পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ব্যতিক্রমী শিল্পমানস শ্রী শম্ভু মিত্র । আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
শ্রী শম্ভু মিত্র  বাংলা নাট্য সাহিত্যের ইতিহাসে এক ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব নট এবং নাট্যকার শম্ভু মিত্র । গণনাট্য সংঘের প্রাণ পুরুষ শম্ভু মিত্র নাট্য ধারায় এক অনন্য ধারার সংযোজন করতে সচেষ্ট ছিলেন । ' ভালো করে , ভালো নাটক করবো ' এই ভাবনা দ্বারা শুধু প্রভাবিত তিনি হননি , সারা জীবন এই বোধ দ্বারাই তিনি স্বজীবনকে পরিচালিত করেন । কোনরুপ রাজনীতিক ছত্রছায়া ব্যতিরেকেই , কোন ধনীপুরুষের সহয়তা কিম্বা কোন সংঘটনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকেই তিনি ' বহুরুপী ' নাট্যদল গঠন করেন । বহুরুপীর প্রতিষ্ঠা বাংলা নাট্যের ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা । রবীন্দ্রনাথের ' রক্তকরবী ', ' চার অধ্যায়'   ' , রাজা , ' , তুলসী লাহিড়ির ' পথিক ' , ছেঁড়াতার ' , ইবসেনের ' এ্যান এনিমি অফ দ্য পিপল ' এর রুপান্তর ' দশচক্র ' ,'  আ ডলস হাউজ ' এর অনুবাদ ' পুতুল খেলা ' , নাটকের প্রযোজনা ও অভিনয় নিঃসন্দেহে এক উল্লেখযোগ্য বিষয় । শ্রী মিত্র শুধুমাত্র ভালো নাটক অভিনয়ই করেননি , সুস্থনাট্য ধারার নিমিত্তে দর্শকও প্রস্তত করতে সক্ষম হয়েছিলেন । চল্লিশের দশকে গ...

প্রিয় কথাকার সৈয়দ মুজতবা আলি । আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
সৈয়দ মুজতবা আলি বাংলা সাহিত্যের একজন প্রথিতযশা কথা সাহিত্যিক । বহুভাষাবিদ পন্ডিত মুজতবা আলির কলমের কালিতে অবাঞ্ছিত ভারতীয় চরিত্রগণ অনুপম আলেখ্য রুপে চিত্রিত হয়েছেন । এই মহান কথাকারের জন্ম সাল ১৯০৪ এ , দিনটি ছিল ১৩ সেপ্টম্বর , স্থান বর্তমান আসামের করিমগঞ্জ জেলা । পিতৃদেব সৈয়দ সিকান্দার আলি , জননীর নাম আনতুন মানানন খাতুন । মুজতবা অসম্ভব মেধাবী ছিলেন তাঁর ছাত্রজীবনে , বিশ্বভারতী থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করার পর , জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক ধর্মশাস্ত্রের উপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন কৃতিত্বের সঙ্গে ।  কর্মসূত্রে দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন মুজতবা । এই সুযোগ তাঁকে সমৃদ্ধ করেছে । সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থান এবং চরিত্রের সংস্পর্শ মুজতবাকে দিয়েছিল এক অনন্য অভিজ্ঞান , এই অভিজ্ঞানই তিনি প্রয়োগ করেছিলেন সাহিত্য সৃস্টি পূর্ণকাজে । একই সঙ্গে দেশ এবং বিদেশের একাধিক ভাষা চর্চা করবার এক মহাঝোঁক ছিল মুজতবা আলি । অন্ততঃ ১৫ টি ভাষা জানতেন তিনি । বাংলা , সংস্কৃত , ইংরেজি , ফরাসী , জার্মান , ইতালি , হিন্দি , গুজরাটি সহ অনন্য ভাষার পন্ডিত হ...

গ্রাম বাংলার রুপকার পল্লীকবি জসিমউদ্দিন । আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
গ্রাম বাংলার অনন্য কথাকার কবি জসিমউদ্দিন । কবি জীবনানন্দ দাশের মতই গ্রামজীবন , প্রকৃতির সবুজাভ রুপ প্রাণ পেয়েছে কবির কলমে । মরমী কবির জন্মসাল ১৯০৪ , দিনটি ছিল প্রথম জানুয়ারি । জন্মস্থান বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার অম্বিকাপুর গ্রামে । পিতৃদেব ছিলেন পেশায় শিক্ষক মৌলভী আনসারউদ্দিন । জসিমউদ্দিন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা সাহিত্যবিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন সন্মানের সঙ্গে । কথিত আছে , তাঁর বিখ্যাত '  কবর' কবিতাটি ছাত্রাবস্থায় শ্রেণীভুক্ত হয় এবং তা থেকে যে প্রশ্ন এসেছিল পরীক্ষায় , স্বয়ং কবিকে তার উত্তর লিখতে হয়েছিল খাতায় । ' কবর ' কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছিল সাল ১৯২৬ এ , কল্লোল পত্রিকার তৃতীয় বর্ষের তৃতীয় সংখ্যায় । পরবর্তীতে কবিতাটি '  রাখালী ' কাব্যভুক্ত হয় । কবি জসিমউদ্দিন মূলত পল্লীজীবনের কথাকার ছিলেন । অজ পাড়া গাঁ'র বিচিত্র রুপ তিনি অসাধারণ রুপে তুলে ধরতে সক্ষম ছিলেন । হয়তো গ্রাম বাংলার গভীরে তাঁর শিকড় গ্রথিত হওয়ায় তিনি অর্জন করেছিলেন এই মহা অভিজ্ঞান ।  কবির সমধিক বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ হল'  নকশী কাঁথার মাঠ ' । বাংলা সাহিত্যে...

রাজশেখর বসু ওরফে পরশুরাম । আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
রাজশেখর বসু ওরফে পরশুরাম  বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার অনন্য কাজ সাফল্যের সাথে যে কয়েকজন বিজ্ঞান সাধক করেছেন তাঁদের মধ্যে জগদীশ চন্দ্র বসুর নাম সর্বাগ্রে উল্লেখ্য , এছাড়াও অনন্যদের মধ্যে ছিলেন মেঘনদ সাহা , রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী , সত্যেন্দ্রনাথ বসু , সুর্য্যেন্দুবিকাশ করমহাপাত্র , এবং রাজশেখর বসু প্রমুখ । এই ক্ষুদ্র নিবন্ধে আমরা রাজশেখর বসু তথা পরশুরাম সম্পর্কে জানতে উদ্দোগী হবো । ছাত্রজীবনে রাজশেখর ছিলেন অসম্ভব মেধাবী । কোন জিনিস একবার পরলে সেটি চিরন্তনভাবেই তাঁর হৃদয়ে গ্রথিত হয়ে থাকতো । এই মহান বিজ্ঞান সাধক শুধুমাত্র বিজ্ঞান চর্চায় নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি , বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার পথ ও পন্থার রসায়ন সম্পর্কে বাঙালি পাঠকের রসবোধকে তিনি উজ্জ্বীবিত করে তুলতে সক্ষম হন । শুধুমাত্র বিজ্ঞান চর্চার গুরু গাম্ভীর্য যুক্ত লেখনীর কচকচানি নয় , রাজশেখর বসু তাঁর রসবোধের জন্যও বাঙালির পাঠকের কাছে চিরন্তন ও শাশ্বতভাবেই আদরনীয় হয়ে থাকবেন । এ পর্বে তিনি পরশুরাম নামে সমধিক খ্যাতি লাভ করেন ।  রাজশেখর বসুর জন্ম ১৬ মার্চ , সাল ১৮৮০ ।জন্মস্থান নদীয়া জেলার উলা বীর নগর । পিতার ন...

শিক্ষাঙ্গনে সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখবার জন্য গুরু শিষ্যের পারস্পরিক মেলবন্ধন প্রয়োজন । আলোচনা করছেন প্রাবন্ধিক আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
সার্বিক অর্থে পৃথিবী পুরুষের চলার পথে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে , বিষয়টি অস্বীকার করবার উপায় নেই । মানব জীবনের প্রায় প্রতিটি পর্বই বর্তমান কাল প্রবাহে এসে ' ঘেঁটে ঘ ' সদৃশ আকার নিয়েছে । সত্য কথা শক্তভাবে বললে লিখতে হবে , একটা মানবিক অবক্ষয়ের মধ্য দিয়ে মুখরিত হয় এখনকার জীবনের গল্পগুলো । ফলে প্রতিটা সম্পর্কও দাঁড়িয়ে যাচ্ছে ইগো , হিংসা প্রতিহিংসার গোত্রে । সন্তান বাবা মাকে শীতের সন্ধ্যায় একাকী নির্জন রেল স্টেশনে যেমন ফেলে যাচ্ছে , তেমনি অকৃতজ্ঞ বাবা মাও সদ্যোজাত বাচ্চাকে আঁস্তাকুড়ে ফেলতেও কম্পিত হচ্ছেন না । এসবই হয়তো কালের কারসাজি । আমরা অভিযোজিত হচ্ছি মাত্র , যুগের ঘূর্ণি ঘুরিয়ে অমানবিক সভ্যতার প্রতিভূ করে তুলছে আমাদের । মূলত শিক্ষকতার পেশার যুক্ত আছি । সেই অভিজ্ঞান থেকেই গুরু শিষ্যের সম্পর্কের সেকাল একালগত পরিআবহিক পরিমণ্ডলের মানদন্ডের ওঠা নামা নিয়ে একটু আলোচনা রাখছি । পাঠক আপনারা  নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন , আর পাঁচটি সম্পর্কের মতই গুরু শিষ্যের সম্পর্কের আনুপাতিক ভাগহার কিছুটা হলেও নিন্মমুখী হচ্ছে । আমাদের বিদ্যালয় সময়কার শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ...

রাজ্য প্রশাসনের সবরকম চাকরির ক্ষেত্রে বাঙালির অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করা দরকার। এ বিষয়ে গভীরতর আলোকপাত করেছেন প্রাবন্ধিক আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
ব্যাংকের যে বিশেষ শাখাই  আমার অ্যাকাউন্ট রয়েছে , সেখানে একজন অবাঙালি ভদ্রলোক চাকরি করেন।  সম্ভবত বিহারী ।  মানুষটিকে অস্থির  প্রকৃতির দেখি প্রায় ।  যে সমস্ত গ্রাহকরা আসেন , তাঁদের  সঙ্গে অনেক সময় তাঁকে  খারাপ ব্যবহার করতে দেখেছি , উচ্চস্বরে চিৎকার করতেও  দেখি প্রায়শঃ । ওই শাখাটি যে পরিআবহিক পরিমণ্ডলগত অঞ্চলে অবস্থিত,  উক্ত অঞ্চলের মানুষজনের মধ্যে প্রান্তিক সম্প্রদায়ের  মানুষজনের সংখ্যায় বেশি।  শিক্ষার  হার ও তেমন সন্তোষজনক নয় । বিহারী ভদ্রলোক মূলত তার মাতৃভাষা হিন্দিতে কথা বলেন।  সমস্যার বীজ  এইখানেই রোপিত ।  ব্যাংকে আসা অর্থ - শিক্ষায় হীনবল গণ মানুষ সাধারণত হিন্দিতে তেমন সাবলীল নয় ।  হিন্দি  বুঝতে না পারার কারণে ওই ভদ্রলোককে বারবার জিজ্ঞাসা করায় তিনি বিরক্ত হন এবং খারাপ ব্যবহার করে বসেন ।  বিষয়টি অসন্তোষের সৃষ্টি করছে সাধারণ  মানুষের মধ্যে । একবার এমন হয়েছে অতিষ্ঠ হয়ে  সাধারণ গণ মানুষ সেই ভদ্রলোককে গণধোলাই দিতে উদ্দোগী হন ।  এমন সমস্যার মুখোমুখি হয়তো আমরা প্রায় রোজ হচ...

হুজুর তুষ্টি ও নজরানা সংস্কৃতি বাইরে বেরিয়ে শিক্ষার আলোয় প্রজ্বলিত হোক ইসলামি গণসমাজ ।এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন প্রাবন্ধিক আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
ছোটবেলা থেকে একটা ভুল কথা শুনতে শুনতে বড় হয়েছি । কথাটি এইরকম , বিদ্যা বড় , না বুদ্ধি বড় ? সমাজের সাধারণত যেসকল মানুষ একটু কম শিক্ষিত কিম্বা এক্কেবারেই '  ব অক্ষর গোমাংস ' তাঁরা জোর দিয়েই বলতেন , কেন বিদ্যা বড় হবে ! বড় বুদ্ধি । তখন বিষয়টা না বুঝতে পারলেও এখন বুঝি । কথাটি যে ভীষণরকম মিথ্যা , সে বিষয়ের আলোচনায় পরে আসছি । আসলে সকলেই অতৃপ্তির যন্ত্রণা ভুলতে একটা অজুহাত খোঁজে  । সেই মানুষটি অল্পশিক্ষিত হওয়ার কারণেই কিন্তু ওই কথাটির সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করছে , আর কোন উপায়ও থাকছে না তাঁর কাছে । বিষয়টি মনস্তাত্বিক । কথাটি মিথ্যা এক মিথ কথন , সেই বিষয়ে বলি - বিদ্যা এবং বুদ্ধি একে অপরের পরিপূরক । একটির অভাব , অপরটিকে প্রভাবিত করবেই । পাঠক প্রশ্ন করতে পারেন , তাহলে অশিক্ষিত গণমানবের বুদ্ধির জাগরণ কী ঘটবে না ? অবশ্যই ঘটবে । তবে যথার্থ মানব সম্পদ রুপে যাঁদেরকে আমরা সাধারণত চিহ্নিত করি , সেই পরিআবহিক মাপদন্ডে অল্পশিক্ষিত কিম্বা অশিক্ষিত গণমানুষগণ নিজেদেরকে উন্নীত করতে ব্যর্থ হন । যথার্থ মানব সম্পদের সংখ্যাধিক্যর উপরই নির্ভর করে একটি জাতি দেশ রাষ্ট্র কিম্বা ধর্মের উন্নয়নের পরিমিত আ...

রুদ্র মহম্মদ শহীদুল্লাহের কবিতা আমাকে ভীষণ টানে । আলোচনা করছেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
সময়ই কবিতার জন্ম দেয় , গেঁথে দেয় কাব্য শরীরে এক একটা ইট । রুদ্র মহম্মদ শহীদুল্লাহ মূলত দ্রোহ এবং বিপ্লবের কবি । কোথায় পেলেন তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়বার এই তেজদীপ্ত  আস্ফালন । সময়ই দিয়েছে সেই অমোঘ সত্যবাণী লিখবার হিম্মত  । ২৯ আশ্বিন , ১৩৬৩ বঙ্গাব্দ , ইংরেজি ১৬ অক্টোবর ১৯৫৬ সালে রুদ্র মহম্মদ শহীদুল্লাহের জন্ম । চার বছর আগে সম্পূর্ণ হয়েছে ভাষার জন্য রক্তক্ষয়ী লড়াই । রাজপথ ভিজেছে বাংলার দামাল ছেলের বুকের রক্তে । সময় তো দ্রুত পরিবর্তন হয় না । রুদ্রের জন্ম সময় কালপর্ব বাংলাদেশের ইতিহাসে খুব একটা গৌরবময় নয় । দেশে চলছে পাকিস্থানী শাসনব্যবস্থা । ফলত রুদ্র মুহম্মদের শৈশব কেটেছে পরদেশীয়দের যাচ্ছেতাই রকম উৎপীড়নের ভিতর । জীবনের চলার প্রথম পর্বেই শাসকের ন্যায়হীনতা ও অসাম্যের পক্ষে সওয়ালের বিরুপে কিশোর রুদ্র মুহম্মদের মানস অজান্তেই মুক্তিকামি মানুষের মত ন্যায়রক্ষক হয়ে উঠছিল । সাল ১৯৬৯ উত্তাল হয়ে উঠল পুরো বাংলাদেশ , ক্ষোভে ফেটে পড়ল আস্ত বাংলাভাষী একটা ভূখন্ড । শৃঙ্খল মুক্তির লালসা শক্তিশালী রাষ্ট্রের বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে দিল প্রায় নিরস্ত্র মুক্তি অক্ষকে । রুদ্র মুহম্মদ মুক্তিসংগ্রামের অংশ হ...

অবলা নয় , নারীগণ এখন সর্বক্ষেত্রেই পুরুষের সমকক্ষ হয়ে উঠছেন ।এ বিষয়ে লিখছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
মানব কুল সাধারণত নারী ও পুরুষ , এই গোত্র বিভাগে খণ্ডিত । তৃতীয় লিঙ্গের মানবের উপস্থিতিও রয়েছে । তবে , সমাজিক এবং মানসিক অনগ্রসরতার ফলস্বরুপই , তাঁরা মূল সমাজ থেকে বিচ্ছন্ন । লিঙ্গভেদে বিভক্তগত এই দুই শ্রেণীর গণ মানবের মধ্যে যেমন আদল গত বিপরীত গঠন লক্ষ্যগোচর হয় , তেমনই স্বভাবগত ভিন্নতাও কিন্তু ঠিক বিপরীত মেরুর হয়ে থাকে । প্রসঙ্গক্রমে বলে নেওয়া দরকার , আরও এক ধরনের মানবকুল রয়েছে , যাঁরা পুরুষ দেহ ধারণ করলেও নারী মননের অধিকারী হয়েই জন্ম নেন , তেমনি অনেক গণ মানুষ আছেন যাঁরা নারী দেহ ধারণ করা সত্ত্বেও পুরুষের স্বভাবজাত আচরণ করেন । এঁদেরকেই সাধারণত রুপান্তরকামি বলে চিহ্নায়ন করা হয় । পৃথিবী পুরুষ তাঁর কেন্দ্রিক শক্তির আধার সূর্য্যের চারিদিকে ঘুরছে বিরামহীন ভাবে । গণ মানবের জীবনও এই ঘূর্ণনের মত চলমান । পথ চলা একার পক্ষে বড্ড বিরক্তিকর । সেজন্যই গণ মানবগণ সমাজ গোষ্টি রাষ্ট্র প্রভৃতি সমাজিক ও রাজনীতিক  প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা রাখতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করেন । এই প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র সমাজিক প্রতিষ্ঠান হল পরিবার । বিষয়টির উপস্থাপন ঋজুতার জন্য পরি...