প্রতিটি ক্ষেত্রেই মুখ্য চরিত্র হিসাবে প্রায়শ: নারী মূর্তিই ভাস্বর হয়ে উঠে ।পরিবর্তিত হোক এই ট্রেডিশন ।গড়ে উঠুক আত্মার বলিষ্ঠ বন্ধন ।শাশুড়ি মা ,বৌমা মেয়ের মত লক্ষীপ্রতিমা॥ লেখক আরিফুল ইসলাম সাহাজি

বর্তমান সময়ের সংবাদ মাধ্যমগুলি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে কি ? - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
গণমাধ্যম বরাবরই মানুষের কণ্ঠরোধের বিরুদ্ধে  সোচ্চার ছিল ।তবে ,ইদানিং সোশাল মিডিয়া ব্যতীত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক সংবাদ মাধ্যমগুলি বিনোদনমূলক সংবাদ পরিবেশন করেই টি .আর.পি বাড়াতে ব্যস্ত ।মানুষের মূল্যবোধ ,দিনকে দিনের ভোগ ভোগান্তির কোন মূল্যই নেই আধুনিক সংবাদ মাধ্যমগুলির কাছে ।একের পর এক ব্যাঙ্ক জালিয়াতরা দেশকে সর্বস্বান্ত করে  বিদেশে হাওয়া হল ,সংবাদ মাধ্যম তখন  পুরো দুইমাস ব্যস্ত থাকল  শ্রীদেবীর মৃত্যু ড্রামা নিয়ে ।নিঃসন্দেহে ,প্রতিটি মৃত্যুই দুঃখজনক ।কিন্তু ,প্রশ্ন লক্ষ কোটি ভারতবাসী যখন চিন্তিত তাঁদের রক্ত ঘাম করা সঞ্চিত মূলধন নিরাপদ কিনা ! দেশের অর্থনীতি চরম বিপদসীমায় দাঁড়িয়ে ।একই সময় সংঘটিত হল সিরিয়ায় নরসংহার ।সেই সময় ,সংবাদ মাধ্যম তার মহান কর্তব্যকে গঙ্গার জলে বিসর্জন দিয়ে দুবাইয়ের বাথটবে শ্রীদেবীর মৃত্যু রহস্য খুঁজতে ব্যস্ত থাকল । <script async src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script> <!-- babun --> <ins class="adsbygoogle"      style="display:block"      data-ad-client="ca...

ইসলাম দ্য কমপ্লিট ওয়ে অফ লাইফ - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
বর্তমান বিশ্বমানবতার চরম অধঃপতিত যুগ পেক্ষাপটে সমস্ত অকল্যাণ, মানুষের জন্য অহিতকর কর্মকাণ্ড ধর্মীয় বাতাবরণে সংঘটিত হওয়ার ফলে আপাতদৃষ্টিতে ধর্মই অধর্মের উৎস এই  ভ্রান্ত ধারণা ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে ।তবে ,সাধারণ দৃষ্টির উদ্ধে উঠে গভীর গবেষণা লব্ধ মনন নিয়ে দেখলে অনুমেয় হবে ,ধর্ম চিরন্তনভাবেই মানুষকে মহৎ হবার শিক্ষা দেয় ।যা কিছু কল্যাণকর ,মানবজাতির পক্ষে হিতকর তার প্রতিই ধর্মের চিরন্তন আহ্বান ।ইসলাম এর ব্যতিক্রম নয় ।বরং মানবকল্যাণকেই ইসলামে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে ।কল্যাণের ইসলামী প্রতিশব্দ 'ফালাহ',পবিত্র কোরআণে এই ফালাহ শব্দটি ৪০ বার উল্লেখ করা হয়েছে ।অনুরূপ  'ফাউজ '(শব্দটি ফালাহের প্রতিশব্দ )শব্দটি এসেছে ২৯ বার । ইসলাম কেবলমাত্র একটি ধর্ম নয় ।নয় কতকগুলি আচরণের সমষ্টি ।ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা ।মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র ইসলামের আওতাভুক্ত ।একইসঙ্গে প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্য রয়েছে সঠিক দিকনির্দেশনা ।সাধারণ ভাষায় বললে ,ইসলাম সম্পূর্ণ জীবন পদ্ধতি ।যা নৈতিক মূল্যবোধ ব্যক্তি ও সমাজজীবনে প্রতিষ্টার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ । '' হে বিশ্বাসীগণ ,সুবিচার প্রত...

মহাগ্রন্থ আলকোরআন বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ এনসাইক্লোপিডিয়া ॥

ছবি
কোরআন চিরন্তনভাবে মানুষকে মহৎ হবার শিক্ষা দেয় ।যা কিছু কল্যাণকর ,মানবজাতির পক্ষে হিতকর তার প্রতিই কোরআনের চিরন্তন আহ্বান ।মানবকল্যাণকেই কোরআনে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে ।কোরআন সাধারণ গ্রন্থ নয় ।নয় কতকগুলি আচরণের সমষ্টি ।কোরআন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা ।মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র কোরআনের  আওতাভুক্ত ।একইসঙ্গে প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্য রয়েছে সঠিক দিকনির্দেশনা ।যা নৈতিক মূল্যবোধ ব্যক্তি ও সমাজজীবনে প্রতিষ্টার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ । মানবজাতির সমুদয় চিন্তা - চেতনা,সভ্যতা- সংস্কৃতি,নীতি - নৈতিকতা ,মূল্যবোধ - অধ:গতি ,রাজনীতি -অর্থনীতি -সমাজনীতি ,এককথায় মানবজীবনের যাপন পদ্ধতির উপর বিপ্লবাত্বক বিস্ময়কর সর্বব্যাপক ও সর্বাত্বক এক প্রভাব বিস্তার করেছে ।যা মানবজীবনের চিরন্তন পাথেয় । এখন ,অর্থাৎ এই একবিংশ শতাব্দীর চূড়ান্ত উন্নয়নের সময় ও পেক্ষাপটে পবিত্র কোরআনের  আদর্শগুলো সমাজজীবনে শান্তি ও সহবস্থানের পাথেয় হতে পারে - যদি আমরা কোরআনের আদর্শ অনুশাসন অনুসারে জীবন অতিবাহিত করতে পারি ।দুঃখের বিষয় কোরআনের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হচ্ছি আমরা দিনকে দিন ।অমুসলিম ভাইদের সম্মুখে ইসলাম ও কোরআ...

মহামতি গৌতম বুদ্ধের অহিংস নীতি পরিত্যাগ করে নৃশংস হয়ে উঠছে কেন বৌদ্ধরা ! - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
প্রাচীন ভারতের সামাজিক অবক্ষয় ,নির্মম পশুবলি ,ও মানবপীড়ন দেখে বিচলিত হয়ে উঠেছিলেন মহামতি গৌতম বুদ্ধ ।মানুষের মুক্তির জন্য প্রবর্তন করলেন নিজস্ব এক ধর্মীয় বিধান ।যা পরবর্তীতে বৌদ্ধধর্ম দর্শন নামে পরিচিতি পায় ।চারটি মূলনীতির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় অহিংসাকে ।  ঘোষিত হল -  'সব্বে সত্তা সুখীতা ভবন্ত',(অর্থ -বিশ্বের সকল প্রাণী সুখী হোক )।ক্ষুদ্রতম প্রাণীর প্রানহরণও মহাপাপ ।কেননা ,মহামতি বুদ্ধের মতে ,সকলেই মৃত্যুকে ভয় পায় ।সকলের কাছে প্রানই প্রিয় ।সুতারং ,কেউ অন্যকে আঘাত করবে না বা মৃত্যুর কারণ হবে না ।গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ,বৌদ্ধ দর্শন অনুযায়ী ,অহিংসা হল মানবাত্মার সর্বোত্তম বহিঃপ্রকাশ ।সকল জীবন্ত সত্তাকে ভালবাসার কথা ,শাশ্বতপ্রেমের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপিত হয়েছে । দুঃখের ও পরিতাপের বিষয় ,মহামতি গৌতমের অহিংস নীতি থেকে কয়েক আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে বর্তমান সময়ের বৌদ্ধরা ।মায়ানমার ,শ্রীলঙ্কা ,চীন প্রভৃতি বৌদ্ধ অধ্যুষিত দেশে নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ নিরীহ মুসলিম ।অত্যাচারের বহর কতটা নৃশংস ,ইন্টারনেটের দৌলতে রোহিঙ্গা নিধনের ভিডিও ক্লিপিন গুলি তার প্রমাণ ।একবিংশ শতাব...

চলমান সময়ের মানুষ এত হিংস্র কেন ! - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
চলমান সময়ের মানুষ এত হিংস্র  কেন ? পৃথিবীর সৃষ্টিলগ্নের আদিতে  মানুষের সঙ্গে বন্যজন্তুর বিশেষ তফাত ছিল  না । উভয়ের মাঝেই বন্যতা ও হিংস্রতার লক্ষনীয়  সাদৃশ্য ছিল ।পরবর্তীতে মানব ও জন্তুর মধ্যে  এ সেছে বৈসাদৃশ্যর     আকাশপ্রমাণ প্রাচীর । মানুষ আধুনিক হয়েছে  ক্রমশ ।জঙ্গল থেকে উঠে এসেছে উত্তর  আধুনিক নাগরিক সভ্যতার প্রতিভূ হিসাবে । শিক্ষা ,সংস্কৃতি সহ মানবজীবনের প্রতিটি  ক্ষেত্রে হয়ে উঠেছে চরম উৎকর্ষ । মানবজাতির এই সামগ্রিক উৎকর্ষতার যুগেও   মানবহৃদয় সে অর্থে উৎকর্ষ হয়ে উঠতে পারেনি । বরং তা নামতে নামতে উপনীত হয়েছে  অবনমনের  চূড়ান্ত স্থরে ।যা অনেক ক্ষেত্রে  বন্যজন্তুর হিংস্রতাকেও হার মানায় । প্রায় প্রতিদিন প্রতিমুহুর্ত ই_মাধ্যমের কল্যাণে  আমরা সাক্ষী থাকছি হাজার আফরাজুলের   নিষ্টুর হত্যার ঘটনার ।বধূনির্যাতন  ,বৃদ্ধ মা বাবাকে বাড়ি থেকে বিতরণ আজ  নিতান্ত মামুলি ঘটনা । মানবহত্যা তো অত্যন্ত সাধারণ  ব্যপার ।শিশুহত্যাও ব্যতিক্রমী...

বামপন্থার বিলুপ্তি ঘটলে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলি জোর ধাক্কা খাবে - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
Bamponthi movement বর্তমান সময় ও পেক্ষাপটে ধর্ম  ও রাজনীতি এক সারণীতে এসে উপনীত হয়েছে  ।কোন কোন ক্ষেত্রে তো ধর্মকে রাজনীতিরও  উদ্ধে রাখা হচ্ছে ।ধর্ম ও রাজনীতি পৃথক মেরুর । একটি অভ্যন্তরীণ অন্যটি সর্বজনীন ।পাশাপাশি  থাকলেই সংঘাত ।দুঃখের বিষয় ধর্ম এখন  রাজনীতির বর্ম ।তৈরি করা হচ্ছে মেরুকরণের  জটিল ব্যাকরণ ।বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে সমগ্র ভারতীয়  জনসমাজে ।পাশাপাশি সমান্তরাল ভাবে চলা  দুটো মতাদর্শগত অবস্থানের একটির   ভিত্তি  শক্ত হলে অন্যটি দুর্বল হয়ে পড়ে ।ঠিক তেমনি  ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বাড়াবাড়িতে  ধর্মনিরপেক্ষশক্তির শিকড় কিছুটা হলেও  আলগা হয়ে যাচ্ছে ।অবস্থাকে  আরও ঝুঁকিপূর্ণ  করে তুলছে বামপন্থী শক্তিগুলোর রুগ্নতা । ধর্মভিত্তিক শক্তিগুলোর দৌরাত্ম  রুখতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলোর সক্রিয়তা  দরকার ।প্রয়োজনে একছাতার তলায় আসতে  হবে ।বামপন্থা ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলোর অন্যতম  একটি প্রতিভূ ।এই সংকটময় সময়ে বামপন্থী  শক্তিগুলির পতনোন্মুখ যাত্রা ধর্মনিরপ...