পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শাশুড়ি বৌমার লড়াই , বাঙালি ঘরের এক স্বাভাবিক বিষয় হয়ে উঠছে ।এই বিষয়ে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
সমাজ বহিরঙ্গে পুরুষতান্ত্রিক , তবে অন্তঃপুরে পুরুষের শাসন থাকে না বললেই চলে । সাংসারিক রোজনামাচার প্রায় সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন নারীগণ । এককথায় বললে , বহির্জাগতিক বিষয়ে পুরুষগণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলেও , সংসারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নারীগণের সিদ্ধান্তই মুখ্য হিসাবে পরিগণিত হয় । পুরুষের জীবনে মূলত নারীগণ চার রকম সম্পর্কে আবির্ভূত হন । মা - স্ত্রী -কন্যা ও বোন নারীর মূলত এই চারটি রুপ হলেও , সংসার পরিচালনার ক্ষেত্রটি মূলত থাকে মা ও স্ত্রীর হাতে । জাগতিক নিয়মেই যেখানে কতৃত্ব , সেখানেই সংগোপনে লুকিয়ে থাকে দ্বন্দ । এটাও এক ধরনের ক্ষমতার লড়াই , যা ক্ষতবিক্ষত করে সংসার নামক সম্রাজ্যকে । শাশুড়ি বৌমার এই যে দ্বন্দগত পরম্পরা হঠাৎ করেই এক সংকটময় পরিআবহের সৃষ্টি করেছে , এমনটি ভাবলে ভুল হবে । দ্বন্দগত এই পরম্পরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাঙালি মহিলা মহল বহন করছেন , এটি একপ্রকার ঐতিহ্য বটে ।  শাশুড়ি বৌমার এই দ্বন্দময় পরিবেশন তৈরি মূল কারণটি অবশ্যই মনস্তাত্বিক । এক অহেতুক আশঙ্কা এবং ঈর্ষা রয়েছে এর মূলকথনে । সংসারের চাবি থাকবে কার আঁচলে ? এই দ্বন্দের মূল প্রশ্নই এটি । বিষয়টিকে ব্যাখ্যাপূ...

কাশ্মীর ও জহরলাল নেহেরু , একটি সমান্তরাল আলোচনা । লিখছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
গাজা ভূখন্ড প্যালেস্টাইন এবং ইজরায়েলের দ্বন্দ ফ্যাসাদের কেন্দ্রিক অংশ , তেমনি কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ভারত পাকিস্তান , দুই রাষ্ট্রের সম্পর্ক সৃষ্টিলগ্নপর্ব থেকে আজ পর্যন্ত আগ্নেয়গিরি আকার ধারণ করে রয়েছে । সুপ্ত অবস্থায় থাকলে বেশ চলে সম্পর্কের সমীকরণ , তবে জাগ্রত হলেই উত্তপ্ত বিদ্বেষের লাভা দুই ভূখন্ডের সম্পদ এবং মানুষকে খাতের কিনারে দাঁড় করায় । বলতে গেলে সব দ্বন্দ ফ্যাসাদের মূল ঝাড় কাশ্মীরই , দেশবিভাগের সময় কাশ্মীর সমস্যার সুষ্ট সমাধান সম্ভব হলে মনে হয় প্রতিবেশী হিসাবে দুই দেশের সম্পর্ক এমন বিশ্রীরকম খারাপ পর্যায়ে পৌঁছাতো না । কাশ্মীর সমস্যার গভীরতা উপলব্ধ করতে , কাশ্মীর সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা দেওয়া দরকার । লোককথানুসারে , কাশ্মীর আসলে শুষ্ক ভূমি , নামের অর্থনুসারেই এইরুপ অভিধা । সংস্কৃতে ' কা ' শব্দের অর্থ জল , অনুরুপ ' শীমিরা ' শব্দের অর্থ ভূমি । দ্বাদশ শতাব্দীর মনীষী কলহন কাশ্মীর কেন্দ্রিক একটি ঐতিহাসিক গ্রন্থ প্রণয়ন করেন , নাম 'রাজতরঙ্গিণী', সেখানে বলা হয়েছে , পূর্বে কাশ্মীর ছিল একটি হ্রদ । ষষ্ঠ শতাব্দীতে ভারতে আসেন প্রখ্যাত চীনা পরিব্রাজক ...

ডাক্তারবাবুগণ এবার রোগীদের আরও একটু বেশি যত্ন নিন। এ বিষয়ে লিখেছেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
পৃথিবীর মহৎ পেশা মানব সেবা ।'  জীবে প্রেম করে যেজন , সেই সেবিছে ঈশ্বর , ' স্বামী বিবেকানন্দের এই  অময়বাণী আজও হৃদয়পটে চিত্রিত হয় । জীব সেবায় তো শিবসেবা , কেননা ঈশ্বরের বাস তো মানবের শরীরেই , মন্দির কিম্বা মসজিদে কি ঈশ্বরকে পাওয়া যায় ? মানব সেবার মহৎকর্ম করবার সৌভাগ্য কম বেশি সকলেরই  হয় , গণমানুষ হাজার রকম কর্ম করে জীবনের চলার পথকে মসৃণ করবার চেষ্টা করেন । এই কর্মপন্থায় হলো পেশা ।  আর পাঁচটা মানব পেশার থেকে চিকিৎসকদের কর্ম একটু পৃথক ধরনের , মুমূর্ষ  রোগীকে প্রাণ দান করেন চিকিৎসক । সরাসরি এমন মানব সেবার সুযোগ অন্যান্য পেশার মানুষদের সৌভাগ্যে ঘটে না । মাটি - উত্তাপ  - জল - বায়ু ছাড়া  মানবভূমি কল্পনা করা যায় না , সেইরকমই চিকিৎসক ব্যতীত দেশ সমাজ কল্পনা করা স্বপ্নেও সম্ভবপর নয় । চিকিৎসকদের কি ভয়ঙ্কর রকম প্রয়োজন  রয়েছে  , গতকয়েকদিনের চিকিৎসক অসহযোগে আমরা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি । অনেক  গরীব মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন । এটাও কি একপ্রকার অনিচ্ছাকৃত  খুন নয় ?   কেননা চিকিৎসা ব্যবস্থার গতি প্রকৃতি সুস্থ থাকলে সকলে...

দিশাহীন মুসলিম গণসমাজকে ভোট-বল হিসাবেই ব্যবহার করছে রাজনীতির কারবারিরা। আলোকপাত করছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন কম বেশি সুবিধা বঞ্চিত হবেন , বিষয়টি অস্বাভাবিক নয় । এক প্রকার পরম্পরাই  বলা যায় । সংখ্যাগুরুদের উচ্চধ্বনির  নিচে চাপা পড়ে অল্পসংখ্যক মানুষের কণ্ঠস্বর ।  অল্পসংখ্যক বা সংখ্যালঘু শব্দবন্ধটির পরিসর বেশ বিস্তৃত । আমাদের দেশ আয়তনে বিরাট , রয়েছে একাধিক ভাষা , ধর্ম ও লোকাচার ।  সংখ্যালঘু শব্দটির ব্যবহার আরও অর্থপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় এখানে । যেহুতু , নানা ভাষা বর্ণের এই দেশ , উক্ত কারণে বিভিন্ন রকমের প্রতিবন্ধকতার মুখে অনেক সময় পড়েন অল্পসংখ্যক মানুষরা । অল্পপরিসরে পুরো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমস্যার ছবি ধারণ করা বেশ শক্ত । এই প্রবন্ধ মূলত সংখ্যালঘু মুসলমানদের প্রাথমিক কিছু সমস্যা ও তাঁদের নগণ্য কিছু চাহিদার উপর আলোকপাত করার চেষ্টা করছি । চাকরি  এবং মানব উন্নয়নের যে নির্ণয়ক পরিমিতি , সেই জায়গায় কোন অজানা কারণে স্বল্পসংখ্যক মুসলমান সম্প্রদায়ের  মানুষদের উপস্থিতির গ্রাফ সবসময়ই যাচ্ছেতাই রকম কম থাকে । বিষয়টি নিয়ে সংখ্যালঘু মানুষজনের ওতটা শিরঃপীড়া নেই , এর পিছনে যে কারণটি সবচেয়ে বেশি , সেটি ...

বিভেদ নয় , আসুন সকলে মিলেমিশে কাছাকাছি থাকি। এই বিষয়ে লিখছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
ধর্মান্ধ একপ্রকার ব্যধি । অন্ধ ভক্তির যাচ্ছেতাই রকম পাগলামি । ধর্মান্ধ গোত্রভুক্তদের স্বধর্মের প্রতি যেমন চূড়ান্ত রকম আস্থা , তেমনি পর ধর্মের উপর তাদের মারাত্মক অশ্রদ্ধা লক্ষ্য করা যায় ।  হঠাৎ করেই আকাশ ফুঁড়ে এই ধর্মান্ধ ভক্তকুলের উদ্ভব , এমন ভাবার কারণ নেই । আদিম যুগ থেকেই এদের অস্তিত্ব ছিল । খুব প্রাচীন সময় নয় , আমরা যদি কিছু আগের ইতিহাস , অর্থাৎ আমাদের পরাধীন ভারতবর্ষের সংগ্রামের ইতিহাসকে পর্যালোচনা করি , তাহলেও বিষয়টি প্রাঞ্জল হয় । তখনকার সময় হিন্দু মুসলমান ক্ষয়রোগ এত ব্যাপক ছিল না । ছোট অথচ মহৎ একটা ঘটনা দিয়ে বিষয়টা বোঝা যেতে পারে । এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়ছেন রামপ্রসাদ বিসমিল - আসফাকউল্লা খানরা ।চমৎকার বন্ধুত্ব ছিল তাঁদের । ধরা পড়বার পর আসফাকউল্লা খানের উপর হিন্দু মুসলমান অব্যর্থ বিষবীজ প্রয়োগ করতে চেয়েছিলেন তাসাদ্দুক হোসেন, তৎকালীন পুলিস সুপার ।  তাসাদ্দুক চেয়েছিলেন রামপ্রসাদ বিসমিলের বিপক্ষে রাজসাক্ষী হয়ে নিজের জীবনখানি বাঁচিয়ে নিক আসফাক ,  হয়তো মুসলমান হওয়ায় তাসাদ্দুক আসফাকউল্লা খানের প্রতি কিছুটা মমত্ববোধ অনুভব করেছিল ।...

বাড়ির কাছে আরশিনগর - লালন ফকির ।এস .এস .সি বাংলা গাইড ।

ছবি
              সঠিক  বিকল্পটি বেছে নাও । প্রতিটা প্রশ্নের মান : ১  ১ . বাড়ির কাছে আরশিনগর কবিতাটির কবি কে ?       ক . লালন ফকির        খ . বাউল সাঁই       গ . দরবেশ অলিভ  উ . ক  ২ . লালন ফকির আনুমানিক কত সালে জন্মগ্রহণ করেন ?         ক . ১৭৮০ (অনুমান )       খ . ১৭৭৪  (অনুমান )      গ . ১৭৯০  (অনুমান ) উ . খ  ৩ . লালন ফকির কত বছর বেঁচে ছিলেন ?        ক . ১১০       খ . ১১২        গ . ১২০ উ . খ  ৪ .  লালন ফকির প্রতিষ্টিত আখড়ার নাম কি ?         ক . লালন আখড়া         খ . বাউল আখড়া         গ . বাউল সাধক  উ . খ  ৫ . বাউলের প্রতিষ্ঠাতা কাকে ধরা হয় ?      ...

বিশাল ডানাওয়ালা থুড়থুড়ে বুড়ো - গাবরিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ। এস .এস.সি বাংলা গাইড ।

ছবি
      সঠিক বিকল্পটি বেছে নাও । প্রতিটা প্রশ্নের মান :১ ১ . বিশাল ডানাওয়ালা থুড়থুড়ে বুড়ো গল্পটির লেখক কে ?     ক . আর . কে . নারায়ণ    খ . সুগত বসু   গ . গাবরিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ উ . গ ২ . বিশাল ডানাওয়ালা থুড়থুড়ে বুড়ো গল্পটির অনুবাদক কে ?      ক . অমিতাভ রায়      খ . মানবেন্দ্র বন্দোপাধ্যায়      গ . দুলাল রায়  উ . খ  ৩ . গাবরিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ কোন দেশের মানুষ ?     ক . চিলি     খ .আমেরিকা    গ . কলম্বিয়া     উ . গ ৪ . গাবরিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ কত সালে জন্মগ্রহন করেন ?     ক . ১৯৪৫   খ . ১৯২৭   গ .১৯২২  উ . খ  ৫ . বৃষ্টি কয়দিনে পড়েছিল ?      ক . দুই     খ . তিন     গ . চার  উ . খ  ৬ . কোন প্রাণীকে সমুদ্রে ফেলে আসতে হয়েছিল ? ...

জল সংকটের মুখে দেশ , মুক্তি কোন পথে ? এই নিয়ে বুদ্ধিদীপ্ত আলোকপাত করেছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
অভিমানি বর্ষা , বর্ষণ কৃপণ নিষ্টুর রুপ ধারণ করেছে এই বছর । জলের অকালে বিবর্ণ জনজীবন । মানুষের জল হাহাকার , জল নিয়ে মানসিক চিন্তার পারদ বাড়ছে । একক সমস্যা নয় , পুরো দেশময় মানবকুলের প্রধানতম সমস্যার ঝাড় হতে চলেছে জল চিন্তা । হঠাৎ করেই এমন চরম জলঅচলাবস্থার পরিস্থি তি তৈরি হলো কেন ? এই প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়াবার সময় এসে গেছে আমাদের সামনে । এক , বৃষ্টির জল অন্যান্য বছরের থেকে ৫০ শতাংশ কম  হওয়া অবশ্যই একটি প্রধানতম কারণ , সঙ্গে মানুষ্যজনের অসচেতন মানসিকতাও অনেকটাই দায়ী । আমাদের দেশে জলের বন্টন মূলত অসামঞ্জস্যপূর্ন । কোন প্রান্তে জলের প্রবল ঘাটতি রয়েছে , ১৫ - ২০ কিলোমিটার দূর থেকে জল আনতে হয় , আবার কোথাও জল এতটাই পর্যাপ্ত যে অকারণেই জল অপচয় হয় । এই দুই প্রবাহের সঙ্গে যুক্ত হবে একশ্রেণীর বেনিয়া গোষ্টির অহিতকর ভূমিকা । দেশের একাধিক সফ্ট ড্রিংকস কর্পোরেট সংস্থা (থামস আপ , কোকাকোলা , স্প্রাইট , লিমকার মত একাধিক সংস্থা ) নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থে ভূগর্ভস্থ জল ভান্ডার থেকে তুলে নিচ্ছে অমূল্য জলফোটা । প্রতিদিন ৫ লক্ষ লিটার জলের প্রয়োজন হয় এক একটি কোক ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্...

ইতিহাসে এক পৃথিবী বেনোজল , অপসময়কে জানতে সাহিত্য পাঠই উত্তম । লিখছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
মহামতি প্লোটো তাঁর দার্শনিক অনুভূতি থেকে উপলব্ধি করেছিলেন এক চিরন্তন শাশ্বত সত্য । তিনি বলেছিলেন , সাহিত্য অনেকাংশেই সত্যের কাছাকাছি । ইতিহাসের চেয়েও । [Poetry is Nearer to vital truth than History ] বিষয়টি চিরন্তন সত্য । সর্বকালেই বন্ধ্যা কিম্বা অপসময় যায় বলা হোক , অব্যবস্থা এবং অরাজকতাপূর্ণ সময়ে ইতিহাস বিকৃত হওয়ার ঘটনা দুর্লভ নয় , বরং অতীতে এবং বর্তমানেও লক্ষ্য করা গেছে । সাহিত্য এমন একটি মাধ্যম যার বিকৃতি কিম্বা রক্তচোখ দেখিয়ে সত্যপথ থেকে পশ্চাৎসরণ করানো প্রায় অসম্ভব । তবে সকল সাহিত্যসাধকই যে সত্য সুন্দরের পূজারী হবেন , এমন মত প্রতিষ্ঠা করবার সাহস বোধহয় কোন সাহিত্যসমালোচকই দেখাবেন না । কিছু পাঁজরহীন কবি সাহিত্যিক নামের অকবি অলেখক থাকবেন , অতীতে ও ছিলেন , এখনও ব্যাপকভাবেই আছেন  ।  সর্বযুগেই  এদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় । যাঁরা ভয়ভীতি কিম্বা পুরস্কারের লোভে নিজেদের বিকিয়ে দেন । অপরাধ করেন । দেশ কাল ও সময়কে ধারণ করবার যে গুরুদায়িত্ব তাঁর উপর অর্পিত ছিল , সেই সত্য সুন্দরের বাণী প্রচারের যে অক্ষমতা তাঁদের মধ্যে দেখা গেল  , সে জন্য তাঁরা অবশ্যই নিন্দিত হ...

হুজুর তুষ্টি ও নজরানা সংস্কৃতি বাইরে এসে ইসলামি সমাজ নিজেদের শিক্ষিত করে তুলুক । এই বিষয়ে কলম ধরেছেন প্রাবন্ধিক আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
ছোটবেলা থেকে একটা ভুল কথা শুনতে শুনতে বড় হয়েছি । কথাটি এইরকম , বিদ্যা বড় , না বুদ্ধি বড় ? সমাজের সাধারণত যেসকল মানুষ একটু কম শিক্ষিত কিম্বা এক্কেবারেই '  ব অক্ষর গোমাংস ' তাঁরা জোর দিয়েই বলতেন , কেন বিদ্যা বড় হবে ! বড় বুদ্ধি । তখন বিষয়টা না বুঝতে পারলেও এখন বুঝি । কথাটি যে ভীষণরকম মিথ্যা , সে বিষয়ের আলোচনায় পরে আসছি । আসলে সকলেই অতৃপ্তির যন্ত্রণা ভুলতে একটা অজুহাত খোঁজে  । সেই মানুষটি অল্পশিক্ষিত হওয়ার কারণেই কিন্তু ওই কথাটির সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করছে , আর কোন উপায়ও থাকছে না তাঁর কাছে । বিষয়টি মনস্তাত্বিক । কথাটি মিথ্যা এক মিথ কথন , সেই বিষয়ে বলি - বিদ্যা এবং বুদ্ধি একে অপরের পরিপূরক । একটির অভাব , অপরটিকে প্রভাবিত করবেই । পাঠক প্রশ্ন করতে পারেন , তাহলে অশিক্ষিত গণমানবের বুদ্ধির জাগরণ কী ঘটবে না ? অবশ্যই ঘটবে । তবে যথার্থ মানব সম্পদ রুপে যাঁদেরকে আমরা সাধারণত চিহ্নিত করি , সেই পরিআবহিক মাপদন্ডে অল্পশিক্ষিত কিম্বা অশিক্ষিত গণমানুষগণ নিজেদেরকে উন্নীত করতে ব্যর্থ হন । যথার্থ মানব সম্পদের সংখ্যাধিক্যর উপরই নির্ভর করে একটি জাতি দেশ রাষ্ট্র কিম্বা ধর্মের উন্নয়নের...