পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আজকাল ঘুম আসে না আমার - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
ঘোড়ামাড়ির মাঠ ,দুর দূরান্তে একটিও লোক নেই ধুনুচি জ্বালিয়েছি একটা , অনন্ত আকাশে একফালি চাঁদ উঠেছে বেশ , বাঁশঝাড়ে রাতচড়া পাখিরা ডাকছে এখন , আজ আর ঘুম আসবে না ! আজকাল আর ঘুম আসে না , বৃদ্ধ বাবা মার মত ছটফট করি একটু ঘুমাবার জন্য , চোখের পাপড়ি দুটি জোড়া লাগলেই আঁতকে উঠি ,সহস্র হাত আমায় জড়িয়ে ধরে , ঘুম ভেঙে যায় আমার ..... অসুস্থ আমি , উন্মাদ -বদ্ধপাগল হিজিবিজি দাগ কাটি ,  নিজের মাথাটা বাড়িয়ে দিই , হাত বুলিয়ে দেয় ওরা ..... তোমার ওই লুটন্ত কালো চুলের কয়েকগাছি ধার দেবে আমায় সুড়সুড়ি দিতাম ওদের গায় !

নিরুনি দিয়ে উপরে ফেলতে চাও - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
দুঃশাসনের মত বস্ত্রহরণ করতে চাও ? নিরুনি দিয়ে উপরে ফেলতে চাও পুরানো দিনগুলো ? তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে চকচকে রাজপথে এসে দাঁড়িয়েছি , এখানে গাছ নেই একটিও ন্যাড়া রোদ এসে পড়ছে পায়ের কাছে শূন্যতার পর শূন্যতার অনুবৃত্তি একটু পড়ে সূর্য ঢলে পড়বে পশ্চিমে কৃত্তিম আলোয় চিক চিক করবে স্তব্দ আঁধার জোনাকি নেই ,নেই মিটিমিটি আলোর বুদবুদ । নগরায়ন ! শ্বাস নিতে কষ্ট হয় ফিরিয়ে দাও রঙ্গিন দিনগুলো ! জাহাজের কাপ্তেন ।

রুদ্র বোসের তিনটি কবিতা

ছবি
বাতিঘর / রুদ্র বোস মনে করো কোকিলডাকা ভোরে কলিংবেলের আওয়াজে বিরক্তমুখে দরজা খুলে দেখলে আমি দাঁড়িয়ে আছি-- সেই একমাথা এলোমেলো চুল আর চোখে ফিচলেমি হাসি নিয়ে সটান তাকিয়ে আছি তোমার মুখের দিকে দেখছি অসন্তোষ আর বিস্ময়ের ঠাসবুনন কথা টপকে আছে আধখোলা ঠোঁটের ফাঁকে সারাশরীর জুড়ে ঘুম-আবেশ ক্যানভাসে আঁকা রাগ দ্বিধা সন্দেহ বিতৃষ্ণা অভিমান রঙের এলোমেলো বিমূঢ় লুকোচুরি আর আর- সেই ডুবেসুখ কাজলপরা থইথই দুটো চোখ হঠাৎ হাত বাড়িয়ে যদি বলি-এখন সময় হয়েছে চলো বয়ে যাই বাকী জীবন, যেমন কথা ছিলো নিশ্চিত বলতে পারি-কোনো কথা বলবে না তুমি, কেবল দাঁত দিয়ে ঠোঁটের কোণ কামড়ে পায়ের নখে টানবে হিজিবজি আঁচড় টেবোটেবো গালদুটো লাল হয়ে উঠবে আরও ঘন নি:শ্বাসে নাকের পাটা ফুলে ফুলে উঠবে একটা হতভম্ব মুক্তোদানা বুকের গহীনে ঝাঁপ দেওয়ার আগে থমকে দাঁড়াবে একটু এবং এভাবেই কেটে যাবে কিছু বেহিসেবী অনুপল তারপর একটু সরে দরজা ছেড়ে চুলে এলোখোঁপা বাঁধতে বাঁধতে বলে উঠবে- সোফায় এসে বোসো,   চা করে আনি দু'কাপ, চিনিছাড়া লিকার তখনই বুঝে যাবো তোমার বুকের বন্দর ছেড়ে এজীবনে দ্বীপান্তরে যাওয়া হোলো না আমার জানি আসলে ...

প্রাণের ঠাকুর রবীন্দ্রনাথ - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
তোমার ছবিটির দিকে তাকিয়ে আছি বিমর্ষ নয়নে ! তোমাকে রাখার মত জায়গা কোথায় ? ভগ্নস্তূপে তোমাকে দেখে বিচলিত হয়নি তাই । হৃদয়ে তোমার ছবি আজও উজ্জ্বল , ভগ্নস্তূপে তোমার উপস্থিতি কোন প্রভাব ফেলেনি আজ । শুভ্র পবিত্র বসন , কলমে ক্ষুরধার মনীষী রবীন্দ্রনাথ , তোমাকে ধরে রাখবার মত জায়গা কই আজ ! আমার হৃদয়ে রাখলাম ধরে প্রেমের ঠাকুর রবীন্দ্রনাথ ।

সেই শিশুটি আসবে কি ! - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
ইষ্ৎ ঘোলাটে সময় , এখন বোধহয় বন্ধু , বিবর্তিত হতে হতে শুভকর সবকিছু আজ ,                            অতীতচারি নিঃশব্দের                        তর্জনীতে সময়ের জলছবি । গোধূলির নেতিয়ে পড়া আলোয়  আজ পৃথিবী দেখি । হারিয়ে গেছে অন্তদৃষ্টি ,শুকিয়ে যাচ্ছে  সত্যান্বেষী কলমের সহস্র লিখিত বর্ণালী ,                     বাধা পড়ছে স্বপ্নাচরণ ,রচিত হচ্ছে                       উন্মাদের পাঠক্রম । আমরা সবাই নির্বেদ বৈরাগা নিয়েছি ,                          নূব্জ অস্থিমাংসহীন উলঙ্গরাজার সভাসদ হয়ে বেশ বেঁচে বর্তে আছি ! সেই শিশুটি আসবে কি ?
ছবি
অভিযান কাজী নজরুল ইসলাম নতুন পথের যাত্রা-পথিক   চালাও অভিযান !   উচ্চ কণ্ঠে উচ্চার আজ -   “মানুষ মহীয়ান !”   চারদিকে আজ ভীরুর মেলা ,   খেলবি কে আর নতুন খেলা ?   জোয়ার জলে ভাসিয়ে ভেলা   বাইবি কি উজান ?   পাতাল ফেড়ে চলবি মাতাল   স্বর্গে দিবি টান্ ।।   সরল সাজের নাইরে সময়   বেরিয়ে তোরা আয় ,   আজ বিপদের পরশ নেব   নাঙ্গা আদুল গায় ।   আসবে রণ-সজ্জা করে ,   সেই আশায়ই রইলি সবে !   রাত পোহাবে প্রভাত হবে   গাইবে পাখি গান ।   আয় বেরিয়, সেই প্রভাতে   ধরবি যারা তান ।।   আঁধার ঘোরে আত্নঘাতী   যাত্র-পথিক সব   এ উহারে হানছে আঘাত   করছে কলরব !   অভিযানে বীর সেনাদল !   জ্বালাও মশাল, চল্ আগে চল্ ।   কুচকাওয়াজের বাজাও মাদল ,   গাও প্রভাতের গান !   ঊষার দ্বারে পৌছে গাবি   ‘জয় নব উত্থান !’   কাব্যগ্রন্থ: সিন্ধু-হিন্দোল

বুলেটের গায়ে লেখা তোমার নাম - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
নিদ্রাহীন রাত , আসুক মাথায়  হাজার প্লট , স্বপ্নকুহক সূচিমূখ  হয়ে ব্যগ্রতা দেখাক , কবি থাক অচল অসড় ! আগামী প্রজন্ম গিয়ে দাঁড়াক  ডাস্টবিনে ! কবি আজ চরমপরীক্ষা তোমার ! বুলেটের গায়ে তোমার নাম লেখা । ছিন্নমস্তা সময় পা বাড়ালেই বিপদ , ঠিক করে নাও তোমার পথ , বুলেট নাকি ..................! কাব্যবিস্তার  ।
ছবি
অভিশাপ - কাজী নজরুল ইসলাম যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে, অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে - বুঝবে সেদিন বুঝবে! ছবি আমার বুকে বেঁধে পাগল হয়ে কেঁদে কেঁদে ফিরবে মরু কানন গিরি, সাগর আকাশ বাতাস চিরি' যেদিন আমায় খুঁজবে - বুঝবে সেদিন বুঝবে! স্বপন ভেঙে নিশুত্ রাতে জাগবে হঠাৎ চমকে, কাহার যেন চেনা-ছোওয়ায় উঠবে ও-বুক ছমকে, - জাগবে হঠাৎ চমকে! ভাববে বুঝি আমিই এসে ব'সনু বুকের কোলটি ঘেঁষে, ধরতে গিয়ে দেখবে যখন শূন্য শয্যা! মিথ্যা স্বপন! বেদনাতে চোখ বুজবে - বুঝবে সেদিন বুঝবে! গাইতে ব'সে কন্ঠ ছিড়ে আসবে যখন কান্না, ব'লবে সবাই - 'সেই যে পথিক, তার শেখানো গান না?' আসবে ভেঙে কান্না! প'ড়বে মনে আমার সোহাগ, কন্ঠে তোমার কাঁদবে বেহাগ! প'ড়বে মনে অনেক ফাঁকি অশ্রু-হারা কঠিন আঁখি ঘন ঘন মুছবে - বুঝবে সেদিন বুঝবে! আবার যেদিন শিউলি ফুটে ভ'রবে তোমার অঙ্গন, তুলতে সে-ফুল গাঁথতে মালা কাঁপবে তোমার কঙ্কণ - কাঁদবে কুটীর-অঙ্গন! শিউলি ঢাকা মোর সমাধি প'ড়বে মনে, উঠবে কাঁদি'! বুকের মালা ক'রবে জ্বালা চোখের জলে সেদিন বাল...

শিক্ষক দিবসের মহতী মহেন্দ্রক্ষণে কিছু আলোচনা - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
একটু দেরি করে হলেও আজ শিক্ষক দিবসের মহতী মহেন্দ্রক্ষণে কিছু লিখবার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি । অনন্ত অনাদিকাল সেই একলব্য পর্ব হতেই শিষ্যের কাছে একজন আদর্শ গুরু ঈশ্বরের পাথিব প্রতিমূর্তি ।ম্যাৎস্যনায়ের যুগেও একজন গুরু শিষ্যের পীড়িত হৃদয়ে জ্বালাতে পারেন জাগরণ মন্ত্র ।কালক্রমে সেটায় হয়ে ওঠে শিষ্যের জীবনের শ্রেষ্ঠ কথামৃত । তবে ইষ্ৎ ঘোলাটে সময় এখন বন্ধু ।বিবর্তিত হতে হতে শুভকর সবকিছু আজ অতীতচারি নিঃশব্দের তর্জনীতে সময়ের জলছবি ।গোধূলির নেতিয়ে পড়া আলোতে আজ আমরা পৃথিবী দেখি ।                 ''  হায়েনার লালচোখ আজ বড় উজ্জ্বল                    কোটর হতে ঝরে আগুন ।'' হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের অন্তর্দৃষ্টি ,মূখ বধির এর মত নির্বাক হয়ে যাচ্ছি ক্রমশ , লয় হচ্ছে সাহসী কলমের শত সহস্র লিখিত বর্ণালী । যাইহোক , অন্ধকার যতই ঘনীভূত হোক না কেন , যতই শতাব্দীর শবদেহ বহন করার অপচেষ্টা করুক না কেন , একজন আদর্শ গুরু ধংসের কিনারে বসেও দেখাতে পারেন সুদিনের সুপ্রভাত । তাই আজ করি আহ্বান :          ...

চল পালিয়ে যায় - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

চল পালিয়ে যায় দুর বহুদুর সেথায় শুধু তুই আর আমি । তরু-বৃক্ষ-তরঙ্গ সাক্ষী রেখে গন্ধবমতে তোকে বিয়ে করব সেই আদিমকালের মত । দুস্মন্তের মত তোকে ছেড়ে যাব না , দুর্বাশা হাজার অভিশাপ দিলেও ! তোর আংটি হারিয়ে গেলেও.... একটা ঘর তুলব দুচালা , খড় না পাওয়া গেলে কোন গাছের তলায় ভালবাসার ঝাউনি দিয়ে .... ঝড় তুফানের মাঝেও তোকে বুকে আলিঙ্গন করে রাখব ,ছেড়ে দেব না ।

'পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন 'কবিতায় প্রথাগত প্রচলিত ইতিহাসের যথার্থতা বিষয়ক প্রশ্ন - আলোচক আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
শঙ্খ ঘোষ অনূদিত জার্মান সাহিত্য সাধক বেটোর্ল্ট ব্রেখট' পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন 'নামক অনূদিত কবিতায় প্রথাগত ইতিহাসের বিরুদ্ধে বেশ জোরালো একগুচ্ছ প্রশ্ন পাঠক দরবারে উন্মোচিত করেছেন ।আধুনিক গবেষকদের মতে প্রচলিত ইতিহাস যেখানে রাজা বাদশা সেনাপতিদের কৃতি সোনার অক্ষরে লিপিবদ্ধ হয়েছে ,আসলে তা যথার্থ নয় ।ইতিহাস গবেষক তপনমহান চট্র্রপাধ্যায় তাঁর 'পলাশীর যুদ্ধ ' নামক প্রামাণ্য গ্রন্থে এ বিষয়ে উল্লেখ করেছেন -'সম্প্রতি একটা রব উঠেছে আমাদের সমস্ত ইতিহাস রচনা নাকি এ পর্যন্ত ভুল পদ্ধতিতে হয়ে এসেছে ।.......ইতিহাস বলতে স্বভাবত আমাদের রাজা বাদশার যুদ্ধ বিগ্রহের বিপ্লব ষড়যন্ত্রের কথাই জাগে , ......কিন্তু ইতিহাস তো নিতান্ত একপেশে ব্যাপার ।মানুষের বিরাট জীবন প্রবাহের সঙ্গে এর সম্বন্ধ কতটুকু ?''(দেজ পাবলিশিং 2014 )।কবি সমগ্র কবিতায় এ বিষয়টিই দার্শনিক সুলভ দৃষ্টিভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছেন । আগের স্তবকেই বলা হয়েছে ইতিহাস মানে রাজা বাদশার নানান একক কৃতি , সে হতে পারে চীনের প্রাচীর বানাতে চৌ বংশের শিহুয়াংতির কৃতি কিম্বা গ্রিসের সাত দরজাওয়ালা  থিবস নির্মণের কাহিনী অথবা গ্রীক...