পোস্টগুলি

দ্রোহের কবি রুদ্র মহম্মদ শহীদুল্লাহ শুনতে পেতেন সমকালীন বাংলাদেশের ক্রন্দন। লিখছেন প্রাবন্ধিক আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
সময়ই কবিতার জন্ম দেয় , গেঁথে দেয় কাব্য শরীরে এক একটা ইট । রুদ্র মহম্মদ শহীদুল্লাহ মূলত দ্রোহ এবং বিপ্লবের কবি । কোথায় পেলেন তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়বার এই তেজদীপ্ত  আস্ফালন । সময়ই দিয়েছে সেই অমোঘ সত্যবাণী লিখবার হিম্মত  । ২৯ আশ্বিন , ১৩৬৩ বঙ্গাব্দ , ইংরেজি ১৬ অক্টোবর ১৯৫৬ সালে রুদ্র মহম্মদ শহীদুল্লাহের জন্ম । চার বছর আগে সম্পূর্ণ হয়েছে ভাষার জন্য রক্তক্ষয়ী লড়াই । রাজপথ ভিজেছে বাংলার দামাল ছেলের বুকের রক্তে । সময় তো দ্রুত পরিবর্তন হয় না । রুদ্রের জন্ম সময় কালপর্ব বাংলাদেশের ইতিহাসে খুব একটা গৌরবময় নয় । দেশে চলছে পাকিস্থানী শাসনব্যবস্থা । ফলত রুদ্র মুহম্মদের শৈশব কেটেছে পরদেশীয়দের যাচ্ছেতাই রকম উৎপীড়নের ভিতর । জীবনের চলার প্রথম পর্বেই শাসকের ন্যায়হীনতা ও অসাম্যের পক্ষে সওয়ালের বিরুপে কিশোর রুদ্র মুহম্মদের মানস অজান্তেই মুক্তিকামি মানুষের মত ন্যায়রক্ষক হয়ে উঠছিল । সাল ১৯৬৯ উত্তাল হয়ে উঠল পুরো বাংলাদেশ , ক্ষোভে ফেটে পড়ল আস্ত বাংলাভাষী একটা ভূখন্ড । শৃঙ্খল মুক্তির লালসা শক্তিশালী রাষ্ট্রের বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে দিল প্রায় নিরস্ত্র মুক্তি অক্ষকে । রুদ্র মুহম্মদ মুক্তিসংগ্রামের অ...

: আধুনিকতা , উত্তর আধুনিকতা কি শ্লীলতা ও অশ্লীলতার পরিআবহবোধ মুক্ত করছে গণসমাজকে ? এই বিষয়ে লিখছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি ॥

ছবি
শ্লীলতাকে অতিক্রম করলে আগেকার দিনে ভীষণই নিন্দিত করা হত সেই বিশেষ ব্যক্তি কিম্বা ব্যক্তি সমষ্টিকে , সমাজ চ্যুত বা একঘরে করার মত নিদান জারি করতেন সমাজপতিগণ । শ্লীল অশ্লীল বিষয়ে মারাত্মক রকম সতর্কতা সেই সময়পর্বে লক্ষ্য করা যেত । কেমন পোশাক পড়তে হবে , দেহের কতটুকু অংশ মানুষের দৃশ্যগোচর হবে , এই সমস্ত বিষয়েও একটা অলিখিত নিয়ম সেই সময়কালে ছিল । বিষয়টা ধর্মভেদে তখনকার দিনে আলাদা ছিল না । ইসলাম ধর্মের একেবারেই শুরুতেই শ্লীলতার একটা বিশেষ পরিআবহ বা দিকনির্দেশ ছিল । পোশাক দেহের অতিগোপনীয় অংশসমূহের গোপনীয়তা রক্ষা করবে , এমন পোশাক পড়বার বিধান ইসলাম ধর্মে বরাবরই কিন্তু ছিল । সারা দেহ আবৃত্ত করা রাখবার মতো যে পোশাকটি সাধারণত মুসলিম উম্মাহর অতি প্রিয় সেটি হল হিজাব । তবে হিন্দু কিম্বা অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষদের মাঝেও শ্লীলতাকেই মান্যতা দেওয়া হত , এককথায় বললে ভালো চোখে দেখা হত । সোজাসুজি বললে , শুধু চারিত্রিক দোষ , অর্থাৎ সমাজ বিরুদ্ধ যে আচরণ সমূহ রয়েছে , যেমন পরকীয়ার উন্মত্ততা কিম্বা যৌনতার সমাজগত দিকনিদেশর্নার বহিরঙ্গের প্রকাশ শুধু নয় , অপেক্ষাকৃত ছোট পোশাক পরিধ...

নেতাজী এবং নজরুল দুই মনীষীর সান্নিধ্য পেয়েছিলেন শিবরাম । অভিজ্ঞতাও ছিল দুই রকমের। শিবরাম চক্রবর্তীর জীবন নিয়ে আলোকপাত করেছেন প্রাবন্ধিক আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
শিবরাম চক্রবর্তী বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি এক স্রষ্টা । প্রসিদ্ধ তাঁর  কৌতুক বোধ ,  শিবরামের জীবনটাই যেন বিরাট এক  গল্পের প্লট । তাঁর জন্ম মালদহের চাঁচল রাজ পরিবারে । জন্মের পর অল্প কিছুদিন কলকাতাতে থাকলেও , পরে চাঁচল রাজবাড়িতে সপরিবারে চলে আসেন শিবরামরা । এস্টেটের চিকিৎসকও সপরিবারে থাকতেন রাজবাড়িতে  , রিনি সেই ডাক্তারবাবুর মেয়ে । তাঁর সাথে প্রগাঢ় বন্ধুত্বে মাতেন শিবরাম । পরে অবশ্য রিনিরা কলকাতাতে চলে আসেন । কিছুদিন পর কিশোর শিবরাম এন্ট্রান্স পরীক্ষাই পাশ করেন  । সে সময়টা তো অগ্নিগর্ব , ইংরেজরা মজবুত শিকড়ে দাঁড়ানো । স্বদেশী আন্দোলন , স্বশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে ঝুঁকছে তরুণ প্রজন্ম । বিষয়টা শিবরামের ক্ষেত্রেও একই । দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ তখন সর্বভারতীয় স্বদেশী আন্দোলনের গ্রহনযোগ্য মুখ । ওই সময় মালদহে আসেন দেশবন্ধু , সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী বাসন্তী দেবী । উদ্দেশ্য ছিল অসহযোগ আন্দোলনের প্রচার ।  উদীপ্ত হলেন শিবরাম , যোগ দিলেন ভলান্টিয়ার হিসাবে । পরদিনই দেশের কাজ করবেন বলে দেশবন্ধুর  সাথে ফিরতি ট্রেনে চেপে বসেন শিবরাম ।  যদিও লেখক স...

' শিবজ্ঞানে জীব সেবা ' এই উপলব্ধিতেই নরেন্দ্রনাথ হয়ে উঠেছিলেন বিবেকানন্দ । এই বিষয়ে লিখেছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
ভারতভূমিতে  যুগে যুগে আবির্ভূত  হয়েছেন  সহস্র পবিত্র আত্মা , এই মহামানবগণের আবির্ভাবক্ষণ   আমাদের  প্রাচীন ঐতিহ্যময়ী সভ্যতাকে বারংবার দিয়েছে  গৌরবময় অমৃত আস্বাদ । ' ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে ' এই আপ্তবাক্যের অনুগত হয়েই তাঁরা দেশ ও জাতির সেবায় উৎসর্গ করেছেন স্বজীবনের সবটুকু অংশ  । প্রবন্ধটিতে এক মহাজীবনকে নিয়ে সমান্যতম আলোকপাত করবার  প্রচেষ্টা হৃদয়ের গভীর থেকেই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অনুভূত হয় এই কলমকারের , যিনি  আর্ত গণমানুষের জীবনের অমাবস্যাক্ষণে পূর্ণিমার চাঁদের মত আলোকময় করে রাঙিয়ে  দিয়ে গেছেন স্ববিবেকময় প্রভায় ।পাঠকের বোধহয় বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় , আমরা সিদ্ধপুরুষ স্বামীবিবেকানন্দের মহাজীবনের অমৃতকুম্ভের আস্বাদ নেওয়ার কথা বলছি । মানবতাকে মানবসভ্যতার মূল শিকড়ে শক্তভাবে প্রোথিত করবার লক্ষ্যই স্বামীজির জীবনপ্রবাহের প্রতিটা অমূল্যক্ষণ ব্যয়িত হয়েছে । আসলে তাঁর ধর্ম - দর্শন -আধ্যাত্মচিন্তার পরিমিত আবহের সবটুকু অংশ জুড়েই ছিল মানুষের কল্যাণময় জীবনের কার্পেট বিছানোর প্রক্রিয়া । স্বগুরু রামকৃষ্ণ পরমহংস...

ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জ্ঞানতাপস ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। এই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
বহু ভাষার বিদগ্ধ  পন্ডিত , ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জ্ঞানতাপস মনীষী ড.মহম্মদ শহীদুল্লাহ । ভাবের সমুদ্রে নোঙর ফেলবার পূর্বে , একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিই , আর পাঁচটা লেখার গতানুগতিক ভাবপ্রবাহের ছকে আঁকতে চাইছি না শ্রদ্ধীয় ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ সাহেবের প্রতিকৃতি । বিষয়ের গিঁট খোলা প্রয়োজন , পাঠকের সঙ্গে লেখকের দূরত্ব তৈরি হলে মুশকিল । গর্বে অন্তর পূর্ণ হয় তাঁর নাম উচ্চারণেই , তাঁর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক আকাশ আবেগ , শ্রদ্ধা আর ভাললাগা । বিষয়টি এখনও বোধহয় স্পষ্টত ব্যাখ্যপূর্ণ হল না , কেননা মনীষী ড.মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ সাহেব তাঁর পূর্ণ জীবনদশায় যে ভাবে বাঙলা ভাষা এবং অধম এ জাতির সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন , তাতে আপামর বাঙালির হৃদয়ের মনিকোঠায় জ্বলজ্বলে নক্ষত্রটি হয়েই তো থাকবেন , সেটায় কাম্য এবং স্বাভাবিকও তো বটে ।  বিষয়টি আমার ক্ষেত্রে পৃথক এবং আলাদা বৈচিত্রপূর্ণ হলো কী করে ? কেনই বা এমন ছকভাঙা ঢংয়ে শুরু করলাম লেখাটা , এ প্রশ্ন পাঠকের অন্তরে উদিত হতেই পারে । প্রহেলিকার চাদরে কণ্ঠস্বরকে আর অস্পষ্ট করা বোধহয় উচিৎ নয় , আসলে যাঁর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে আবেগ , শ্রদ্ধা এবং ...

শিক্ষকই পারেন সমস্ত অন্ধকার দূর করতে । এই বিষয়ে লিখেছেন প্রাবন্ধিক আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
শিক্ষকতা পৃথিবীর সবচেয়ে মহৎতম পেশা । সকল পেশার উৎস । দেশ ও জাতির মেরুদন্ড সোজা রাখার কাজটিই করেন একজন শিক্ষক । দৃষ্টান্ত সহযোগে বিষয়টি উপস্থাপন করা দরকার , সেবার মহান দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেন একজন মহান চিকিৎসক । ঈশ্বরের দ্বিতীয় রুপ তাঁদের অনেকেই (সকলেই নয় , জল্লাদ রুপেও অনেককেই পাবেন )।এখন ঠিক এই মুহুর্ত , আপনাদের কাছে যদি একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিই , বলুন তো একজন চিকিৎসক সমাজিক জীবনে ,  গণ মানুষের জীবনে , তাঁদের চলার পথের প্রতিদিনকার যে গল্প , সেই গল্পগুলোকে মুখরিত করে তুলতে কে বেশি অবদান রাখেন ! শিক্ষক না চিকিৎসক ? প্রায় সকলেই সমস্বরেই অবশ্যই বলবেন , একজন চিকিৎসক হাজার হাজার মানুষকে যমের সাথে প্রতিদ্বন্দীতা করে বাঁচিয়ে আনলেও , একজন শিক্ষকের মহান ঋষিপ্রতীম ব্যক্তিত্বের সামনে তিনি দাঁড়াতেই পারবেন না । আসুন বিষয়টিকে আরও একটু ঋজুভাবে পরিবেশন করি , ধরুন , একজন চিকিৎসক সারা জীবনে ৩০,০০০ হাজার মানুষকে একেবারেই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছেন , অন্যদিকে একজন শিক্ষক তাঁর পুরো কর্মময় জীবনে ওমনই পাঁচজন চিকিৎসককে গড়ে দিয়েছেন । এবার বলুন পাঠক , একজন শিক্ষক কতজন মানুষকে জীবন দান করলেন ...

সাহিত্য উপলব্ধি : আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ :বাংলা সাহিত্যের প্রায় দেড়শতাধিক কবিকে আবিষ্কারের কৃতিত্ব একা তাঁর । এক দিকপাল বাঙালিকে নিয়ে লিখেছেন প্রাবন্ধিক আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ লিখেছিলেন - ' বাতাসের মধ্যে বাস করে যেমন আমরা ভুলে যাই যে বায়ু সাগরে আমরা ডুবে আছি , তেমনি পাড়াগাঁয়ে থেকে আমাদের মনেই হয় না যে এখানে কত বড়ো সাহিত্য ও সাহিত্যের উপকরণ ছড়িয়ে রয়েছে । ' দুঃখের বিষয় ,বাংলার  মাঠ ঘাট  জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা  অজস্র সাহিত্য আকরের একটা বিরাট অংশের ভাগ্যে জোটেনি পাঠক সমাদর  । অনাদরে  অন্ধকারেই থেকে গেছে সেই সকল বিলুপ্তপ্রায় কাব্য , কবিগণ এবং তাঁদের কাব্যিক প্রবাহ সমূহ ।  পরবর্তীতে কৌতূহলী গবেষকের অনুসন্ধানীমূলক গবেষণার ফলেই যুগের পর যুগ অবহেলিত  সেই সকল কাব্যের নব মুদ্রণ ভাগ্য জুটেছে  । যেকোন আবিষ্কারের পিছনে  গবেষকের নিষ্ঠা এবং অমানুষিক পরিশ্রম থাকে । বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন ' চর্যাপদ'  এবং পরবর্তীকালে ' শ্রীকৃষ্ণকীর্তন ' কাব্য নিবিড় গবেষণার  ফলেই পাঠক সমাজে  উন্মুক্ত হয়েছে । তাছাড়াও , মধ্যযুগীয় নানাবিধ মূল্যবান সাহিত্য আকর আবিষ্কারের পিছনে গবেষকগণের এক সামুদ্রিক সদিচ্ছাই  অবাক হতে হয় ।  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে লালন ফকিরের সরাসরি সাক...