পোস্টগুলি

বিদ্যাসাগরের জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে লেখা কাব্যগ্রন্থ সাগর বহ্নি । আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
ঈশ্বরচন্দ্রের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ  সম্প্রতি বিশিষ্ট অধ্যাপক নজরুল গবেষক ড. শেখ কামালউদ্দিন সম্পাদিত একটি যৌথ কাব্যগ্রন্থ হাতে এসেছে । কাব্যগ্রন্থটির ' সাগর বহ্নি ' । দুইশত জন কবি একক ভাবনার নানা আঙ্গিক পরিধিগত বিস্তৃতি সমন্বিত দুইশত কবিতার এক বৃহৎ কাব্যসংকলন এই '  সাগর বহ্নি ' । একক ভাবনা বলতে , কাব্যগ্রন্থের মূল আধার হলেন মনীষী বিদ্যাসাগর মহাশয় । অতি সম্প্রতি উদযাপিত হল বাঙালির শ্রেষ্ঠতম শিক্ষাগুরু বিদ্যাসাগর মহাশয়ের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী । গ্রন্থখানির প্রকাশক বারাসাত নজরুল চর্চাকেন্দ্র । বাঙালির পরম আদরণীয় মহৎপ্রাণ বিদ্যাসাগরের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ এবং বাঙালির জীবনে তাঁর অনবদ্য কল্যাণময় অবদানকে আরও একটু স্মরণীয় করে রাখবার জন্য এই গ্রন্থখানির মোড়ক উন্মোচনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন চর্চাকেন্দ্রের বিশিষ্ট জনেরা । সম্পাদক ড . শেখ কামালউদ্দিন গ্রন্থটির প্রকাশের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে লিখেছেন ,  ' বিদ্যাসাগর নাকি করুণাসাগর ' কিভাবে তাঁকে চিহ্নিত করলে যথার্থ ভাবে তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা সম্ভব - তাতে সম্পাদক অপ্রস্তুত । তাহলে তিনি কী ? তাহলে কেন তাঁকে এখনো মনে রাখবো কিংবা...

কবি নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবসে বারাসাত নজরুল চর্চা কেন্দ্রের শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন ।

ছবি
  ১৯৭৬ সালের এই দিনে মহাপ্রয়াণ ঘটে প্রাণের কবি নজরুলের । তিনি আমাদের জাতি সত্ত্বার অহঙ্কার । পরাধীন ভারতবর্ষে যখন কবি নামের অকবিগণ বিকিয়ে দিলেন মেরুদণ্ডের পাঁজর , সেই অবক্ষয়ের সময়ে বিপ্লবী কবি নজরুল রুখে দাঁড়ালেন পরাক্রমশালী প্রতিপক্ষের সম্মুখে । সকলে তখন রায়বাহাদূর , নাইট বগলদাবা করতে ব্যস্ত । অথচ কোঁকড়ানো চুলের এই মহান মানুষটি  নিপীড়িত জাতির ঘুম ভাঙানোর ব্রত নিলেন । নজরুল তাঁর কবিতার মাঝে শোনালেন সম্প্রীতির মহাসঙ্গীত । ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভারতবাসি দিলেন কান্ডারী হুঁশিয়ার বার্তা ।  বাঙালি জাতিকে ইতিহাস ভুলো জাতি বলেন অনেকেই । শুনতে মুচমুচে হলেও সত্য নয় একেবারেই । মৃত্যুর এতগুলো বছর বাদেও নজরুল চর্চার যেন শেষ নেই । বারাসাত নজরুল চর্চা তেমনই একটি স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান । তাঁদের ধ্যান জ্ঞান কর্ম সাধনা সবই নজরুলময় । যদিও তাঁদের কর্মকান্ডের বহুমুখী সত্ত্বার বার্তা বহন করে । তবুও , নজরুলের প্রতি তাঁদের একটু হলেও পক্ষপাত রয়েছে । নজরুলকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দেওয়ার নিমিত্তেই সংঘটিত তাঁদের কর্মকান্ডের সব আকর ।  নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে এদিন বারাসাত নজরুল চর্চা কেন্দ্রের উদ্দোগে...

আমডাঙার আবালসিদ্ধিতে রক্তদান ও কৃতি ছাত্র-ছাত্রী দের সংবর্ধনা

ছবি
আমডাঙার আবালসিদ্ধির হিসাবী গ্রামের ইয়াং এন্ড ইয়ুথ সংস্থার উদ্যোগে এবং আমডাঙ্গা আদর্শ টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহযোগিতায় গত বাইশে আগস্ট অনুষ্ঠিত হলো স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির । সমস্ত সরকারি বিধি মেনে এই রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন আমডাঙ্গার বিধায়ক রফিকুর রহমান । শিবিরে মোট পঞ্চাশ জন রক্ত দান করেন ।একই সঙ্গে এস. এ. এস সংস্থা আমডাঙার সতেরোটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, হাই মাদ্রাসা, আলিম,ফাজিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষার সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপক চল্লিশ জনকে পেন,পুস্তক, সার্টিফিকেট, পুষ্পস্তবক ও মিষ্টান্ন দিয়ে সংবর্ধিত করে। উচ্চ মাধ‍্যমিকে সপ্তম স্থান প্রাপক সায়মা সুলতানাকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয় ।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়েস্টবেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ টিচার্স ট্রেনিং এডুকেশন প্ল্যানিং এন্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধ্যাপক পার্থ চ্যাটার্জি, সীরাতের রাজ্য সম্পাদক আবু সিদ্দিক খান, নজরুল চর্চা কেন্দ্রের সম্পাদক শাহজাহান মন্ডল, এস. এ. এস. এর সম্পাদিকা জাহানারা খাতুন, আমডাঙ্গা আদর্শ টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শেখ জহির উদ্দীন আবুসালেহ মোঃ কাশেম, নূপুর মন্ডল,আব্দুর রাজ্জাক তুহিনা খ...

প্রসঙ্গ অনুরুপা দেবীর দেবদাসী গল্প : শিরোনাম : ১ . ' দেবদাসি ' প্রথার অন্ধদিক প্রসঙ্গ । আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
  ' দেবদাসী'  প্রথা এক প্রাচীন অসামাজিক এবং অবশ্যই অমানবিক  নিষ্টুর প্রথা । দেখনদারি উদ্দেশ্য দেবতার সন্তোষ্টির জন্য নৃত্যগীত পরিবেশন করবার নিমিত্তে এই কুপ্রথার উদ্ভব । মনোনীত নারীদেরকে এক প্রকার মন্দির বাসে বাধ্য করা হত । দেবতার নামে উৎসর্গিত নারীদের জীবন , আর পাঁচজন  রমণীর থেকে স্বতন্ত্র । তাঁদেরকে বালিকা বয়সেই , অত্যন্ত সুচতুর ভাবে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করা রাখবার মধ্য দিয়ে বাকহীন অসহায় সম্প্রদায়ে পরিণত করে রাখত , এই কুপ্রথার নেপথ্যের কুশীলবগণ । অসহায় নারীগণকে সমাজ সংসার থেকে বিচ্ছন্ন করে রাখবার নেপথ্যে একাধিক হেতু বিদ্যমান । আসলে , এই সকল প্রথার উদ্ভব ও রক্ষাকর্তাগণ , প্রথা ভঙ্গের আশঙ্কায় সর্বদায় আতঙ্কিত থাকেন  । কেননা , দুর্বল নিপীড়িত মানুষের উপর পীড়ন করবার আলাদা এক পৈচাশিক  আনন্দ আছে বোধহয়  । সভ্য অসভ্য যেকোন সমাজে , এই ধরনের প্রথা কলঙ্ক স্বরুপ ।  সমাজ থেকে এইসকল নারীগণকে বিচ্ছিন্ন করবার হেতু , মূলত তাঁদেরকে একক সত্ত্বায় পরিণত করা । সকল কুপ্রথার নেপথ্যের মাথা কুশীলবরা ভালো মত জানে ,  একক মানুষের চিৎকার , গণভাবনায় তেমন পরিণত হয় না । দ্বিতী...

বাংলা পড়াচ্ছেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক আমন্ত্রিত কলেজ শিক্ষক আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি

গল্পকার জীবনানন্দ দাশ ও জামরুলতলা গল্প বিশ্লেষন । আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
জীবনানন্দ দাশ মূলত রবীন্দ্রউত্তর কাব্যধারার শ্রেষ্ঠতম সরস্বত প্রতিভূ । তবে , এটিই তাঁর একমাত্র পরিচয় নয় । প্রধানত তিনি কবি , তাঁর খ্যাতির মূলদণ্ড কবিতাই  , বিষয়টি  অস্বীকার করা যায় না  । জীবদ্দশায় ১৪ টি উপন্যাস এবং ১০৮ টি ছোটগল্প তিনি রচনা করেন । দুঃখের বিষয় , এই বিপুল সৃষ্টিসম্ভার জীবিত থাকাকালীন সময় প্রিয় শ্রদ্ধেয় জীবনানন্দ দাশ সমীপেষু লোকচক্ষুর সম্মুখগোচর করেননি ।  তাঁর সাহিত্যসৃষ্টির পথকে রুদ্ধ করতে বিরুদ্ধ এক একাধিক সাহিত্য গোষ্টির নিরন্তর সমালোচনা তাঁকে ব্যথিত করে তুলেছিল । স্বজীবনের সব অধ্যায়েই এক প্রকার ব্যর্থতা তাঁকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছিল , অসফলতা তাঁর জীবনের মূল গল্প হয়ে উঠেছিল ।  এই ব্যর্থতার রেশ আরও একটু শ্লেষে পরিণত হোক এমন হয়তো চাননি প্রচারবিমুখ এই মহান সাহিত্য সাধক ।  গল্পকার জীবনানন্দ দাশের সাথে সাহিত্য ঘরানার সিরিয়াস পাঠক ব্যতিত তেমন অনেকেরই বিশেষ পরিচয় নেই , বললে অন্যায় বলা হবে না । যেমনটি কবিবর শ্রদ্ধেয়  নজরুল ইসলামের সঙ্গে ঘটেছে । পাঠক তাঁদের কাব্যময় শরীরকে মাথায় তুলে রাখলেও গল্প উপন্যাসকে তেমন অমল দেননি , বিষয়টি আক্ষেপের । একটু ন...

রুদ্রর কবিতা ভীষণ টানে আমায় । আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
সময়ই কবিতার জন্ম দেয় , গেঁথে দেয় কাব্য শরীরে এক একটা ইট । রুদ্র মহম্মদ শহীদুল্লাহ মূলত দ্রোহ এবং বিপ্লবের কবি । কোথায় পেলেন তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়বার এই তেজদীপ্ত  আস্ফালন । সময়ই দিয়েছে সেই অমোঘ সত্যবাণী লিখবার হিম্মত  । ২৯ আশ্বিন , ১৩৬৩ বঙ্গাব্দ , ইংরেজি ১৬ অক্টোবর ১৯৫৬ সালে রুদ্র মহম্মদ শহীদুল্লাহের জন্ম । চার বছর আগে সম্পূর্ণ হয়েছে ভাষার জন্য রক্তক্ষয়ী লড়াই । রাজপথ ভিজেছে বাংলার দামাল ছেলের বুকের রক্তে । সময় তো দ্রুত পরিবর্তন হয় না । রুদ্রের জন্ম সময় কালপর্ব বাংলাদেশের ইতিহাসে খুব একটা গৌরবময় নয় । দেশে চলছে পাকিস্থানী শাসনব্যবস্থা । ফলত রুদ্র মুহম্মদের শৈশব কেটেছে পরদেশীয়দের যাচ্ছেতাই রকম উৎপীড়নের ভিতর । জীবনের চলার প্রথম পর্বেই শাসকের ন্যায়হীনতা ও অসাম্যের পক্ষে সওয়ালের বিরুপে কিশোর রুদ্র মুহম্মদের মানস অজান্তেই মুক্তিকামি মানুষের মত ন্যায়রক্ষক হয়ে উঠছিল । সাল ১৯৬৯ উত্তাল হয়ে উঠল পুরো বাংলাদেশ , ক্ষোভে ফেটে পড়ল আস্ত বাংলাভাষী একটা ভূখন্ড । শৃঙ্খল মুক্তির লালসা শক্তিশালী রাষ্ট্রের বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে দিল প্রায় নিরস্ত্র মুক্তি অক্ষকে । রুদ্র মুহম্মদ মুক্তিসংগ...

বুদ্ধদেব বসুর চোখে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ । আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ সমীপেষু , বাঙালির সর্বকালিক অভিভাবক । তবে শুধু বাংলা ভাষী নন , সমগ্র ভারতবর্ষের গৌরব সূর্য তিনি , অহংকারের পূর্ণচন্দ্র । রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করবার দুঃসাহস বাঙালি আজ অব্দি দেখাতে পারেনি , তবে কি রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করবার আস্ফালন বাংলা সাহিত্যে ঘনীভূত হয়নি ? হয়েছে , তবে সে প্রচেষ্টা নিতান্ত কাঁচা এবং এলেবেলে সদৃশ অপরিপক্কজাত । মোহিতলাল মজুমদার , ডি .এল রায় প্রমুখ সাহিত্য মানস সমালোচকগণ রবীন্দ্র ত্রুটি সমন্বিত ইস্তাহার রচনায় প্রয়াসী হয়েছিলেন , তাঁরা রবীন্দ্রসাহিত্যকে ভাবের সাহিত্য বলেই আখ্যায়িত করেছিলেন , যদিও তাঁদের এ অভিযোগ নিঃসন্দেহভাবে অমূলক কিম্বা ঈর্ষাজনিত হতে পারে । পাঠক , কল্পনা করুন তো , ' চোখের বালির ' বিনোদনী ' নামক চরিত্রটির বিনির্মাণগত আদলের কথা । উল্লেখিত , ওই চরিত্রটির মত বাস্তবের মাটিতে হেঁটে বেড়ানো চরিত্রগত আদল শুধু বাংলা সাহিত্য কেন , বিশ্বসাহিত্যেও বিরলতম । আকাল বৈধব্য বিনোদ , কপাল দোষে পতিপ্রেম জোটেনি তাঁর , তাই মহেন্দ্রের স্ত্রীর পতিপ্রেমকে সে ঈর্ষার চোখে দেখছে । কাহিনীর এমন মনস্তাত্বিক মোচড় সমাজ জীবনের গল্পেও আমরা মুখ...

প্রাণের কবি নজরুল আজও প্রাসঙ্গিক । আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
' পরোয়া করি না , বাঁচি বা না বাঁচি যুগের হুজুগ কেটে গেলে / মাথার উপর জ্বলিছেন রবি , রয়েছে সোনার শত ছেলে ! / প্রাথনা করো - যারা কেড়ে খায় তেত্রিশ কোটি মানুষের মুখের গ্রাস / যেন লেখা হয় , আমার রক্ত - লেখায় তাদের সর্বনাশ । '  চরণবদ্ধ কাব্যপদটি কার লেখা ? না বললেও পাঠক সমীপেষুগণের খুব একটা অসুবিধা হবে বলে মনে করি না । চরণসমূহের অন্তদেশ থেকে যে মুখোশ উন্মোচনের বিদ্রোহ প্রকট হয়ে পড়ছে , তা একমাত্র কাজী নজরুল ইসলাম মহোদয়ের কাব্যশরীরী গঠনের কথায় হৃদয়জাত হয় । পাঠক , প্রথম চরণটি নিশ্চয় আপনাদের নজর এড়ায়নি , কবি লিখছেন , ' পরোয়া করি না , বাঁচি বা না বাঁচি যুগের হুজুগ কেটে গেলে' , কবিবর নিজেই উপলব্ধি করতে পারছেন , ভাব -ই প্রজন্মের কাছে হয়তো তিনি তেমন একটা আদরনীয় হবেন না । এর নেপথ্যে হয়তো তিনি ভেবেছেন , তিনি মূলত তাঁর সমকালকেই কাব্য শরীরে লেপ্টে দিয়েছেন , অন্য অনেকেই যখন সন্ধ্যাতারা পেড়ে গুঁজে দিচ্ছেন প্রেমিকার খোঁপায় , সেই কালপর্বে তিনি লিখছেন , ' কারার ওই লৌহকপাট , ভেঙে ফেল কররে লোপাট । ' তাঁর চিন্তা অমূলক না হলেও , কাজী সাহেবের কাব্য কিন্তু যুগউর্ত্তীণ ...

সমাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হল নহাটা কলেজে ।

ছবি
নোঙর নিউজডেক্স :  আজ বনগাঁর নহাটা যোগেন্দ্র নাথ মন্ডল স্মৃতি মহাবিদ‍্যালয়ের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদযাপিত হয় কলেজ প্রাঙ্গণে। মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডক্টর অর্ণব ঘোষ মহাপ্রাণ যোগেন্দ্রনাথ মন্ডলের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ।তিনি তাঁর বক্তৃতায় এই সংকটকালীন সময়ে মহাবিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে আরো বেশি করে অনলাইন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে আহ্বান জানান। যোগেন্দ্রনাথ মন্ডলের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগীয় প্রধান ড. শেখ কামাল উদ্দীন কলেজ প্রতিষ্ঠা লগ্নে যাঁরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান । প্রসঙ্গত নহাটা হাই স্কুলের  শিক্ষক- শিক্ষাকর্মীদের অবদানের কথাও তিনি উল্লেখ করেন‌। এই মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে যে সমস্ত শিক্ষক , শিক্ষাকর্মী পরলোকগমন করেছেন তাঁদের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় । এছাড়াও যোগেন্দ্রনাথ মন্ডলের মূর্তিতে মাল্যদান করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য পেশ করেন শিক্ষক সমিতির সম্পাদক বিশ্বজিৎ মন্ডল,  ড.ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান কর...

নারীগণ এখন সর্বক্ষেত্রেই পুরুষের সমকক্ষ । লিখেছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
মানব কুল সাধারণত নারী ও পুরুষ , এই গোত্র বিভাগে খণ্ডিত । তৃতীয় লিঙ্গের মানবের উপস্থিতিও রয়েছে । তবে , সমাজিক এবং মানসিক অনগ্রসরতার ফলস্বরুপই , তাঁরা মূল সমাজ থেকে বিচ্ছন্ন । লিঙ্গভেদে বিভক্তগত এই দুই শ্রেণীর গণ মানবের মধ্যে যেমন আদল গত বিপরীত গঠন লক্ষ্যগোচর হয় , তেমনই স্বভাবগত ভিন্নতাও কিন্তু ঠিক বিপরীত মেরুর হয়ে থাকে । প্রসঙ্গক্রমে বলে নেওয়া দরকার , আরও এক ধরনের মানবকুল রয়েছে , যাঁরা পুরুষ দেহ ধারণ করলেও নারী মননের অধিকারী হয়েই জন্ম নেন , তেমনি অনেক গণ মানুষ আছেন যাঁরা নারী দেহ ধারণ করা সত্ত্বেও পুরুষের স্বভাবজাত আচরণ করেন । এঁদেরকেই সাধারণত রুপান্তরকামি বলে চিহ্নায়ন করা হয় ।  পৃথিবী পুরুষ তাঁর কেন্দ্রিক শক্তির আধার সূর্য্যের চারিদিকে ঘুরছে বিরামহীন ভাবে । গণ মানবের জীবনও এই ঘূর্ণনের মত চলমান । পথ চলা একার পক্ষে বড্ড বিরক্তিকর । সেজন্যই গণ মানবগণ সমাজ গোষ্টি রাষ্ট্র প্রভৃতি সমাজিক ও রাজনীতিক  প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা রাখতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করেন । এই প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র সমাজিক প্রতিষ্ঠান হল পরিবার । বিষয়টির উপস্থাপন ঋজুতার জন্য পরিবা...

একটা সুইসাইডিয়াল ডায়ারি । অনিরুদ্ধ আলি আকতার

ছবি
বিন্দু বিন্দু নোনা জল আর গন্ধক মাখানো জমাট বাঁধা ধোঁয়ায় নেমকহারামের দেউড়িটা যখন বেশ চেনা লাগ তখনই বুঝি শরীরটা কঙ্কালের সাথে সহবাসের ইচ্ছে প্রকাশ করছে। মাথার পিচগলা রাস্তায় কারফিউ জারি করে স্বপ্নরা যখন  পতাকা তোলো,তখনই বুঝি নীলাভ বিছানায় তোমার সাথে চিল্কা ভ্রমণে যেতে আমার আপত্তি নেই। যে আমি একহাট লোকের মাঝে মনজুয়েলার্সের গহনা খুলে নগ্ন হয়েছিলাম, দু'কলি দেশের গান গেয়ে বলেছিলাম--প্রত্যেক  দেশদ্রোহীর বুকে পাথর  চাপানো উচিৎ এখনই।  সেই আমি তরতাজা চোখে আর প্রজাপতি দেখি না। দেখি--কবরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ঝড়ে ভাঙা গাছ। দেখি--পোকাধরা নিমপাতাকে শুয়ে থাকতে রাস্তার ধারে। তবুও যখন চোখে পড়ে দুলন্ত মাধবিলতার ঝাক বা ভেসে থাকা সবুজ শ‍্যাওলা  তখন মনে হয়, পটাশিয়াম নয় প‍্যারাসিটামলই দরকার আমার।

জীবন জেগে আর্তনাদ করে যে স্টেশনে , আমি তার নাম দিয়েছি পৃথিবী । আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
এমনটি ছিল না পৃথিবী ।  পিতামহ মাতামহদের কাছে শোনা পৃথিবী যেন অন্যকোন পৃথিবী । মমত্ববোধ , মানবিকতার এক অনন্য ফাল্গুধারায় সিক্ত ছিল সত্তর আশি নব্বইয়ের দশকগুলো । বাবাদের কাটানো শৈশব যৌবনের দিনগুলোও তেমন মন্দ ছিল না । শোনামতে এত্তব্যাপক নোংরা রাজনীতিক পরিআবহ থেকে বেশ কিছুটা মুক্ত ছিল সেই সব দিনগুলো । রাজনীতিক কদর্যতা যে ছিল না , সেটা বললে কিছুটা ভুল বলা হবে বইকি ! তবে কিছু পঙ্কিলতা থাকলেও জনজীবন এত্তটা কলুষিত ছিল না । আমাদের শৈশবের দিনগুলোতেও মানুষের  এতটা কদর্য নগ্নরুপ দেখেনি । গণমানুষের প্রতি ভালোবাসা , মমতা তখনও কিছুটা অক্ষুন্ন ছিল । হঠাৎ করেই , অন্ততঃ গত সাত আট বছরে মানবিকতার দৃষ্টিকোন থেকে পৃথিবীতে এক ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্যগোচর হতে দেখছি । বেশ কয়েকটা সম্প্রদায়গত গণহত্যা এই কয় বছরের ভিতর আমরা সংঘটিত হতে দেখলাম । হিটলারের ইহুদি নিধনের পর সবচেয়ে বড়ো সম্প্রদায়গত গণহত্যা রোহিঙ্গা জনগোষ্টির উপর নির্যাতন , এই বিষয়টি কেউই অস্বীকার করতে পারবেন না । একেবারেই নির্বিঘ্নে কোন প্রতিরোধ ছাড়াই  শান্তিতে নোবেল পাওয়া সুচির সরকার এই হিংস্র কর্মকান্ডকে রুপ দিতে পারল । চীন...