পোস্টগুলি

জুন, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তুই আমি আর একগুচ্ছ নির্জনতা - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
তোকে পেতে চাই , একান্ত নিজের করে দেহ - মন সহ আস্ত মানুষ রূপে । তোকে উজাড় করে দিতে চাই , নিজেকে নিংড়ে শেষ রসটুকু পর্যন্ত । তোর সঙ্গে কাটাতে কাটাতে চাই একটু ক্লান্ত সময় ,মর্ত্য পৃথিবী হতে বহুদুরে........ তুই আমি আর একগুচ্ছ নির্জনতা !

মৃত্যু মিছিলে চাপা কান্না - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
 যন্ত্রনার কালিমাখা সময়ে   গণকবরের গর্ভে প্রতিধ্বনিত হয়  শতাব্দীর যুগ যন্তনা    অসহ দহন আর জাতপাতের খেলা ।  ৈবকালী সূর্যের রক্তিম আভা    আর কুয়াশার দীর্ঘশ্বাসের অন্তরালে    চাপা পড়ে মানবতা !

ঈদ মোবারক

ছবি
                            নোঙর Web Magazine এর পক্ষ হতে সবাইকে                             পবিত্র ঈদ মোবারক ।নোঙরের পক্ষে                                                   সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।                রমজানের ঐ রোজার                শেষে এলো খুশির ঈদ                                    ঈদ মোবারক 

কল্পনার সীমানা পার - নাসিরুদ্দিন

আকাশ যেথা লুটিয়ে পড়ে, খোলা মাঠের শেষে। মন ছুটে যায় অমন কোথাও, অজানা কোন দেশে। যেখানেতে সাগর শেষে, সূর্য ডোবে একা। অমন কোথাও স্বপ্ন যোগে, নীলপরী সাথে দেখা। যেখানেতে রাতের শেষে, সূর্য মারে উকি। অমন কোথাও নুপুর বাজায়, হাপ হারা কোন খুকি। যেখানেতে মরুর মাঝে, দৃষ্টি মানে হার। রুপসী কোন বধুর সাথে, মিল দেওয়া খুব ভার। যেখানেতে কল্পনাটা, মরীচিকায় শেষ। সেথাও আমি দিব‍্যি দেখি, আলসে মেয়ের কেশ। কল্পনা আর বাস্তবেতে, যেথায় করে খেলা। সেথায় কলম যেতে চাই বসায় ছড়ার মেলা

ক্রমশ.... : আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
যুগযন্তনা.... কিছুতেই মেরুদন্ড সোজা করতে পারছি না ! .. .. ক্রমশ হতাশা বাড়ছে চেনা পৃথিবীটা চোখের সামনে অচেনা হয়ে যাচ্ছে !

কষ্টের ফেরিওয়ালা - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
বিষন্নতা ,আকণ্ঠ নিমজ্জিত হৃদয়ের গভীরে কষ্টের পাহাড় ছোট বড় - চাঁই চাঁই কষ্ট...... কষ্ট চাই আপনার ? কষ্ট ফেরি করি আমি ঋতুস্রাব এই ধরায় !

হায়রে মানবজীবন - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
অপকর্ষতার কাদামাটিতে                     মানুষিক ভাবে এখন আমার অবস্থান , হৃদয়ের মাঝে                    হুঙ্কার দিচ্ছে এক রাক্ষুসে নদী ! বুকের রক্ত অশ্রুকণা হয়ে                     ভিজিয়ে দিতে চাইছে দেহনদীকে , হায়রে মানবজীবন                    নিজের তরে কতদিন থাকবি তুই মজে !

ধর্ম দুরে থাক - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
জানি না , কতদিন বাঁচব... বেঁচে আছি , তাই বড় বিস্ময় ! হারিয়ে যায়নি এখনও , মানুষ্যত্ব বিকিয়ে গলগ্রহ হয়নি সেটায় বড় সান্ত্বনা ।                      পৃথিবীটা বিবর্ণ ,একটা রঙই                        প্রকট                        রক্ত ,রক্তের রঙ লাল !                        রক্ত চাই ,রক্ত । রক্তের বদলে রক্ত  নয় সমাধান ,তোমার  পাশে আমাকে পাবে বিপদে সহদর ।                                 ধর্ম আজ দুরে থাক ।                         

ক্রসিং - রজত ঘোষ

ছবি
পাশাপাশি দুটো রেললাইনের মত          এগিয়ে চলেছে আমাদের সম্পর্ক                    এক একটা ক্রসিং আসে ,আমরা দুজন দুজনকে কাটাকুটি করি আবার এগিয়ে চলি আগের মত - সমান্তরাল,অনুভূমিক। ওভারহেড তারে এসে আটকে যায়  একটা ভোকাট্টা ঘুড়ি । ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে রাত নামলে আমরা                 পাশাপাশি শুয়ে চাঁদ দেখি নিজেদের মনে করি অরুন্ধতী - কালপুরুষ যাদের উৎস এক ।গন্তব্যও এক । শুধু মাঝের জীবনটার মানে           ভোকাট্টা ঘুড়ির দিকে তাকিয়ে থাকা আর , অন্তহীন অপেক্ষা ,পরবর্তী ক্রসিং এর - জন্য ।                                                      

ইমরোজ সোহেলের ধারাবাহিক কলাম : প্রেম সিরিজ

ছবি
প্রেম ১. নন্দিত ওই হাতের চাবি তোমার-----আমায় দেবে? একটুখানি খুলতে যদি পারো তোমার শূন্য ঘর এখনও কেন আমাকে ভাবছো পর? ঠোঁট চিনেছি,অনামিকার তিলের মতো মিষ্টি কথার ঝড় চিনেছি পায়ের পাতার চিহ্ন ছুঁয়ে দূরে যাওয়ার মন্ত্রটুকু, তাও শিখেছি, এখন আমায় কে আটকাবে? পিছুটানের অর্ঘ্য দিয়ে নৈবদ্য কে সাজাবে? আমি এখন পায়রা হবো মেঘের থেকে জল উপড়ে এনে তোমাকে দেবো, তোমার আগুন নিবিয়ে দেবো এক পলকে আর দেরি নয়,লক্ষি মেয়ে হাতটি ধরো লকলকে ওই হৃদয় দিয়ে একটুখানি আমায় পড়ো! লেখাটি টাইপ করেছেন পবিত্র পাত্র এবং এডিটিং করেছেন সম্পাদক :আরিফুল ইসলাম সাহাজি ।

বৃষ্টিতে ধুয়ে যাক সব - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
আকাশে মেঘের ঘনঘটা অন্ধকারে নিমজ্জিত ধরা                           বিদ্যুতের ঝলকানি হৃদয়ে                            জাগায় ভয়, এই বুঝি বজ্রপাত হয় ! জানলার ধারে বসে কবি আকাশপানে তাকিয়ে রয় ,                              হিমগর্ভ কবরের পাশে                               শতাব্দীর পাপ বৃষ্টিতে ধুয়ে হোক আজ ছাই ।

অভিমান গুলো মাপবে বলে - পবিত্র পাত্র

ছবি
অভিমান গুলো মাপবে বলে,রাতের সাথে সন্ধি করে দু-নয়ন... মেঘ পিয়নের চিঠির বাক্সে,জমা হয় দিনযাপনের চিরকুট,, হিমেল কালবৈশাখীর পাখনায়,অবিভাবক হারায় জৈষ্ঠের আম, ঘর্মাক্ত লোমকূপে জমে ওঠে, গত রাত্রের গ্লানি আর অনুভব। নিরুদ্দেশের বাঁকে,কল্পনার ক্যানভাসে,পথ ভুলে যায় প্রেম.... বৃষ্টিভেজা জানালার গন্ধ মেখে,এভাবে কী অভিমান মাপা যায়.... .

উদ্ধৃতি - হাফিজুল মন্ডল

ছবি
জনতার ভিড়ে দাঁড়াচ্ছি রোজ তোমাকে দেখবো বলে কাঙ্খিত দর্শনের আকাল আজ। মনে পড়ে ছেলেবেলা দিন,আর আমচু খেলার আমের বাগান? বিবাদ নেই,ঝরে পড়া আম নিয়ে দিন গুনছি আম নিয়ে এভাবে দিন গুনতে গুনতে, শুকনো আমের সাথে পড়ে থাকে আস্ত জীবন। ধূসর আমগাছ গুলো এখন ধূসর, ধূসর জীবন স্মৃতি; কেবল যন্ত্রনার গান আজ শান্তনার উদ্ধৃতি।

নোঙর :Web Magazine এ নিয়মিত কলম ধরছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট এবং জনপ্রিয় কবি ইমরোজ সোহেল

ছবি
বিশিষ্ট ও জনপ্রিয় কবি ইমরোজ সোহেল তাঁর ধারাবাহিক প্রেম সিরিজ নিয়ে আসছেন আমাদের Web Magazine  এ :সম্পাদক   ইমরোজ সোহেলের কবিতা পাঠরত অবস্থায় জীবন্ত কিংবদন্তি হাসান আজিজুল হক আর কিংবদন্তি কবি আবুবকর সিদ্দিকী

অলৌকিক গল্পগুচ্ছ - মুহম্মদ মতিউল্লাহ

ছবি
খুব ইচ্ছে তোমাকে যাকিছু শোনাব সব হবে লৌকিক গল্প মানুষের পাশাপাশি আর একটা মানুষের হেঁটে যাওয়া কিন্তু এই অনন্ত আকাশ আর আলো অনিঃশেষ রাস্তার ভেতর নিরন্তর যাওয়া আসা দুরত্বের মাঝখানে বেজে ওঠা অশ্রুত ধ্বনি সমস্ত কিছু তোমাকে ছোঁয়ার শেষে ঈশ্বরের একাকিত্বের মতো বেজে উঠছে । ফলত , আমার কোন লৌকিক গল্প হল না ।

শুধু তোর জন্য - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
ধরুন , আপনি হারিয়ে গেছেন সাহারার বুকে তপ্ত অগ্নিপ্রায় বালুকা আপনার মস্তিষ্কের ঘেলু দিয়ে হলদিরামের বাটার বানাতে চাইছে , আপনি কি দাঁড়িয়ে থাকবেন মরু ঝড় তাণ্ডবের মাঝে , যদি কেউ মেহেন্দি পরে আপনার অপেক্ষায় থাকে ! ধরুন , শঙ্করের আফ্রিকা সঙ্গী আলভেরেজ আপনি , বিপদ সঙ্কুল আফ্রিকার জঙ্গলে আপনি আর শঙ্কর বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন ! মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে আপনি কি পারবেন একাকি সমুদ্র পারি দিতে ! যদি মেহেন্দি পরে কেউ আপনার অপেক্ষায় থাকে । ধরুন , আপনি রণক্লান্ত সিপাহী সামনে শত্রু শিবির পালাবার পথ নেই ! আপনি কি পারবেন শত্রুর গোলার মুখে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে ! যদি কেউ মেহেন্দি পরে আপনার অপেক্ষায় থাকে । হয়ত পারবেন , আপনার প্রেম আপনাকে সে শক্তি দেবে ! তবুও আপনি বাঁচতে চাইবেন ,       শুধু ,শুধুমাত্র তার জন্য ।

নোঙর : একটি কবিতা চর্চামূলক Web Magazine

ছবি
সম্পাদক : আরিফুল ইসলাম সাহাজি 

শুধু কবিতার জন্য - অমিত কুমার মাইতি

ছবি
শুধু কবিতার জন্য বেঁচে থাকা এমনটা ভাবিনি কক্ষনো । জীবনের এই জলসাঘরে দেখেছি কত যে নাচ ! শুধু কি তাই ,শুনেছি কত গান : হাসি -আনন্দ -আর বিষাদ ! তারপর সব শেষ , তবলা ,বীণা ,পাখোয়াজ ধূলিমলিন হয়ে পড়ে আছে এককোনে ;নূপুর ধ্বনি মিলিয়ে গেছে কোন অতলে , চাপা কান্নার রোল ধ্বনিত হয় ফাঁকা ঘরে । জানি সব অংক মিলেছে একখানে সব উত্তর হয়েছে শুন্য , তবু আজও বেঁচে থাকা শুধু শুধু কবিতারই জন্য ।

মৃদুল দাশগুপ্তর ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতাটি রক্তাত্ব সময়ের জ্বলন্ত দলিল - আলোচক আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
বাংলা সাহিত্যের বর্তমান সময়ের কবিবর্গের মধ্যে মৃদুল দাশগুপ্ত একটি বিশেষ নাম । সাংবাদিক কবির ক্রন্দনতা জননীর পাশে নামক আলোচ্য কবিতাটির আধার হয়ে উঠেছে 2011 সালের জ্বলন্ত বাস্তব ,আমাদের রাজ্যের অগ্নিগর্ভ রূপ । পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে 2006-2011 সাল একটি উল্লেখ্য অধ্যায় - এ সময় খবরের শিরোনামে উঠে আসে হুগলি জেলার সিঙ্গুর ।শিল্পসংস্থা  টাটা গ্রুপ সেখানে গড়তে চাই মোটর গাড়ি কারখানা ;এগিয়ে আসে সেই সময়ের ক্ষমতাসীন বামফ্রন্ট সরকার । সিঙ্গুরের জমি একফসলি তকমা দিয়ে শুরু হয় জোরপূর্বক অধিগ্রহণ ।শুরু হয় চাপান উতোর ,ক্ষোভে ফেটে পড়েন কৃষকরা ,বিপক্ষ রাজনীতিক দল কৃষকদের পাশে দাঁড়ানই কৃষকদের মনোবল বৃদ্ধি পায় ।নন্দীগ্রাম ,সিঙ্গুর গণহত্যার প্রতিবাদে পথে নামেন বুদ্ধিজীবী গণ । ক্রন্দনতা জননীর পাশে নামক কবিতায় কবি মৃদুল এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখে চিত্রিত করেছেন অগ্নিগর্ভ একটি সময়কে ।কবি একজন সমাজসচেতন ,সাংবাদিক মানুষ ;সমাজের অনাচার তুলে ধরাই তাঁর কাজ ;একি সঙ্গে তিনি মানব দরদী কবি :তাঁর বিবেকবোধ সবসময় জাগ্রত ,তাই বাংলার এই অগ্নিগর্ভ রূপ দেখে তিনি চুপ থাকতে পারেননি - ছুটে গেছেন সিঙ্গুর ,নন্দীগ্রাম ,প্রশ্ন করে...

রবীন্দ্র সাহিত্যে বাস্তবতা ,অনুশ্রুত জনমানবের নগন্য উপস্তিতি এবং সমাজ সচেতনতা বিষয়ক আলোচনা - আলোচক আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
প্রথমেই বলি এই অনুদীর্ঘ পরিসরে সমগ্র রবীন্দ্র সাহিত্যকে ধরা শুধু কঠিন নয় ,অসম্ভব ।তবু ,স্বল্প সময়ের পরিসরে নিজ অধ্যয়নের সীমাবদ্ধতা সামনে রেখে সাহিত্য বিষয়ক এই আলোচনায় রবী ঠাকুরের অবদান সম্পর্কে দুই এক কথা বলবার প্রয়োজন অনুভব করছি । আমরা সকলে জানি বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে বড় তারকা হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।আলোচনায় অগ্রসর হওয়ার পূর্বে বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে কিছু ধারণা থাকা দরকার ।আমরা জানি 1907 সালে নেপালের রাজদরবার থেকে উদ্ধার হওয়া জীর্ণ পাণ্ডুলিপি "চর্যাপদ "বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন ।পরে চণ্ডীমঙ্গল ,মনসামঙ্গল ,ধর্মমঙ্গল ,প্রভৃতি অতিরঞ্জিত বইয়ে অহেতুক দেব মহত্ব ,এবং তারপরে রামপ্রসাদ ,কমলাকান্ত এর হাতে সৃষ্ট ভক্তি গীতি পেরিয়ে আরাকান রাজসভার দুই মুসলিম কবি দৌলত কাজী ও আলাওলের কাছে সর্বপ্রথম শোনা যায় মানুষের জয়গান ।এরপর আবির্ভূত হন মধ্যযুগিয় শক্তিশালী কবি রায়গুনাকর ভারতচন্দ্র ,তাঁর অন্নপূর্ণা ঈশ্বরী পাঠনী ,বির্দসুন্দোর এর মধ্য দিয়ে সাংবাদিক কবি ঈশ্বর গুপ্তিক পর্বের সমাপনের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যের জয়পতাকা এসে পৌঁছায় মহাকবি মাইকেল মধুসূদন এর কাছে ।মাইকেলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ব...

শঙ্খ ঘোষের "আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি "- বিপন্ন মানুষের অস্তিত্বের সঙ্কট : আলোচক আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
রবীন্দ্রউত্তর বাংলা সাহিত্যের একজন সেরা তারকা হলেন কবি শঙ্খ ঘোষ ,তাঁর একটি স্বরণীয় কবিতা "আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি ",যেখানে প্রধান হয়ে উঠেছে মানুষের অস্তিত্বের সঙ্কট । কবিতার প্রথম স্তবকের প্রথম চারটি চরণে কবি মানুষের অসহয়তার রূপকল্প ফুটিয়ে তুলেছেন ।নেচার এর কাছে মানুষ কত অসহায় তা বোঝাতে গিয়ে কবি লিখছেন - "আমাদের ডানপাশে ধ্বস /আমাদের বাঁয়ে গিরিখাত ",তবে শুধু নেচার নয় ;তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যুদ্ধউন্মাদ মানুষের ভয়াল রক্তচক্ষু ,তাই মাথার উপর দিয়ে উড়ে যায় যুদ্ধজাহাজ :সেখান থেকে নেমে আসে মৃত্যুর করালগ্রাস । কবিতার দ্বিতীয় স্তবকে কবি যুদ্ধপীড়িত মানুষের পথহীনতার ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন ;দেখিয়েছেন ধ্বংশের ভয়ংকর রূপ ।কবির ভাষায় - "আমাদের শিশুদের শব /ছড়ানো রয়েছে কাছে দুরে ।" কবিতার তৃতীয় স্তবকে প্রকাশ পেয়েছে মানুষের মৃত্যু ভয় ,হৃদয়ে জেগে উঠছে শঙ্কা :আমরাও এভাবে মরে যাবো না তো !তাই বড় হয়ে উঠেছে পরস্পর এর সঙ্গে জোট বেঁধে থাকবার বাসনা ।বিশ্বকবি ঋষি রবীন্দ্রনাথ বিসর্জন নাটকের একজায়গায় বলেছিলেন - "আয় ভাই........./আরো কাছাকাছি সবে বেঁধে বেঁধে থাকি " আসলে ,স...

বিষ - ইমরোজ সোহেল

ছবি
কিছু বিষ লুকিয়ে রেখেছি পেটে ,উগরে দিতে চাই সভ্যতা হাত পেতে আছে ,আমি হেঁটে হেঁটে তার দিকে যাবো কিছু বিষ আমি ঝুলি থেকে বার করে তাহাকেও দেবো প্রতিদিন জন্ম হয় বিষ থেকে বিষের বাছুর , হাম্বা হাম্বা ডাকে , দুধের বদলে আমি তাকে বিষ দিয়ে করি আপ্যায়ন সাপ কাছে আসে ,তাকে বলি , বিষ খেয়ে থাক পাপ কাছে আসে খালি হাতে ,তাকে বলি তোকে আজ কিচ্ছু দেবো না ,অভুক্ত কাকের মত কা কা বলে ডাক ! বিষের থালায় অমৃত ঢেলে দেবো কিছু বিষ আর অমৃত মিলে মিশে আর একবার হবে একাকার , দুধের সাথে কি কভু কাঁচা লঙ্কা মেশে ? আগুনের সঙ্গে জলের আজন্ম শত্রুতা ,জেনেছে আঁধার , একথা সাতজন্ম সাধনার পর আমিও জেনেছি শেষে তুমি প্রতিদিন কাছে আসলেও থেকে যাবে পর !

রবীন্দ্র কবিতা রূপনারানের কুলে - আলোচক আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
বাংলা সাহিত্যের সব চেয়ে বড় তারকা হলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।তাঁর অসংখ্য কবিতাবলির মধ্যে একটি স্বরণীয় কবিতা হল 'রূপনারানের কুলে'।কবিতাটির রচনাকাল 13ই মে ,1941 আর মনীষী রবীন্দ্রনাথের মহাপ্রয়ান 7ই আগস্ট 1941 ,বস্তুত জীবনের শেষ প্রান্তে উপনীত রবী কবি জীবনরূপ অস্তায়মান সূর্যের লালচে আলোয় এঁকেছেন বাস্তবের নির্মম জলছবি । বিজ্ঞ রবীন্দ্রনাথ জীবনের শেষ সময়ে এসে জীবনকে দেখেছেন নানারূপে ।কবিতাটিতে রূপনারাণ কিম্বা তার কুল ,শব্দ বলতে কোন নদীকে বোঝাননি ,রূপনারাণ বলতে বুঝিয়েছেন রূপময় বাস্তব জগত ,যা প্রাণময় প্রবাহ ।এ প্রবাহ চিরন্তন ,একি সঙ্গে তা কঠিন ও ।মনীষী রবীন্দ্রনাথ নিজের অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে অনুভব করেছেন জীবনের মূল অভিপ্রায় :সর্বপরি জগত সংসারে হিংসা ,দ্বেষ ,হানাহানি ,রক্তচক্ষু আস্ফালন এ সবের মধ্যেই তিনি বাস্তব জীবনকে । কবির মনে হয়েছে ,এ জগত কঠিন হলেও জ্বলন্ত বাস্তব -তা স্বপ্ন নয় ,তা কাউকে প্রতারিত করে না কিম্বা বঞ্চিত করে না ,তাই প্রজ্ঞ কবির মনে হয়েছে এ বাস্তবকে মেনে নিয়েই কঠিনকে ভালবাসলাম ।আসলে এ বাস্তব অনুভূতি লাভ মানুষকে কৃতজ্ঞ করে নেচার এর কাছে ;আর এ কৃতজ্ঞতা বা ঋণশোধ এর শ...

আমি কবি নই - কিশলয় জানা

ছবি
আমি কবি নই ছন্দরা নির্বাসন দিয়েছে আমায় , কোন চাঁদ ,কোন তারা ,কোন পঞ্চশর দগ্ধ করেনি আমার হৃদয়... ভোরের আলোয় নয় ,আকণ্ঠ অন্ধকারে নিমজ্জিত আমি ;কোন মায়াবী কলম নেই আমার অপেক্ষায় আমি শুধু সময়ের প্রতিলিপিকার নিয়ত যে মরে গিয়ে এই বেঁচে থাকা নিয়ত যে বেঁচে থাকে কেবলই মরে চলা আমি তার ভাষ্যরচক.... আমি কবি নই আমার ভূজপত্র জুড়ে  শুয়ে থাকে সময়ের শব রক্ত আর ঘাসের আখ্যান

আমাদের আজকের কবি : বিকাশ দাশ

ছবি
রক্তরাগ  এবং যতটুকু জীবন ছিল পুরানো তার দুপাশে পলাশ রেখো নিরাময় । খোসার মত ছাড়িয়ে নাও সমৃদ্ধি ; আমাদের নির্মাণ মুখর স্তব্ধতা । এখানে কেবল সন্ধ্যা নামে জলে পেচ্ছাবের মত ;পতাকায় মোড়া একটা মিছিলের হেঁটে যায় দিন । লাইট পোস্টে হেলান দিয়ে সভ্যতার গায়ে হিসি করে দেয় এক বেহেড মাতাল । আমাদের আলোটুকু চলে যায় ইতরের দখলে !

উপড়ে ফেলা হোক - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
পেরেকের মত গেঁথে নিয়েছে শরীর , অতিরিক্ত মাংসপিণ্ড ময়দার দলা লুচি সেঁকার জন্য প্রস্তুত হোক : জীবন্ত পোস্টমর্টেম , নিন্মগে রক্তস্রোত । যে শরীরে সৃষ্টি ,সেই শরীরী ভোগ : আর কতকাল , ফাঁসি নয় ;  উপড়ে ফেলা হোক ওদের নারী নিগ্রহের যন্ত্র ।

একটু মন্দ হলে - পবিত্র পাত্র

ছবি
আমি ইনস্টলমেন্ট এ আদর কিনেছিলাম.... খরস্রোতায় , তোকে প্রেম পাঠাবো বলে ; আমি পশমের বুকে শরীর এলিয়েছিলাম... চুপিসারে তোর গন্দ মাখব বলে । আমি রাতের সাথে সন্ধি করেছিলাম.... ভোরের সপ্নে তোর মুখটি দেখব বলে , আমি উঠান জুড়ে বৃষ্টি চেয়েছিলাম.... মেঘলা ছাতায় শুধু তুই আসবি বলে । আমি ত্রিকোণমিতির সুত্র শিখেছিলাম.... বারান্দা ভর্তি ইচ্ছে মাপব বলে , তাই লাজুক পথে কি আর হবে বল..... আজ দুজনে একটু মন্দ হলে....

নামহীন একটি কবিতা - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
চাটুকার বৃত্তি করতে পারিনি কোন দিন , অসহায়ের মত দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেছি , এগিয়ে গিয়ে কোন দিন বলিনি কেমন আছেন ? অহেতুক ,বাহবা দিইনি কোনদিন , ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়েছি স্তাবকের মত সুবিধা পাওয়ার আশায় বলিনি - পারেন সাহেব আপনি ? নিজেকে জাহির করতে পারিনি কোনদিন , ভিড়ের বাসে কিম্বা অটোতে অযাচিত ভাবে বলতে পারিনি - কিছু বিষয় আমি বেশ ভাল পারি ! নিজের দুঃখ গুলো কোনদিন পাবলিক হতে দিইনি ,আদরের বোনটার চিরতরে চলে যাওয়ার দিন ও ডুকরে কেঁদে উঠতে পারিনি ! অনেক না পারার মাঝেও চিরদিন নিজের কাছে সত্ থাকার চেষ্টা করেছি ।

অশ্রুগাথা - তনিমা গাঙ্গুলী হাজরা

ছবি
মুঠোভরা একগোছা মেঘ     হটাত্ কখন হারিয়ে গেছে , যেমনি করে হারিয়ে গেছিস   আচমকা তুই খুব সহজেই..... মৃত্যু এখন ঘিরে আছে           সম্পকের রোমে রোমে কান্না এখন জমে আছে           ঘাসের গায়ে শিশির হয়ে একটু বাদে রোদ উঠলে           সেটুকুন ও শুকিয়ে যাবে , লুকিয়ে যাবে এক্কেবারে মাটির   গোপন বুকের ভিতরে । আর পাবি না আমায় তুই           হাজার খুঁজে , মুখোশ পরে নেব                       তখন সুযোগ বুঝে , যেন আমি বুঝিনি ঠিক               কখন যে তুই হারিয়ে গেছিস । যেন আমার সব কিছু                  ঠিক আগের মতই অচেনা এক মুখ রয়েছে               চেনার মতই ক্ষতের ভিতর আরক্ত                   এক কান্না খেকো হাসিমুখে তুলছে যা সব         ...

পবিত্র রমজান উপলক্ষে প্রতিদিন আমরা একজন করে কবির কবিতা প্রকাশ করব - আধুনিক বাংলা কবিতা

ছবি
পবিত্র রমজান উপলক্ষে আমরা প্রতিদিন আমাদের আধুনিক বাংলা কবিতা Web Magazine এ একজন করে কবির কবিতা প্রকাশ করব ।ইতিমধ্যে 3 টি কবিতা প্রকাশিত ।আপনিও লেখা পাঠাতে পারেন - আমাদের mail id - arifulraipur00@gmail.com mail body তে নরমাল টাইপ করে দেবেন ।

নিজেরই বিশেষ্যপদ - তৈমুর খান

ছবি
কয়েকটি ছোবল শুধু ,চারিপাশে ফণা দুলে ওঠে ক্ষতগুলো ঢেকে রাখি আরক্তিম সন্ধ্যায় তবু রক্ত ঝরে নিজেরই বিশেষ্যপদ - সামাজিক , অথবা গৃহপালিত , কেন সে আকাশে ওড়ে , অথবা কাঁপে বোধিকল্প জ্বরে ? বিহ্বল পড়শির কাছে স্বপ্ন চাই স্বপ্নে এক বাদামি শরীর শরীরে স্রোতের টেউ আর আরশিজলে নাসিসিজম ! উপরন্তু প্রাচীন চাঁদ সহজিয়া জোছনা বিলি করে বোঝেনা প্রবৃত্তিসাধ কেমন মাছ হয়ে ডুব মারে জলে কয়েকটি ছোবল শুধু ক্ষত করে রাখে সমস্ত জীবনইচ্ছাকে.....

একটুখানি ডিটারজেন্ট ধার দিতে পারেন - আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
দেহ যেন ময়লার পাহাড় , ভাল করে গোসল করিনি বহুদিন ;নাভি ,বগল ,কুঁকচিতে  জমেছে মোটা আস্তারন , মা বললেন সাবান দিয়ে ঘষে নে ! পৃথিবীটাও আমার দেহের মত ময়লাস্তূপে পরিনত...... কি সাবান কিনি বলুন তো ?

তোমার চোখের ইশারায়..- আরিফুল ইসলাম সাহাজি

ছবি
তোমার চোখের তীব্র দহনে পুড়তে চাই বার বার..... তোমার চোখের কাছে মিথ্যা এ পৃথিবী , তোমার চোখের ইশারায় প্রবন্ধ পড়তেও আমি রাজি !

জলাবর্তে কে সে - নিলাদ্রি ভৌমিক

ছবি
মন পাবনের নাও , তোমাকে ভাসায় তীব্র স্বেচ্ছাচারে জলের মধ্যে সুখ , জলের মধ্যে দুখ জলাবর্তে কে সে ? একখানি চাঁদ উঠল বুঝি - জলের গহন দেশে । সুখ কি কুসুম কাঁটায় ! বুকের ভিতর অস্তিরতা স্বপ্ন জোয়ার ভাঁটায় জলাবর্তে কে সে ? একখানি চাঁদ উঠল বুঝি - জলের উপর হেসে ।।