পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খান । শোকে বিহ্বল পুরো দেশ ।

ছবি
গত কয়েকবছর ধরেই গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক চিন্তনজাত পরিআবহিক সমৃদ্ধি পথ পরিত্যাগ করে আমরা ভারতীয়রা হিন্দু মুসলমান খেলছি । অন্ততঃ করোনার আবির্ভাব মুহূর্তের পূর্ব পর্যন্ত তো এই ভয়ঙ্কর খেলায় মেতে উঠেছিলেন অনেকেই । প্রতিবেশিকে অচেনা লাগতে শুরু করেছিল । জন্মের পর যাদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় পেয়ে আমাদের বেড়ে ওঠা সেই মানুষগুলোই কেমন যেন পাল্টে পাল্টে যাচ্ছিল । নেপথ্যে দায়িত্ব অর্পিত নেতারা দায়িত্বহীন দিক নির্দেশনা ।  আজ একটু আগে মহান অভিনেতা এবং অসম্ভব ভালো মনের ও প্রিয় মানুষ ইরফান খান প্রয়াত হয়েছেন । নিঃসন্দেহে পুরো বিশ্বব্যাপি এটা এক শোক সংবাদ । ভারতবাসীর কাছে এ এক অপূরণীয় ক্ষতি । ইরফান খান নিঃসন্দেহে অসম্ভব দক্ষ অভিনেতা । সোসাল মিডিয়ায় পর্দায় পর্দায় তাই নেমেছে শোক আবহ । দেখতে ভীষণ ভালো লাগলো , তিনি এক বিশেষ ধর্মের মানুষ বলে শুধুমাত্র বিশেষ ধর্মের মানুষ শোক জ্ঞাপন করছেন তা কিন্তু নয় । পুরো ১৩০ কোটি মানুষ তাঁর প্রয়াণে কষ্ট পেয়েছেন । এই তো ভারতবর্ষ , ধর্ম পরে , কর্মটাই সবার আগে হোক এমনি প্রতিক্ষেত্রে । 

ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতন বেড়েছে , দাবি মার্কিন সংস্থার ।

ছবি
নোঙর আপডেট ।  ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউ এস সি আই আর এফ) এক মার্কিন সংস্থা । বিশ্বব্যপী ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর নজরদারির দায়িত্ব এদের উপর অর্পিত । সম্প্রতি , এদের প্রকাশিত রিপোর্টে ভারতকে এক সমস্যার দেশ হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে । ভারত সহ আরও ১৩টি দেশকে তাঁরা এই তকমা দিয়েছেন ।  দিল্লিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অকথ্য নির্যাতন এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গণধোলাই দিয়ে নরহত্যা বিষয়গুলো নজরে রেখে তাঁরা তাদের সর্বশেষ রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন , ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর ক্রমবর্ধমানভাবে অত্যাচার বেড়েছে । এই সংস্থা গত বছর তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছিল , সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে , ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য বিভিন্ন বিধি পেশ করছে সরকার । যদিও ওই সংস্থার রিপোর্ট মিথ্যাচারমূলক বলে খারিজ করেছে নয়াদিল্লি ।   বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে প্রবণতাযুক্ত মন্তব্য নতুন নয়। তবে, এক্ষেত্রে মিথ্যে বিবরণের মাত্রা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে।

নজরুল চর্চা কেন্দ্রের উদ্দোগে আয়োজিত হচ্ছে অনলাইন রবীন্দ্রউৎসব । জানুন বিস্তারিত ।

ছবি
বারাসাত নজরুল চর্চা কেন্দ্র উত্তর চব্বিশ পরগনার এক বিশেষ সাংস্কৃতিক সংগঠন । সারা বৎসর ব্যাপি তাঁরা বিভিন্ন আস্বাদমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের আয়োজন করে থাকেন । মূলত নজরুল তাঁদের চিন্তার ভরকেন্দ্রে থাকলেও অন্যান্য মনীষীদের নিয়েও তাঁদের বিস্তর আগ্রহ । নজরুল চর্চা কেন্দ্রের পুরোধা পুরুষ অধ্যাপক ড . শেখ কামালউদ্দিন এবং তাঁর সহযোদ্ধাদের উদ্দোগে ২৫ বৈশাখ মনীষী ঋষি রবীন্দ্রনাথের জন্মক্ষণ পালন উপলক্ষে এক অনলাইন রবীন্দ্রউৎসবের আয়োজন করা হয়েছে । কিভাবে যোগ দেবেন , নীচে বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হল । রবীন্দ্র সঙ্গীত , রবীন্দ্র আবৃত্তি , রবীন্দ্র নৃত্য থাকছে । কোন নিবন্ধন ফ্রি থাকছে না । যিনি অংশগ্রহণ করবেন তিনি সযত্নে ভিডিও ধারণ করে প্রেরণ করবেন এই নম্বরে । +91 92314 88669 এবং তার সঙ্গে অবশ্যই লিখবেন , আপনার নাম ঠিকানা জন্ম তারিখ এবং ফোন নম্বর লেখা পাঠানো যাবে তারিখ 29 এপ্রিল, 2020 বুধবার রাত পর্যন্ত

রোজা রেখেই হিন্দু ভাইবোনদের খাওয়ার ব্যবস্থা করছেন অল ইন্ডিয়া সুন্নাতুল জামাতের সদস্যরা ।

ছবি
পবিত্র মাহে রোমজান শুরু হয়েছে , মুসলমানরা সারাদিন রোজা রেখে সন্ধ্যা বেলা অন্ন গ্রহণ করবেন , এমন বিধান ইসলামী রীতিতে । অথচ রোমজান শুরুর আগেই আল ইন্ডিয়া সুন্নাতুল জামাত নামের এই সংঘটনটি হাতে নিয়েছে এক মহতী প্রকল্প । প্রকল্পটির নামকরণ করা হয়েছে ক্ষুধা প্রকল্প । প্রায় কমবেশি কুড়িটি গ্রামে খুলেছে নঙ্গরখানা যেখানে প্রতিদিন দুইশত থেকে আড়াই শত মানুষকে খাওনোর ব্যবস্থা করেছেন সংঘটনটির কর্ণধার আব্দুল মাতিন ।  এদিকে মাহে রোমজান আরম্ভ হয়েছে , মুসলমানদের দিনে খাওয়া বন্ধ । তবুও , সম্প্রীতির অনন্য নজির রাখলেন মৌলানা আব্দুল মাতিন । তিনি ক্ষুধা প্রকল্প বন্ধ করলেন না , রোমজান মাসে দিনের বেলায় হিন্দু ভাই মা বোনদের খাওয়ার ব্যবস্থা জারি রাখলেন । নয়ন জুড়িয়ে যাওয়ার মত ঘটনা । রোজা রেখেই হিন্দু ভাইবোনদের তদারকি করে খাওয়াচ্ছে মুসলিম রোজাদার ভাইরা । দিল্লির দাঙ্গার পর যখন কপিল শর্মারা শুধুমাত্র হিন্দুদের ত্রাণের ব্যবস্থা করে , সেখানে রোমজান মাসে নিজেদের অর্থে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের খাওয়ার ব্যবস্থা করে অনন্য নজির স্থাপন করলো মৌলানা মাতিনের সংঘটন আল ইন্ডিয়া সুন্নাতুল জামাত । 

বারাসাতে এক সপ্তাহে দুইজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি । একজনের মৃত্যু হয়েছে , অন্যজন বাঁচার জন্য লড়ছেন ।

ছবি
গত সপ্তাহে হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত এক প্রৌঢ়ার। বারাসতের ওই বাসিন্দা হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল । তাঁর স্বজন পরিজনরা তাঁকে  রুবি মোড়ের কাছে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন । সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসে। এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন , মৃত বৃদ্ধা করোনা  পজিটিভ ছিলেন ওই । মৃত্যুর পর তাঁর সংস্পর্শে  আসা মেয়ে, জামাই, এক পরিচারিকা -সহ বাকি আত্মীয়দের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে সূত্রের  বলে খবর। এক সপ্তাহের অতিক্রান্ত হয়নি । এদিন অশোকনগরে ধরা পড়ল আরও এক ব্যক্তির দেহে করোনার সংক্রমণ । ওই ব্যক্তির বাড়ি হাবড়া দুই নম্বর পঞ্চায়েতের কুটিয়া গ্রামে । কেন্দ্র সরকারে অস্থায়ী কর্মচারী ওই ব্যক্তি গত চারদিন অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন । তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসায় ডাক্তার এবং সেবাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে । ওই ব্যক্তিকে বারাসাত করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । স্থানীয় সংসদ অশোকনগর বাসিকে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ করেছেন । 

অশোকনগরে এক বৃদ্ধের শরীরে ধরা পড়ল করোনা ।এলাকা জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ । নোঙর আপডেট ।

ছবি
সারা বিশ্ব এখন করোনার  ভয়াবহ আবহের মধ্যে সময় অতিক্রম করছে । বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই  না ।  চীনের উহান শহর থেকে এই মরণ ভাইরাস করোনা  ছড়ালেও তা শুধুমাত্র চিনেই সীমাবদ্ধ থাকেনি ।  ইউরোপের রাষ্ট্রগুলোতে এবং আমেরিকায় ভয়াবহ আকার নিয়েছে । এই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা নেই  আমাদেরও ।   ভারত বর্ষে দিনকে দিন বাড়ছে করোনা  আক্রান্তের সংখ্যা । আতঙ্কে জীবন যাপন করছে সমস্ত দেশবাসী । লকডাউনে বন্দি হয়ে রয়েছে আমাদের জীবন ।  আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা গুরুতর হতে চলেছে । প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।  লকডাউন করেও সামলানো যাচ্ছে না পরিস্থিতি । বারাসাত আমাদের রাজ্যের অন্যতম একটি মহাকুমার শহর ।  এখানেও লকডাউন সঠিকভাবে পালনের  জন্য প্রশাসন দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে । ড্রোন  দ্বারা নজরদারি করা হচ্ছে । লকডাউন উপেক্ষা করার অভিযোগে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হচ্ছে ১৭৬ জন বারাসাত বাসীকে। এদিকে এক আতঙ্কের খবর পাওয়া গেছে অশোকনগর থেকে । হাবড়ার দুই নম্বর ব্লকের কুটিয়া গ্রামের এক ৫৩ বছর বয়সী বৃদ্ধর শরীরে করো...

লকডাউন উপেক্ষা করায় বারাসাতে গ্রেফতার ১৭৬ জন । নোঙর আপডেট ।

ছবি
নোঙর প্রতিদিন ডেক্স । সারা বিশ্ব এখন করোনার  ভয়াবহ আবহের মধ্যে সময় অতিক্রম করছে । বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই  না ।  চীনের উহান শহর থেকে এই মরণ ভাইরাস করোনা  ছড়ালেও তা শুধুমাত্র চিনেই সীমাবদ্ধ থাকেনি ।  ইউরোপের রাষ্ট্রগুলোতে এবং আমেরিকায় ভয়াবহ আকার নিয়েছে । এই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা নেই  আমাদেরও ।   ভারত বর্ষে দিনকে দিন বাড়ছে করোনা  আক্রান্তের সংখ্যা । আতঙ্কে জীবন যাপন করছে সমস্ত দেশবাসী । লকডাউনে বন্দি হয়ে রয়েছে আমাদের জীবন ।  আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা গুরুতর হতে চলেছে । প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।  লকডাউন করেও সামলানো যাচ্ছে না পরিস্থিতি । বারাসাত আমাদের রাজ্যের অন্যতম একটি মহাকুমার শহর ।  এখানেও লকডাউন সঠিকভাবে পালনের  জন্য প্রশাসন দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে । ড্রোন  দ্বারা নজরদারি করা হচ্ছে । লকডাউন উপেক্ষা করার অভিযোগে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হচ্ছে ১৭৬ জন বারাসাত বাসীকে।

অমানবিক চীন , ল্যাবে মজুত করোনার মত আরও মারণ ভাইরাস । আতঙ্ক বিশ্বময় ।

ছবি
করোনা সারা বিশ্বব্যপী ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে । ভয়ঙ্কর নৃশংস এই ভাইরাসের উৎপত্তি কিভাবে হল , এ বিষয়ে গবেষণা থামছেই না । তবে যেহেতু , এই মরণ ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছে চীনের শহরে ।চীনের কমিউনিস্ট সরকার একেবারেই প্রথম থেকেই সযত্নে ভাইরাসটি লালন করেছেন । যতক্ষণ না সেটি মহামারীতে পরিণত হয়েছে , তার আগে বিশ্বকে তারা করোনা সম্পর্কে কোন তথ্যই দেয়নি । এমনকি যারা , করোনা নিয়ে কোন খবর বিশ্বের নজরে আনবার চেষ্টা করেছেন , সরকার হয় , তাদের গুম করেছে , নয়তো জেলে পুরো দিয়েছে । ইতিমধ্যে বিশ্বের তোপের মুখে পড়েছে চীন । আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্ম্প্ট চীনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন , এই ভাইরাস চীন সরিয়েছে এমন প্রমাণিত হলে , চীন কঠিন জবাব দেওয়া হবে । জার্মানি সহ একাধিক দেশে চীনের স্বৈরাচারি সরকারের বিরুদ্ধে জরিমানা করা হয়েছে । এই আবহেই এক আন্তৰ্জাতিক সংস্থার রিপোর্টে এক ভয়ঙ্কর তথ্য দাবি করা হয়েছে । চীনের ল্যাবে করোনা ভাইরাসের মত এমন আরও ১৫০০ ভাইরাস সংরক্ষিত আকারে মজুত আছে । বিষয়টি সত্য হলে মানব সভ্যতা ধ্বংশের মুখে পড়বে । কেননা , অমানবিক চীনের অসাধ্য কিচ্ছু নেই ॥ 

করোনায় মৃত্যু দুই লক্ষ মানুষের । কোথায় গিয়ে থামবে মৃত্যু মিছিল ?

ছবি
করোনা মহামারিতে জনজীবন ধ্বংশপ্রাপ্ত । বিশ্বব্যপী মৃত্যু মিছিল চলছে । এমন কোন দেশ নেই , যেখানে করোনা প্রভাবিত হয়নি । সারা বিশ্ব করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে অমানুষিক গতিতে । প্রথমে চিন , পরে ইউরোপের দেশগুলো ভীষণরকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । ইতালিতে মৃত্যু মিছিল থামলেও পৃথিবী অপরাশক্তি আমেরিকাতে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েই চলেছে । এক সমীক্ষা অনুযায়ী , পৃথিবীতে এখনও পর্যন্ত দুই লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে , করোনায় আক্রান্ত হয়ে ॥ 

স্বামী বিবেকানন্দের ভাবনায় ভারতবর্ষ । আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
মহামানবের মিলনভূমি , বর্ণগত , জাতি ও ধর্মগত বৈচিত্রের দেশ ভারতবর্ষের যে মহানুভব আদর্শ এবং ঐতিহ্য ছিল এত্তদিনকার অর্জিত অহংকার , সেই আদলের কোথায় যেন এক বিরাট ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে । এক অনন্য অন্ধকার সেই মহানুভব ঐতিহ্যের জীবন্ত শরীরে ধ্বংশের পেরেক পুঁততে নিরন্তর সচেষ্ট । বিরাট ভূখন্ড প্রাচীন মানবসভ্যতার নাম ভারতবর্ষ । সৃষ্টিলগ্ন থেকেই জাতি ও ধর্মের ভিন্নতা এ দেশে এক নজির তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে । সাহিত্যে এবং ইতিহাসে সে জয়গাঁথা আজও আমাদেরকে পুলকিত করে । সে সাঁকোটি এত্তদিন ছিল সকল জাতি ও ধর্মের মনুষ্যের চলাচলের মাধ্যম , সেইখানে পোস্টার পড়েছে আজ , শুনহ হে মানুষ সকল , এই সাঁকো দিয়ে এঁরা হবে পারাপার , আর ওঁরা অচ্ছুৎ , ওদের নেই কোন অধিকার । এই সাঁকোটিকে দেশ ভেবে পড়ুন , তবেই বিষয়টি সহজলভ্য হবে ।  এমন ধর্ম ও বর্ণগত সংকটের মুখে ভারতবর্ষ পড়েছে কীনা যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে । প্রাচীন ভারতের তেমন ইতিহাস পাওয়া মুশকিল , তবুও কুয়াশা সরিয়ে যতটুকু লক্ষ্যগোচর হয় , তাতে অনুমিত হয় , এত্তবড় ধর্মসংকট সেই সময়ও ছিল না । মুসলিম যুগেও যথেষ্ট সম্প্রীতির বাতাবরণ রক্ষিত ছিল । ইংরেজ ...

দয়া করুন , এঁকে দিল্লি ফিরিয়ে নিয়ে যান , এবং লকডাউন করুন । রাজ্যপাল সম্পর্কে মহুয়া মৈত্রের টুইট ।

ছবি
কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ এবং রাজ্যবাসি । করোনার ছোবল কেড়ে নিচ্ছে অনেকেরই প্রাণ । একটা আতঙ্ক ভর করেছে রাজ্যবাসীর মন ও শরীরে । এমন এক নিয়তি পীড়িত সময়ে , করোনা  আবহেই নজির বিহীন ভাবে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছেন  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল ধনকড় ।  চলছে  পত্র যুদ্ধ । কেউ লিখছেন ১৪ পাতার চিঠি কেউবা উত্তর দিচ্ছেন পাঁচ পাতায় ।এই মহামারীর  দুর্যোগময় ভয়াবহ সময়ে তা রাজ্যবাসীর কাছে একেবারেই কাম্য নয় ।   রাজ্যপালের এই প্রতি সক্রিয়তা অনেকেই সংবিধানের পরস্পরবিরোধী বলে মনে করছেন ।  রাজ্যপাল কোন সমন্তরাল প্রশাসন চালাতে সক্ষম নন , বলেও বিশিষ্ট জনেরা অভিমত প্রকাশ করেছেন । তিনি মুখ্যমন্ত্রী এবং তার এ্যাডভাইজারী কমিটি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ।  তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মিত্র রাজ্যপালকে আক্রমণ করে একটি টুইট করেছেন । তিনি লিখেছেন,  এখন মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করছি । রাজভবন এ বসা এক উকিলের জেরা এবং উত্তর দেওয়া কিংবা মজা করবার সময়  এখন নয় । নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ কে অনুরোধ দয়া করুন । এঁকে  দিল্লি ফিরিয়ে নিয়ে যান এবং লগডাউন...

সুভাষচন্দ্র বসু : অন্তর্ধান রহস্য । একটি অনুসন্ধান মূলক আলোকপাত ।

ছবি
আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।  নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু , নামটি উচ্চারণ করবার সঙ্গেই হৃদয় পবিত্রময় হয়ে ওঠে । দেশ ও জাতিকে  কল্যাণময় আবহ দিতেই কেটে গেছে তাঁর জীবনের সবটুকু অবসর । স্বস্বাধীনতা ও সুবিধাভোগ নিয়ে অন্য আরও অনেকেই যখন অপেক্ষাকৃত নিরাপদ নৌকার যাত্রী , ঠিক সেই সমমুহুর্তে অসুস্থ মাকে ছেড়ে (গর্ভধারিনী এবং দেশ মা , উভয় অর্থে )তিনি এগিয়ে গেছেন অজানার পথে । সেই গন্তব্যের কোন দিশা নেই , ভয়ঙ্কর রাষ্ট্রনায়ক , যাঁরা কোন অজুহাত ছাড়াই মানব হত্যার সিদ্ধহস্ত (হিটলার , তেজো প্রমুখ )তাঁদের সাহায্যে অভাগা দেশটাকে মুক্ত করবার বাসনায় মৃত্যুতিলক এঁকে নিয়েছেন স্বললাটে । তবে তাঁকে মরতে হয়নি , তিনি অনন্য  । তিনি কেন মৃত্যুবরণ করতে যাবেন ? বিশ্বইতিহাসে এমন অমর গাঁথা বোধহয় আর একটিও নেই , মনীষী সুভাষের জন্ম আছে কিন্তু মৃত্যু নেই ।  নেতাজী সুভাষচন্দ্রের কাছে সবার আগে দেশ , সবার পরেও দেশ । চাইলেই কাটাতে পারতেন নির্বিঘ্ন জীবন , সিভিল সার্ভিসে ভালো নম্বর পেয়ে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন । তবে ইতিহাস বোধহয় তা চাইতো না  , যিনি কোটি কোটি ভারতীয় হৃদয়ের আরাধ্য হবেন , তিনি কোন দুঃখে গো...

লকডাউনে বন্ধ সবজি হাট ! কৃষিজ ফসল নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষক সমাজ ।

ছবি
গ্রামীণ সমাজের মানুষ হওয়ার অভিজ্ঞান থেকেই '  ভারতবর্ষ 'কে খুব ভালো করে চিনতে শিখেছি । যাঁরা শুধুমাত্র শহুরে রাস্তার আলোক ঝলকানিকে দেশ বোঝেন , তাঁরা ভারতবর্ষের আসল রুপ দেখেননি বললে খুব একটা ভুল বলা হবে  না । গ্রামের মাঠ ঘাট , নদী নালা , পশুপাখির ঐক্যতান ব্যতীত দেশের আসল রুপ কখনই ভাস্বর হতে পারে না , এ কথা জোর দিয়ে বলতে গবেষণার ছাত্র হওয়ার দরকার নেই  । গ্রামীণ ভারতের কথা বলতে গেলেই মাঠভরা সবুজের ছয়লাপ ধানজমি , সরষে খেতের  হলুদ ফুল বাগানের সামনে দাঁড়িয়ে প্রকৃতিক সৌন্দর্যের কাছে নত মস্তক হওয়া , দুই মানুষ সমান পাটখেতের  মধ্যে লুকোচুরি খেলবার আস্বাদ , রহিম চাচার পান্তাভাত থেকে শুকনো লঙ্কা নিয়ে সোনা বাগদীর পান্তা খাওয়া । একটি দেশের মধ্যে এ যেন আলাদা আরও একটা স্বদেশ , এখানে আলোর ঝলকানি নেই , আছে কৃষক বাবার মাটি মাখা বুকে সন্তানকে জড়িয়ে ধরার ঈশ্বরিক প্রশান্তি ।  গ্রামীণ সমাজের এই প্রশান্তময় চিত্ররুপের আদলগত কিছুটা বদল লক্ষ্য করা যাচ্ছে । নব্যপ্রজন্ম যাঁরা কৃষক বাবার প্রতিনিধি হিসাবে উত্তরাধিকার বহন করার তাগিদে হালের বলদ নিয়ে ছুটবেন মাঠে , সেই নতুন প...

আমেরিকার রাজপথে ঝুলছে মহম্মদ স. এর বাণী সমন্বিত সাইনবোর্ড ।

ছবি
নোঙর প্রতিদিন ডেক্স :  হযরত মুহাম্মদ স.  সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে রহমত স্বরূপ । পুরো  জিন্দেগীতে তিনি নিয়োজিত ছিলেন মানবতার সেবায় । আজ থেকে প্রায় পনের শত বছর আগে , তিনি পৃথিবীর প্রায় সব বিষয়ের সমাধান দিয়ে গেছেন বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ।  আজ সমগ্র বিশ্ব করোনার কবলে হাবুডুবু খাচ্ছে , প্রথমে চিনি সৃষ্টি হলেও , থেমে নেই শুধু সেদেশে ।  তার দাপট আজ সমগ্র বিশ্বময় ।  ইউরোপীয় দেশগুলো করোনাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।  ইতালি , ইংল্যান্ড , ফ্রান্স , আমেরিকার ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি । প্রথমদিকে মৃত্যু-মিছিল ইতালিতে বার হলেও , এই সময় ইতালিকেও  ছাড়িয়ে যাচ্ছে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র।  আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ দৃশ্য যাপন সকলের নজর কেড়েছে ।  আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে মহামানব হযরত মুহাম্মদ স. এর  উপদেশবলি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে ।  যেখানে বলা হচ্ছে , তোমরা সকলে ভালো করে হাত পরিষ্কার করো ।  যেখানে মহামারী সেই এলাকাতে তোমরা যেও না ।   তোমার এলাকাতে যদি মহামারী হয় তাহলে তুমি তোমরা বেরিয়ে এসো না । মহানবী হযরত...

পাঁচশত মনীষীর জীবনী : প্রথমেই হজরত মহম্মদ স: এর নাম ।

ছবি
সুবোধ চক্রবর্তীর ' পাঁচশত মনীষীর জীবনকথা ' নামক বইটি পড়লাম । ৭৮০ পাতার বৃহৎ গ্রন্থটিতে তিনি সারা বিশ্বের পাঁচশত মনীষীর জীবন ও মহৎ কর্মকান্ড তুলে ধরেছেন । পাঁচশ সংখ্যাটি যেহুতু অনেকটাই বেশি , সেই তুলনায় পুস্তকটির পৃষ্ঠা সংখ্যা সামান্য হওয়ায় , স্বল্পকথায় খোদিত হয়েছে এক একজন মনীষীর মহৎ জীবনাদর্শ । ফলে বিষয়টি একটু খাপ ছাড়া লাগলেও একটি বিষয় ভীষণভাবে হৃদয়ে দাগ কাটলো , পাঁচশত মনীষীর জীবনকথায় লেখক একেবারেই প্রথমে রেখেছেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স:)কে । একজন অমুসলিম লেখককে সাধুবাদ দিতেই হয় , বিশেষত বর্তমান এই অপসময়ে যখন বিশ্বব্যাপী একটা বিরাট সংখ্যক মানুষ ব্যস্ত ইসলামের কুৎসা করতে । ফলত গ্রন্থপাঠের শুভলগ্নেই গ্রন্থকারের প্রতি শ্রদ্ধার উন্মেষ হলো । অত্যন্ত নিরপেক্ষতার সঙ্গেই মহামানব মুহাম্মদ (স:)জীবন , দর্শন এবং মহৎ কর্মগাঁথা  সহৃদয়তার সঙ্গে সুবোধ চক্রবর্তী অঙ্কন করেছেন । শুধু তাই নয় ,অবাক হতে হয় ' ( স:)' ,' (রা:)' ,' (আ:)' , প্রভৃতি সন্মানিক ইসলামিক পদগুলির ব্যবহারও লক্ষ্য করা যায় বইটিতে । দুই'য়ে এবং তিন নম্বর আলোচনায় আছেন   যীশু খৃষ্ট , এবং মুসা( আ:)। ল...

ধুঁকছে পরিযায়ী শ্রমিকরা ! বড়লোকদের দিল্লি নিতে এল বিশেষ বিমান ।

ছবি
নোঙর প্রতিদিন ডেক্স ।  করোনার করাল গ্রাসে সমগ্র বিশ্ব । প্রথম দিকে চিন ও ইউরোপের দেশগুলোতে করোনা থাবা বসালেও পরবর্তীতে ভারত সহ অন্যান্য এশীয় দেশগুলোও করোনা দ্বারা আক্রান্ত হয় । যেহেতু , সে ভাবে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি , তাই লকডাউনই ভরসা । অন্যান্য দেশের মত ভারতেও ঘোষিত হয়েছে লকডাউন । তবে পূর্ব সতর্কবার্তা না দিয়েই লকডাউন ঘোষিত হওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থানরত পরিযায়ী শ্রমিকগণ । তাঁদের হাতে না আছে করবার কাজ , না আছে খাবার । যেহেতু , সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ তাই বাড়ি ফিরবারও কোন রাস্তা তাদের কাছে খোলা থাকছে না । একপ্রকার ধুঁকে মরছে পরিযায়ী শ্রমিকরা । তাঁরা রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকারের কাছে বাড়ি ফিরবার জন্য বারবার আবেদন করলেও , মেলেনি কোন সাড়া । অনেক পরিযায়ী শ্রমিক জীবন বাঁচানোর তাগিদে পায়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরতে উদ্যত হয়েছেন । অনাহারে , ক্লান্তিতে অনেকেই পথিমধ্যই চিরঘুমে ঢলে পড়েছেন । এটি লকডাউনে এখন ভারতে সবচেয়ে চেনা ছবি ।  তবে , লকডাউনের মধ্যই অন্য ছবিও ধরা পড়লো । আমেরিকাবাসি একশজনের কলকাতা থেকে দিল্লি যাওয়ার জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা...

মক্কা ও মদীনার পবিত্র দুই মসজিদে তারাবির নামাজ হবে , এই মর্মে টুইট ।

ছবি
মক্কা এবং  মদিনার কাবা শরীফ এবং মসজিদ নবাবীতে রোজার সময় জমায়েতে নামাজ বন্ধের যে নির্দেশিকা সৌদি প্রশাসনের তরফ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল , সেই নিদেশ থেকে সরে এসেছে সৌদি প্রশাসন । পবিত্র মাহে রমজান চলাকালীন সময়ে স্বল্প পরিসরে তারাবির নামাজের অনুমতি দিয়েছেন বাদশা  সালমান বিন আবদুল আজিজ। বুধবার পবিত্র এই দুই মসজিদের প্রেসিডেন্সির পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। পবিত্র দুই মসজিদ প্রাঙ্গণ হতে  ১০ রাকাত করে তারাবির নামাজ আদায় করা যাবে । শর্ত সাধারণ মুসল্লিগণ মসজিদে প্রবেশ করতে   পারবেন না। শুধু ইমাম ও মুয়াজ্জিনসহ অল্প কয়েকজনকে  নিয়ে তারাবির নামাজ হবে।  করোনা পরিস্থতির দিকে নজর রেখে পবিত্র দুই মসজিদে তারাবির নামাজ বন্ধ রাখার পূর্বে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । তবে ,   গত সোমবার মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববী কর্তৃপক্ষ পক্ষ থেকে এক টুইট বার্তায় জানানো হয় ,   দুই মসজিদে তারাবির নামাজ হলেও , রোজায় এশার নামাজ হলেও কোনো জামাত হবে না। 

করোনা আবহেই , এশিয়ার শীর্ষতম ধনীর তকমা মুকেশ আম্বানীর

ছবি
করোনা আবহেই এশিয়ার শীর্ষ ধনীর তকমা পেলেন মুকেশ আম্বানী । শীর্ষতম ধনীর পদমর্যদা হারালেন চীনের আলি বাবা গ্রুপের জ্যাক মা । গত কয়েক বছরে মুকেশের সম্পদ বেড়েছে ঈর্ষণীয় গতিতে । অন্যান্য শিল্পপতিদের দ্রুত গতিতে তিনি পিছনে ফেলে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন ।  মুকেশ আম্বানীর জিও' র অংশীদারিত্ব কিনলেন জুকারবার্গের সোশাল মিডিয়া কোম্পানি ফেসবুক । ফেসবুক জিও'র নয় দশমিক নিরানব্বই শতাংশ শেয়ার ক্রয় করলো । ফলে , আম্বানীর সম্পত্তির পরিমাণ এই মুহূর্ত দাঁড়ালো , ৩৯ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার । যা আলি বাবা গ্রুপের জ্যাক মা' র সম্পত্তির থেকে ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বেশি ।   ফেসবুক জিও’র স্টক কেনার আগে আম্বানির সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স এই তথ্য জানিয়েছে।জিওর ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ (৫৭০ কোটি) শেয়ার কিনে নেয় ফেসবুক ।  কোনো কোম্পানিতে এটিই তাদের সবচেয়ে বড়বাবিনিয়োগ।  পুরো বিশ্ব এখন করোনা কবলে নিমজ্জিত ।  কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (হু) ১০০ মিলিয়ন মাস্ক সরবরাহ করে আলি বাবা  গ্রুপ। ফলস্বরূপ ,  মঙ্...

বিরোধিতার উপর ভর করে , প্যরোডি বা ব্যঙ্গ কবিতার এক অদ্ভূত জগাখিচুড়ি পাকাতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন পত্রিকার লেখকগণ । লিখেছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
শনিবারের চিঠি ' সাময়িকপত্র বাংলা সাহিত্যের এক বিশিষ্ট সংযোজন । ২৬ শে জুলাই , ১৯২৪ ইংরেজি , বাংলা ১০ ই শ্রাবণ ১৩৩১ খৃঃ পত্রিকাটির পথ চলা শুরু হয় । পরে , সাল ১৩৩৪ এর ৯ ই ভাদ্র নবপর্যায়ে পত্রিকাটি মাসিক সাহিত্য পত্র রুপে প্রকাশিত হতে থাকে ।  পত্রিকাটির সম্পাদক নীরদ চন্দ্র চৌধুরী হলেও , এর মূল পরিচালক ছিলেন সজনীকান্ত দাশ ।পত্রিকাটির কোন বিশেষ আদর্শ ছিল না কিম্বা কোন মহৎ উদ্দেশ্যমুখীও ছিল না এর গতিপথ । মূলত , বিরোধিতার উপর ভর করে , প্যরোডি বা ব্যঙ্গ কবিতার এক অদ্ভূত জগাখিচুড়ি পাকাতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন পত্রিকার লেখকগণ । সমকালীন প্রতিভাধর কবি মানুষদের টার্গেট করতো শনিবারের চিঠি , পরবর্তীতে তাঁর রচনার ব্যঙ্গ প্যরোডি কবিতা রচনা করে , সেই কবি আত্মার কবিত্ব হরণ করবার অপচেষ্টায় শনিবার গোষ্টি ব্যাপিত হতেন । যদিও , বলে নেওয়া উত্তম শনিবারের সজনীরা যে সকল মহাজীবনের পথ রুদ্ধ করবার চেষ্টা করেছিলেন , তাতে তাঁরা বিন্দুমাত্র সফলতা অর্জন করতে পারেননি , বরং এই বিরোধিতায় তাঁদের কবিত্বশক্তিকে আরও বলিষ্ঠ করে তুলেছিল । এই জায়গাতেই সজনীকান্তরা কিছুটা হলেও বাংলা সাহিত্যে অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন ।  ...

নোঙর কবিতার কবি অজিত দত্ত : সমকালীন জীবনের মেঘকৃষ্ণ বন্ধ্যা অন্ধকারের জন্য কবির আক্ষেপ । নৈরাশ্যপীড়িত পৃথিবীতে কবি ক্লান্ত হলেও কবির মনে ছিল রোমান্টিক মনের স্বপ্ন । আলোচনা করেছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
রবীন্দ্রউত্তর কবি অজিত দত্ত , কল্লোল যুগের সাহিত্যিক হওয়া পরও রবীন্দ্র বিরোধী হিসাবে স্বপরিচয় প্রতিস্থাপনে সচেষ্ট হননি । বাংলা কাব্যে তিনি বুদ্ধদেব বসুর সহযোগী হিসাবে আবির্ভূত হন । সমকালীন যুগ যন্ত্রণা , নৈরশ্যের হাহাকার তাঁকে পীড়িত করলেও জীবন বিমুখ করেনি , বরং দুঃখ তাপে পুড়িয়ে তাঁকে জীবনবাদী কবি হিসাবে গড়ে তুলেছে । স্বরস্বত এবং চিরন্তন শ্বাশ্বত কাব্যিক উপাদানকেই তিনি স্বকাব্য শরীরে উপস্থাপনা দিয়েছেন । কবি হিসাবে তিনি ছিলেন ভাবুক এবং রোমান্টিক ।  কাব্য ভঙ্গিমায় তাঁর কথন ছিল ঋজু চালে বিদ্ধ , সহজ সরলতাই আবদ্ধ । ১৯৩০ সালে প্রকাশিত ' কুসুমের মাস ' , তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ । ' কুসুমের মাস ' ছাড়াও তাঁর অন্যান্য নামযোগ্য কাব্যগ্রন্থ সমূহ হল , ' পাতাল কন্যা ' , ' নষ্টচাঁদ ' ,'  পুনণবা ' , ' ছায়ার আলপনা ' , ইত্যাদি ।  হতাশা , নৈরাশ্য ও জীবন গল্পের অন্যান্য অপদিক কবিতায় আনয়নের পাশাপাশি তিনি অন্য সকল রবীন্দ্রউত্তর কবিদের মত প্রেমের কবিতা লিখেছেন । প্রেম , রোমান্টিকতা ও সৌন্দর্যের বাস্তব ও পরাবাস্তবতা তাঁর কবিতার প্রাণ । প্রত্যেক কবি মান...

রবীন্দ্রোত্তর কবিদের চোখে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ।

ছবি
রবীন্দ্র সমীপেষু ।  বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ সমীপেষু , বাঙালির সর্বকালিক অভিভাবক । তবে শুধু বাংলা ভাষী নন , সমগ্র ভারতবর্ষের গৌরব সূর্য তিনি , অহংকারের পূর্ণচন্দ্র । রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করবার দুঃসাহস বাঙালি আজ অব্দি দেখাতে পারেনি , তবে কি রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করবার আস্ফালন বাংলা সাহিত্যে ঘনীভূত হয়নি ? হয়েছে , তবে সে প্রচেষ্টা নিতান্ত কাঁচা এবং এলেবেলে সদৃশ অপরিপক্কজাত । মোহিতলাল মজুমদার , ডি .এল রায় প্রমুখ সাহিত্য মানস সমালোচকগণ রবীন্দ্র ত্রুটি সমন্বিত ইস্তাহার রচনায় প্রয়াসী হয়েছিলেন , তাঁরা রবীন্দ্রসাহিত্যকে ভাবের সাহিত্য বলেই আখ্যায়িত করেছিলেন , যদিও তাঁদের এ অভিযোগ নিঃসন্দেহভাবে অমূলক কিম্বা ঈর্ষাজনিত হতে পারে । পাঠক , কল্পনা করুন তো , ' চোখের বালির ' বিনোদনী ' নামক চরিত্রটির বিনির্মাণগত আদলের কথা । উল্লেখিত , ওই চরিত্রটির মত বাস্তবের মাটিতে হেঁটে বেড়ানো চরিত্রগত আদল শুধু বাংলা সাহিত্য কেন , বিশ্বসাহিত্যেও বিরলতম । আকাল বৈধব্য বিনোদ , কপাল দোষে পতিপ্রেম জোটেনি তাঁর , তাই মহেন্দ্রের স্ত্রীর পতিপ্রেমকে সে ঈর্ষার চোখে দেখছে । কাহিনীর এমন মনস্তাত্বিক মোচড় সমা...

' মনসা মঙ্গল 'কাব্য মনসার পূজা প্রতিষ্ঠার হলেও , গল্পে নায়কোচিত ভূমিকায় প্রতিষ্টিত চন্দ্রধর বণিক । লিখেছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি ॥

ছবি
বাংলা সাহিত্যের আদিমতম নিদর্শন চর্যাপদ , এ বিষয়ে এই মুহূর্ত তেমন কোন সন্দেহ নেই ।  সাহিত্যের গতিপথ এই যে মানুষের গণভাবনা ও সুখ দুখের গল্পে  আবর্তিত হচ্ছিল , সেই আদলের কিছুটা বদল আমরা মধ্যযুগে এসে লক্ষ্য করি । অর্থাৎ গণ মানুষের গণ ভাবনা , স্বজীবনের গল্পকথন পূর্ব বাংলা সাহিত্যে প্রতিষ্টিত থাকলেও , মধ্যযুগে এসে তা রাতারাতি দেব ভাবনার রুপ নিল । বিষয়টি আরও ঋজু করে উপস্থাপন করা দরকার । চর্যার সময় এবং তৎসমকালীন সময় পর্বে বাংলা সাহিত্যকারগণ মানুষের কথা বললেও , এ পর্বে মানুষ হঠাৎ করে গৌণত্বে পরিণত হল । দেবতারা এ পর্বে মুখ্যরুপে আবর্তীত হলেন । মানুষের গল্প নেই , এমন বললে সত্যের অপলাপ হবে । হাঁ , মানুষের গল্প আছে , তবে যৎসামান্যই । সে মানুষ স্বস্বাধীন সত্ত্বার অধিকারী নন , তাঁরা ঈশ্বরের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত । ঈশ্বরের মর্জিমাফিক যেমন রুদ্ধ হয় তার পথ চলা , তেমনি আবার ঈশ্বরের মতেই উন্মুক্ত হয় তাঁর গতিপথ ।  যায়হোক , মধ্যযুগীয় এই যে ধারা , যেখানে দেব প্রধান , এই ধারা সাধারণত'  মঙ্গল কাব্য ' নামে সমধিক পরিচিত । মঙ্গল কাব্যের যে দেবগণের নামকীর্তন কবিগণ করেছেন , তাঁরা মূলত মর্ত্...

দুর্ভিক্ষ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে , সেই সময় পর্বের গল্প এটি । গল্পটি মৃত্যুঞ্জয়ের গল্প । লিখছেন আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

ছবি
মানিক বন্দোপাধ্যায় সমীপেষু ।  লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় সমীপেষুর  একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোট গল্পের নাম , ' কে বাঁচে , কে বাঁচায়' ।  গল্পটির প্রেক্ষাপট দুর্ভিক্ষ পীড়িত সময়ের ।  আমরা জানি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্যবাদী ভাবধারার মানুষ । সমাজের যেকোনো অন্যায় এবং বৈষম্যের বিপক্ষেই বরাবরই তার অবস্থান । এ গল্পটি একটি মৃত্যু কালীন সময়ের প্রেক্ষাপটে রচিত । দুর্ভিক্ষ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে ,  সেই সময় পর্বের গল্পটি এটি । গল্পটি মৃত্যুঞ্জয়ের  গল্প ।  গল্পটির বিষয়ের মধ্যে যদি আমরা প্রবেশ করি , সেখানে দেখব গল্পের এক্কেবারে প্রথমেই মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ,  লিখলেন ' সেদিন আপিস যাওয়ার পথে মৃত্যুঞ্জয় প্রথম মৃত্যু দেখল । '  বলাই বাহুল্য , এ  মৃত্যু অনাহারে মৃত্যু । যদিও এতদিন এমন সামনাসামনি ফুটপাতে মৃত্যু দেখেনি সে ,  ফুটপাত দিয়ে হাটা তার বেশি হয় না ।  বাড়ি থেকে দু পা গেলেই ট্রাম ,  সেখান থেকে একেবারে অফিসের দরজায় নামে সে । আজ যে মৃত্যুটা মৃত্যুঞ্জয় দেখল , সে মৃত্যুর কথা ভুলতে  পারে না সে । কয়েক মিনিটে...

বাংলা সাহিত্যের একশত পাঠযোগ্য বই , যেগুলো আপনাকে সমৃদ্ধ করবে ।

ছবি
শেষ নমস্কার- সন্তোষ কুমার ঘোষ  হাঙ্গর নদী গ্রেনেড- সেলিনা হোসেন আবু ইব্রাহিমের মৃত্যু- শহীদুল জহির  আয়না- আবুল মনসুর আহমদ ক্রান্তিকাল- প্রফুল্ল রায় কেয়া পাতার নৌকা- প্রফুল্ল রায় জীবন আমার বোন- মাহমুদুল হক ক্রাচের কর্নেল- শাহাদুজ্জামান ১৯৭১- হুমায়ূন আহমেদ দেয়াল- হুমায়ূন আহমেদ পরিনীতা- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ।উত্তম পুরুষ-রশীদ করীম ঈশ্বর পৃথিবী ভালোবাসা- শিবরাম চক্রবর্তী শতকিয়া-সুবোধ ঘোষ তিস্তাপারের বৃত্তান্ত- দেবেশ রায় নীল দংশন – সৈয়দ শামসুল হক  কুকুর সম্পর্কে দু একটি কথা যা আমি জানি- সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় । অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী- আহমদ ছফা । ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল – হুমায়ুন আজাদ  শুভব্রত ও তার সম্পর্কিত সুসমাচার, রাজনীতিবিদগণ -হুমায়ুন আজাদ ১০,০০০, এবং আরো একটি ধর্ষণ – হুমায়ুন আজাদ  নভেরা- হাসনাত আবদুল হাই দুচাকার দুনিয়া- বিমল মুখার্জী চাকা- সেলিম আল দীন হার্বাট- নবারুণ ভট্টাচার্য  নীলকন্ঠ পাখির খোঁজে- অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় ন হন...