পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তুমি ছিলে তাই - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
তুমি ছিলে তাই মেঘান্তরালে হারিয়ে  যায়নি মিলনরসের  বর্ণমালা ;তুমি ছিলে  তাই মৃত্যুকালেও  জাগে বাঁচতে হৃদয়ের  এলবাম । তুমি ছিলে তাই  কবি পারেন সপ্নতরী  বেয়ে দুঃখের সাগরনীরে  ভাললাগার মুক্তবন্দরে  জাহাজ ভিড়াতে ;তুমি  ছিলে তাই জীবনপথে  ক্লান্ত পথিক আশ্রয়ের  খোঁজ করে । তুমি ছিলে তাই কৃষক  ফসল ফলায় মাঠে ; তুমি ছিলে তাই জীবনের  গোধূলিতেও অশক্ত হাতে  রবিঠাকুর লিখতে পারেন , তুমি ছিলে তাই বীর বিপ্লবী  সূর্যসেন হাসিমুখে পড়তে পারেন ফাঁসির  দড়ি গলাতে । তুমি ছিলে তাই  রাতের মৌনতা কাটিয়ে  নিশিপদ্ম ফোটে ; তুমি  ছিলে তাই গুরু পারেন শিষ্যের  পীড়িত হৃদয়ে জালতে  জাগরণমন্ত্র । তুমি ছিলে তাই...

তোমাকে দিলাম - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
অন্তর মন্দির প্রাঙ্গণে জমে ওঠা কঙ্কালসার নিস্তব্দ সময়কে সযত্নে পাশ কাটিয়ে তোমাকে দিলাম আগামীর সহস্র বেড়া ভাঙ্গা মুক্তির সোনালী বুদ বুদ । ছলনার অন্তরালে লুকিয়ে থাকা ,কালগর্ভে নির্বাসিত গণকবরে চাপা পড়া মানবতা কে রঙ্গিন কাগজে মুড়ে তোমাকে দিলাম । শরীরের স্বাদ নয় ,চুম্বনের উন্মুক্ততা নয় ,শারীরিক মিলনের উষ্ণতা নয় , তোমাকে দিলাম হৃদয়ের অন্তহীন ভালবাসা আর  হাজারো শতাব্দীর সমস্ত গোলাপ এক জায়গায় জোগাড় করে তার সুবাস তোমাকে দিলাম ।

প্রিয়জন - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
আনন্দ আর ভাললাগা কিম্বা উল্লাসে ফেটে পড়া তোর সেই মুখচ্ছবি আজও ভেসে ওঠে মনের গহীনে । মর্মবিদারী হলেও বাস্তব তোর এই চলে যাওয়া সেটা কি অলিখিত কোন ঈশ্বরিক আদেশ নাকি শুধুই মায়া ! মিলনকুঞ্জে তোকে নিয়ে ছিল কয়েকটি মানুষের স্বর্গ ;সেই স্বর্গে ছিলিস তুই দেবরাজ ইন্দ্র ,আর অনন্যরা সবাই নারদ ; যে স্বর্গে একদিন  নব পল্লব উদ্গত হত ,দেবরাজ ইন্দ্রহীন সেই স্বর্গ আজ ভবনদীর তপ্ত সৌকতে হৃদপিন্ড ফাটা রক্ত ।

আশার গান গাও - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
হিয়ার গহীন বনে লাগলে মোচড় দিয়ে ওঠে সমস্ত দেহ , চেতনাও স্তব্দ ,কখনো হয় নিষ্ক্রিয় ,তার ছবি প্রতিফলিত হয় মুখমন্ডলে ; আমরা যা ভাবি কখনো কখনো তার অন্যটা হয় , না পাওয়ার বেদনা ,কখনো প্রিয়জন হারানোর কষ্ট প্রবল জোরে টোকা মারে মন মসজিদের দ্বারে - আর তখনই ভাবনার জগতে আলোড়ন ওঠে ,ক্রন্দনের নদী উতলে উঠতে চাই ,যেন সব কিছু ভাসিয়ে দেবে ! কে বোঝাবে এই ক্রন্দনের নদীকে ! কে আটকাবে চোখ হতে মুখমন্ডলে তার গতিপথকে ? যে পারে সে সাধারন কেউ নয় , কেননা জীবনমানে হিয়ার গভীরে বিজন অরণ্য নয় ,জীবন হল দুঃখ কষ্ট বুকের মাঝে দাফন করে সুখের খোঁজে ছোটা ।

অধরা সুখ - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
              সুখ ,তোমায় নিয়ে আর ভাবিনা , সপ্নও দেখিনা তোমার কাছাকাছি যাওযার ভাবনার রং তুলি শুকিয়ে গেছে , যেকোন সময় ঝরে পড়বে হয়ত সুর কেটে গেছে ,লয়ও হারিয়ে গেছে অজানা দিগন্তে ;কষ্টরা আজ জোট বেঁধেছে যেতে পারব না তাই তোমার কাছে । সুখ ,তুমি না থাকলেও বেশ আছি ! সময়ও কাটছে নিজের মতো করে , তবে মনের সাথে যে যুদ্ধ তাতে নিয়মিত যাচ্ছি হেরে । সুখ ,তোমার অভাব মিটছে আজ হতাশার অলিগলিতে , বেশ আছি আজ ,কর্মহীনতার কাফনে জড়ানো জীবন্তলাশ হয়ে !

কবিতা বিষয়ক আলোচনা ;আজকের আলোচ্য কবিতা আফ্রিকা :আলোচক আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
বিশ্বকবি রবীন্দ্রাথ ঠাকুরের অসংখ্য অনবদ্য কবিতারাজির মধ্যে একটি সস্বরণীয় কবিতা আমদের আলোচ্য আফ্রিকা নামক কবিতাটি - যেখানে ঋষিকবি রবীন্দ্রাথ আফ্রিকা সম্পকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছন । আফ্রিকা অনন্যা মহাদেশ থেকে চারিত্রিক ভাবে পৃথক ও স্বতন্ত্র ।কবির মতে সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর সৃষ্টিপর্বে অধৈর্য হয়ে পূর্বাঞ্চলীয় ভূখণ্ড থেকে আলাদা করে সৃষ্টি করেছন আফ্রিকাকে ।বিশ্বকবি রবীন্দ্রাথ তাঁর স্বভাবজাত ভঙ্গিমায় একটি নিতান্ত ভৌগলিক ঘটনাকে শিল্পীর তুলিতে অসাধারনত দান করেছন ।ভূবিদ গণের মতে সুপ্রাচীনকালে পৃথিবীর পূর্বাঞ্চল ছিল আফ্রিকার ভূখণ্ড ।কিন্তু পরবতী কালে বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারনে তা মূলভূখণ্ড থেকে পৃথক হয়ে সম্পূর্ণ আলাদা একটা মহাদেশে পরিনত হয়েছে ।কবি কল্পনায় তারপর তাকে বন্দী...

নামহীন একটি কবিতা - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
হলুদাভ বিষন্ন পীড়িত হৃদয়ে বসে ক্লান্ত পথিক আমি দেখছি ভগ্ন হৃদয়ে জীবনের হাজার ওঠানামা ;পীড়িত আমি বাড়াও তোমার হাত আমি বাঁচতে চাই । জীবনের গহন সমুদ্রে ডুব মেরেছি বার বার ,সরিয়ে দিতে চেয়েছি হাজারো আঁধার ,কিন্তু পারিনি তাই ফিরে এসেছি বার বার ।

তুমি কি শুনতে পাও মাটির কান্না! - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
যুদ্ধের শেষ সেনাপতি তুমি কি শুনতে পাও মাটির কান্না ! মাসের প্রথম রবিবার এসো করি শপথ চার দেয়ালের বাইরে কখনো কাছে কখনো দুরে নিশ্বাস যখন হবে পীড়িত কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিঃশব্দে হিপ্ক্রিট শয়তানদের বাতেল্লা ,চিরতরে করে দেব রুদ্ধ । তারপর , ভয়াবহ সেই দিনগুলো ভুলে নতুন পৃথিবী গড়ব নিজেদের মতো করে নিঃশব্দে....... ইয়াহু কি আনন্দ ।

কবিতা বিষয়ক আলোচনা -আজকের আলোচ্য কবিতা অসুখী একজন :আলোচক আরিফুল ইসলাম সাহাজি

নোবেলজয়ী চিলিয়ান সাহিত্যিক ও দক্ষ রাজনীতিবিদ পাবলো নেরুদা বিরচিত ,(তরজমাকারক নবারুন ভট্রাচার্য )"অসুখী একজন "কবিতায় একদিকে যুদ্ধ এর ভয়ংকর বিভীষিকাময়তা ,অন্যদিকে শাশ্বত চিরজীবী প্রেমের দ্বন্দ অনুপম আলেখ্য হয়ে উঠেছে । কবিতার একেবারে শুরুতেই এক করুন সুরের ঝংকার আমাদের মর্মে ধ্বনিত হয় ।কবিতার প্রথম দুটি চরণ লক্ষ্য করা যাক -                           "আমি তাকে ছেড়ে দিলাম                             অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখে দরজায়.....।" যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়া বিপ্লবীর মনে কোন বাসনায় থাকে না ফিরবার ,কিন্তু প্রিয়জন থাকে অপেক্ষায় -এ অপেক্ষা অন্তহীন ,চিরন্তন যার গতি ।অপেক্ষার প্রহর ক্রমশ হয় ভারি -তারপর নেমে আসে যু...

বুদ্বদেব বসুর সাহিত্য বিষয়ক আলোচনা

1:বুদ্বদেব বসুর জন্ম 1908 সালে এবং মৃত্যুবরণ করেন 1974 সালে 2:প্রগতি পত্রিকার সম্পদনা করতেন 3:প্রথম কাব্য মর্মবাণী 4:কবিতা গল্প প্রবন্ধ রচনায় সমান পারদর্শী 5:নতুন পন্থী কবি নামে অভিহিত 6:সেরা কাব্য -বন্দীর বন্দনা 1930,পৃথিবীর প্রতি 1933, কঙ্কাবতী 1943 , দমন্তি 1943    শীতের পার্থনা বসন্তের উত্তর 1955

কাজী নজরুল ইসলাম এর কাব্য বিষয়ক আলোচনা

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্বরণীয় কিছু কাব্যগ্রন্তের লিস্ট এখানে দেওয়া হল - অগ্নিবীণা 1922,ভাঙার গান 1924,বিষের বাঁশি 1924,সর্বহারা 1926,চিত্তনামা , চক্রবাক 1929 ,ফণিমনসা 1927 ,শিকল ভাঙা গান 1924 ,ছায়ানট 1925 , পুবের হওয়া 1925 , জিঞ্জির 1928 , কবি নজরুলের প্রথম কবিতা মুক্তি ,কবি নজরুল মানুষের কবি জাতিভেদ এবং বিভেদ ,হিংসার  প্রবল বিরোধী ছিলেন মানুষের কবি কাজী.........1976 সালে এ্ই মহান কবির মহাপ্রযাঁন ঘটে ।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ এর পূর্ণাঙ্গ কাব্যগ্রন্ত

আমরা এখানে বিশ্বকবি রবীন্দনাথের কাব্যগ্রন্তের একটা লিস্ট দিলাম - মানসী 1890,সোনার তরী 1894,চিত্রা 1896,ভানুসিংহের পদাবলী 1884, কথা ও কাহিনী 1990,ক্ষণিকা 1900,স্মরণ 1902-03,শিশু 1906,খেয়া 1910, গীতাঞ্জলি 1990,গীতালি 1915,পুনশ্চ 1932,শেষ সপ্তক 1935,বীথিকা 1935, পত্রপুট 1936,প্রান্তিক 1938,সেঁজুতি 1938,আকাশ প্রদীপ 1939,নবজাতক 1940, সানাই 1940,আরোগ্য 1941,জন্মদিনে 1941,বলাকা 1916,পূরবী 1925,মহুয়া 1929

বাংলা কবিতা : দেয়াল লিখন -আরিফুল ইসলাম সাহাজি

বাংলা কবিতা : দেয়াল লিখন -আরিফুল ইসলাম সাহাজি : আকাশে বাতাসে প্রতিটিক্ষণে আজ যেন শবপ্রদশর্নী মানস জাগৃতির অমানিশায় সেজে উঠেছে পৃথিবী... রুক্ষপ্রান্তর আজ রক্তে ভেজা ,হুঙ্কার শব্দ সর্বত...

নিরাপত্তা চাই -আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
অন্তরালে একাকিনী ,সুপ্তির কৌটোয়  জমেনি একটিও আধুলি..... রাক্ষুসে হাওয়ায় নিস্তব্ধ সময়  আটলান্টা থেকে ধেয়ে আসে  শতাব্দীর খিদে ,বাধা পায়  সপ্ন উচ্চারন ..... প্রচ্ছদপট রক্তে আঁকা  অক্ষরগুলো মূকবধিরের মত  তিমির রাত্রির ঘন অন্ধকার.... হৃদগগনে অশনি সংকেত  জোসনালোকিত্ রাত্রে অকারন  বজ্রপাত .... ক্ষুদ্রভেলায় অভিযাত্রী হয়েছি তাই  ফিরব না আর কাঙ্ক্ষিত চিত্রের  আলোকিত সপ্ন নিয়ে ভাঙন সমরাহে  খাটিয়ায় কাঁধ দিতে...... তারচেয়ে দুর থেকে তাপ্পী মারা ব্লাউজের  ফাঁক দিয়ে বিশ্ব কে দেখব....আর ঈশ্বর  কে বলব হে প্রভু একটু খানি নিরাপত্তা  দাও........

হারানো সুর -আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
কলেজকেন্টিন বা পার্ক কিম্বা কলেজফেরত নিদ্রাহীন সারারাত আজও আস্তারন ফেলে মনের গভীরে । লালসাদীপ্ত মন ভালবাসার জুপ্কাস্টে বলি ,তবু কেন বার বার ফিরে ফিরে আসে সেই মুখ সেই ছবি । বন্ধুদের আড্ডা ,একসঙ্গে চলা হাসি কিম্বা কান্না আর কুঁড়েমির কেল্লা সেই কলেজ মাঠ আজও বার বার ফিরে ফিরে আসে মন ও মজ্জায়......।

তুমি আসবে তাই...........-আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
ইস্পাত কঠিন অন্ধকার সরিয়ে ঘর্মাক্ত শরীরে তোমার অপেক্ষায়............ তিমির রাত্রির একাকি অভিসার  দুর দুর বহুদুর হেঁটেছি শুধু  তোমার ভালবাসার আশায়........ অন্ধসময়সংহিতায় চারদিক  হাহাকার ,তোমাকে পাশে   আজ বড় দরকার ............... তুমি বনলতা ,সুচরিতা নও  তুমি আমার মানসপ্রতিমা ............ অন্তরপারাপারে রঙ্গিন কার্পেট  তুমি আসবে তাই ,তোমার আগমনে  অবসান ঘটুক হাজার অনাচার........... তুমি আসবে তাই আজও অপেক্ষায়.............

আশা নাকি ধোঁয়াশা !!

ছবি
এক এক সময় নিজেকেও চিনতে বড় কষ্ট হয় , মনের মাঝে জমা হয় পৌরসভার জঞ্জাল , ভেবেই অস্তির হয়ে পড়ি জঞ্জাল সরিয়ে হবে কি নতুন সূর্যোদয়..............নাকি পচা ডিম আর সসের ভগ্নস্তুপে জন্ম নেবে ডেঙ্গুর মশা ?????

যাতনার স্বরলিপি -আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
অবক্ত ক্রোধ জীবন্ত ছবি হয়ে ফুটে ওঠে ;যখন দেখি কিছু লম্পট শয়তান হাতে তোমার শ্লীলতাহানি ! জগতে অচিন্ত্য বিস্ময় তুমি সৃষ্টি ঊষা থেকে জীবনকে বেঁধেছ পরম মমতায় ,কিন্তু যখন তোমাকে দেখি নিঃসঙ্গ গিরিচূড়ায়........................ যখন দেখি তোমার বুকে তোমার সন্তানদের শবপ্রদশর্নী বুক জ্বলে যায় দেখে ওদের ঘৃণ্ণ অভিসন্ধি ! সপ্নসেতু গড়ে দিয়েছ তুমি জগতকে করছ শর্ষশেমলা তোমারই প্রাসাদকণা পেয়ে পুষ্ট হয়ে তোমারি ধংসে নেমেছে ওরা.......................................! Bba